দেবদত্ত পট্টনায়েক লেখক, পুরাণবিদ, চিত্রশিল্পী, বক্তা। পুরাণ, উপকথা, লোকসংস্কৃতি এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর মনোজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এ-যাবৎ বই লিখেছেন পঞ্চাশেরও বেশি। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই: ‘দ্য গডেস ইন ইন্ডিয়া: দ্য ফাইভ ফেসেস অফ দ্য ইটারনাল ফেমিনিন’, ‘ইন্ডিয়ান মিথোলজি: টেল্স, সিম্বলস, অ্যান্ড দ্য আর্টিকেলস ফ্রম দ্য হার্ট অফ দ্য সাব কন্টিনেন্ট’, ‘অলিম্পাস: অ্যান ইন্ডিয়ান রিটেলিং অফ দ্য গ্রিন মিথ’।
ডাকবাংলা.কম এক বিশ্বমানের সাংস্কৃতিক পোর্টাল। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ তার আত্মপ্রকাশ। আপাতত দায়িত্ব একটাই, প্রতি সপ্তাহে হা-পিত্যেশ করে বসে থাকা সদস্যদের জন্য চমৎকার সব লেখা, vlog, সাক্ষাৎকার, কার্টুন ইত্যাদি নিয়ে এসে হাজির করা।
তরুণ মজুমদার চিত্রপরিচালক, লেখক। গত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালনা করেছেন একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র (‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’ প্রভৃতি)। তাঁর ছবিতে ধরা পড়ে মূলত বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, পদ্মশ্রী পুরস্কার সহ আরও একাধিক পুরস্কার।
রজতাভ দত্ত বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতের অভিনেতা। নাটক দিয়ে জীবন শুরু। বিখ্যাত প্রায় সমস্ত নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গেই কাজ করেছেন। বাংলায় যেমন একদিকে ‘পারমিতার একদিন’ কিংবা ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’-র মতো বিপরীতধর্মী সিনেমায় তাঁর অবাধ যাতায়াত, তেমনই হিন্দিতে ‘কামিনে’, ‘জগ্গা জাসুস’, ‘মেরি প্যায়রি বিন্দু’-র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অবসর সময়ে পড়তে ভালবাসেন।
সাগুফতা শারমীন তানিয়া ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক। বর্তমানে প্রবাসী এই লেখকের বইয়ের সংখ্যা আট। লিখেছেন ‘ওয়াসফিরি’, ‘এশিয়া লিটেরারি রিভিউ’ এবং ‘সিটি প্রেস’-এর মতো সাহিত্য-জার্নালে। ২০১৯ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
প্রতীক নেশায় ও পেশায় স্বাধীন লেখক। লেখার স্থান খবরের কাগজ, ইংরেজি ও বাংলা ওয়েবসাইট, পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়া। লেখার ধরন গল্প, কবিতা, নিবন্ধ, চ্যাংড়ামি। অর্থাৎ সর্বঘটে কাঁঠালিকলা। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুই।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
সিদ্ধার্থ দে ইংরেজি সাহিত্য পড়ান, আখ্যানতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। ছোটবেলা থেকেই কুইজের নেশা, তাই কৌতূহলের অ্যান্টেনা ছড়ানো নানা দিকে। আত্মার তৃপ্তি যদিও বই পড়ে, গুটিকয়েক বন্ধুর সাথে হাহাহিহি করে, আর ঘুমিয়ে।
খান রুহুল রুবেল কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার। সাহিত্য, বিজ্ঞান, সভ্যতার ইতিহাস এবং অর্থনীতি তাঁর পাঠ ও চর্চার বিষয়। শখ: ভাষাচর্চা, যন্ত্রসঙ্গীত শোনা, নানা রকম বইয়ের তথ্যসংগ্রহ ও তালিকাকরণ। প্রকাশিত বই: ‘ডুবোপাহাড়’ (২০১৭, কবিতা), ‘প্রাচীন বিজ্ঞান’ (২০১৭, বিজ্ঞান/ ইতিহাস)।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।