‘ক্ষুদ্র গণ্ডিওলা মানুষের কাছে তার গণ্ডির বাইরের কোনও বস্তুর নকল-আসল বোঝার ক্ষমতা থাকে না। ইন্টারনেট গত তিরিশ বছরে এবং সমাজমাধ্যম গত দশ বছরে যে অসীম দূরত্ব লঙ্ঘন করেছে, তাতে আর কোথাও কিছু লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না।’
অমৃতা চক্রবর্তী
‘ক্ষুদ্র গণ্ডিওলা মানুষের কাছে তার গণ্ডির বাইরের কোনও বস্তুর নকল-আসল বোঝার ক্ষমতা থাকে না। ইন্টারনেট গত তিরিশ বছরে এবং সমাজমাধ্যম গত দশ বছরে যে অসীম দূরত্ব লঙ্ঘন করেছে, তাতে আর কোথাও কিছু লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না।’
সুমন মুখোপাধ্যায়
‘ধ্বস্ত এক সমাজের সামনে এসে আমরা দাঁড়ালাম। সেইখানে দাঁড়িয়ে সেইসব স্বপ্নকে জাগিয়ে তোলার জন্য ডন কিহোতেকে আবার ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন পড়ল যেন।’
তরুণ গোস্বামী
‘১৬ জানুয়ারি সকালে রাঙাকাকা শিশিরকে বললেন, ‘ওয়ান্ডারারে তেল ভরে নাও। রাতে তোমাকে নিয়ে বেরব। বাড়ির কেউ যেন না জানে।’ শিশির এতটাই অবাক যে, কিছু জিজ্ঞেস করতে পারলেন না নেতাজিকে।’
বিষাণ বসু
‘নোবেল পুরস্কার পেতে পারতেন আমাদের ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ও, স্বাধীনোত্তর দেশের প্রথম বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার। কেননা, আইভিএফ বিষয়ে তাঁর গবেষণা চলছিল এডওয়ার্ডস-স্টেপটোর সঙ্গে একই সময়ে...’ ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বিশেষ নিবন্ধ।
পলাশরঞ্জন ভৌমিক
‘দ্রুত গতির পাঠক, দ্রুত গতির লেখক এবং দ্রুত গতির সম্পাদক— সবটা মিলিয়ে ছিলেন প্রীতীশ নন্দী। যদি কেউ একদিনের জন্যও ওঁর সঙ্গে কাজ করে থাকে, ভুলতে পারবে না। সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ না থাকলেও, প্রীতীশদা কমিউনিকেট করতে পারতেন চমৎকার!’
কমলেশ্বর মুখার্জি
‘যেটা খুব ভাবিয়েছিল, এই ধরনের প্রত্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রুগির এই চাপ এবং সময়ের এই সংকটের মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব? একটা সময় এই সব ভাবনাই সরিয়ে রেখে চিকিৎসা করতে শুরু করলাম।’
বিজলীরাজ পাত্র
‘এশিয়াটিক সোসাইটির পুঁথি ঘাঁটলে জিজ্ঞাসার এমন অনেক নতুন পরতের কাছে পৌঁছতে পারি আমরা। কিন্তু সেই পথে সবচেয়ে বড় বাধা, পুঁথি নিজেই। যাঁরা পুঁথি নিয়ে চর্চা করেন, অন্তত নানা ভারতীয় ভাষায়, তাঁদের মধ্যে আশ্চর্য এক পুঁথি ফেটিশ কাজ করে।’
সুদীপ দত্ত
‘উইকিপিডিয়া-র মূল সমালোচনা ওই ক্ষমতা আর নিরপেক্ষতাকে ঘিরেই। দক্ষিণপন্থীদের মতে, উইকি বামপন্থী ভাবধারায় প্রভাবিত। এবং অর্থনীতি, রাজনীতি, পরিবেশ-নীতি, লিঙ্গ-নীতি— সব বিষয়েই এই প্রবণতা প্রকট।’
প্রচুর সংস্থা নিজেকে অভিজাত প্রমাণ করার জন্য উদ্ভট নিয়ম বানায়। জিনস পরে দাবা খেলা যাবে না, পাজামা পরে কলকাতার ক্লাবে ঢোকা যাবে না, টাই না বেঁধে অফিসে এলে চাকরি যাবে। ধর্ম থেকে বিনোদন, সর্বত্র এই প্রবণতা আসলে কেরানিগিরি আর দাদাগিরির মিশেল।
ঋষভ পন্থ টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নেমেই চার-ছয় হাঁকাচ্ছেন। অনেক সময় সেগুলো ক্রিকেটীয় শট তো নয়ই বরং কখনো পড়ে গিয়ে কখনও হাস্যকর ভাবে ব্যাট চালাচ্ছেন! তাতে বোদ্ধাদের ভারী গোঁসা হচ্ছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে এমন মারলে রাগ হওয়াই তো স্বাভাবিক!
‘দশম অবতার’ ছবিতে অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে প্রথম শোনা যায় এই গান। প্রেমের যে বিচিত্র গতায়াত, তার একটা ধারণা যেমন এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে— তেমনই ফুটে ওঠে প্রেমিকমনের চাপা বিষণ্ণতা, যা উদাসীনতার হাত ধরাধরি করে চলে।
গান তৈরির গল্পে এ বারের গান "আমার শহর"। কলকাতাকে নিয়ে খানিকটা নিরাশা এ গানে থাকলেও, বেশি আছে মনচাপা একটা কষ্ট। যে কলকাতা জ্বলজ্বল করতে পারত, সে যেন রণে ভঙ্গ দিয়ে বুড়িয়ে গেল। আর নতুন প্রজন্ম তাকে ত্যাগ করে বসত করল অন্যত্র।
মন এক আশ্চর্য বস্তু। কখনও সে ঝাঁ-চকচকে জীবনের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ করে, আবার পরক্ষণেই সে বেছে নেয় সহজ-সরল একটা জীবনের ছবি। পোড়খাওয়া পেন্ডুলামের মতো জীবনের নানা প্রান্তে দুলে-দুলে সে যে আরাম অনুভব করে, তার কোনও তুলনা নেই।
কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।
থিমপুজোর লড়াই আজকের নয়, কিন্তু কী দেখে ঠিক হয় কোন পুজো সেরা? মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, বিচারকেরা ঘুরে-ঘুরে ঠিক করেন শ্রেষ্ঠ যা-কিছু। কেমন তাদের সেই বিচারপদ্ধতি? বিচারক-জীবনের সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
গায়ক হয়ে ওঠার আগে তাঁর নামডাক ছিল পাড়ার ডান্সার হিসেবে। নিজের ভাসান-নাচ তো ছিলি, আবার সেখানেই দেখেছেন মিঠুন চক্রবর্তীকে নিজের সিনেমার লিফলেট বিলি করতে। কৈশোর-যৌবনের পুজোর ভাসানের নানান বিচিত্র কাহিনি বললেন শিলাজিৎ।
গান গেয়ে, লিখে, সুর করেও নিস্তার পাচ্ছেন না। মাথার ভেতর আরও অনেক রকম নানা রকম চিন্তা-ভাবনা কেবলই জ্বালিয়ে চলেছে, যেনতেনপ্রকারেণ তাদেরও ন্যায় চাই। যেমন তার ম্যাকবুকটি। তার কথা বলাকওয়া করতেই এই কলাম। অনুপম রায়-এর ম্যাকি।
পড়ুন...একরত্তি মেয়ে, সে লিখবে সমসাময়িকের ধারাপাত? হ্যাঁ, তাঁর প্রাণবন্ত জীবনে পরিবেশ আন্দোলন কিংবা অ্যাডেলের গান— দুইই মস্ত জায়গা জুড়ে। রাজনীতি নিয়ে ওয়াকিবহাল। মতামত প্রকট। সুতরাং বিন্দাসিনী।
পড়ুন...ক্রিকেটের ঈশ্বরগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান সদস্য। বিধ্বংসী ব্যাট কিন্তু শান্ত উপস্থিতি। উইকেটের পিছনে ফড়িং-লম্ফ কিন্তু আদতে ডানা নেই। ক্ষিপ্রতায় ক্যাঙারু-মাফিক। আর ব্যক্তিতে? আপাদমস্তক বুদ্ধিমান ভদ্রলোক। ম্যাজিক শুরু— গিলি গিলি গে।
পড়ুন...তুরতুরে জীবন, ফুরফুরে অস্তিত্ব। নতুন চোখের তকতকে দৃষ্টিভঙ্গি। নতুন প্রজন্মের আশা, প্রত্যাশা, ভাবনাচিন্তা, ক্ষোভ ও বিদ্রোহ নিয়ে বহু কথা নিয়মিত লিখবেন। রিহার্সাল, শুটিং, আর চারপাশকে খতিয়ে দেখার অভ্যাস ফুটে উঠবে লেখায়।
পড়ুন...কলম শাণিত, বুদ্ধি আর যুক্তিও। বিশ্লেষণের ভঙ্গি তর্কের অঙ্গে। পছন্দের বিষয় ঝুঁকি। পছন্দের বক্তব্য অকপট। হিউমার আর স্যাটায়ার অঙ্গাঙ্গী জড়িত তাঁর লেখায়, তাঁর বলায়, তাঁর মননে। ডাকবাংলায় কলম ধরলেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য।
পড়ুন...খাদ্য একটি ভয়ানক ব্যাপার। স্বাদে যেমন মাত করবে, তেমনই রন্ধন-প্রণালী বাতলে দেবে জাতির চরিত্র। আর সময়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে আটকে থাকবে ইতিহাসের পাতায়। আর সেই সুড়ঙ্গ ধরে সময়ের বিভিন্ন রান্নাঘরে হাজির করবে হেঁসেলের হিস্সা।
পড়ুন...ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক ছিলেন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৫৩টি ম্যাচে। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবে খেলেছেন। ২০০৮ ইউরো কাপ ও ২০১০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। প্রিমিয়ার লিগের তাজা খবর দেবেন গোললাইন-এর ধার থেকে।
পড়ুন...অতীত চিরকালই রঙিন। এক-একটা মুহূর্ত, এক-একটা চরিত্র, জীবনের ফাঁকফোকর দিয়ে আলোর মতন এসে ঢুকে পড়ে। আচমকাই। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, অতীতের সেই না-বলা গল্পগুলোই উঠে এসেছে ‘এলেবেলে’ লেখার মধ্যে দিয়ে।
পড়ুন...ক্রিকেটের ঈশ্বর। মাঠে তাঁর শান্ত উপস্থিতি, অথচ দেখার মতো ধৈর্য, নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়। ক্রিকেট সম্পর্কে তাঁর এক-একটা মতামত, খুলে দেয় অনেক জানলা-দরজা। এখন থেকে এই কলামের মধ্যে দিয়ে উঠে আসবে সাম্প্রতিক ক্রিকেটের নানান দিক, খেলোয়াড়দের মনোভঙ্গি সম্পর্কে বিশ্লেষণ, সঙ্গে তাঁর পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার দৃষ্টিভঙ্গি।
পড়ুন...তিনি ছবি তোলেন ও ছবি আঁকেন, তাঁর লেখাতেও হরদম চলে আসে তরতরে দৃশ্য। বিপদেও চিলতে মজা খুঁজে বার করার নাছোড় আনন্দ তাঁর সম্বল। এই কলামেও রইল— ঘুরতে-ফিরতে, হাঁটতে-বসতে যে ধূসর, ঝলমলে, কেজো, কাব্যিক দৃশ্যেরা জন্ম নিচ্ছে তাঁর সামনে— তার কোলাজ।
পড়ুন...ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই পরিচিত। তাঁর লেখার মুনশিয়ানা আর ধারালো রসবোধের কথা খুব কম মানুষই জানেন। গানের পরিবেশ ও অন্য অনেক কিছু নিয়ে, উঁচু ও নিচু পর্দা, কড়ি ও কোমল মিশিয়ে, লিখবেন নিয়মিত।
পড়ুন...অতীত মেতে থাকে হাসনুহানার গন্ধে। সে গন্ধে কখনও খুশির ফোয়ারা, কখনও বালিশে গুঁজরে কান্না আর কখনও তিরতিরে প্রেমের শিহরণ। সেই সব বুকে নিয়ে নিত্য যাপন কম ঝক্কির? সেই সব হিয়াভরা, হিয়াভারের ঝক্কির গপ্পো লিখবেন শ্রীজাত।
পড়ুন...বাঙালির গর্ব। বাংলাদেশের তো বটেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিশ্ব-ক্রিকেটের আঙিনায় প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাট-বল ম্যাজিক করেছে। আইপিএল-এর মারকাটারি প্লেয়ার। লিখবেন অনেক কিছু নিয়ে। আদতে অলরাউন্ডার তো!
পড়ুন...জীবনের আসা-যাওয়া মানে কেবল সময় নয়, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিও নয়। জীবনের আসল হিসেবটা দেয় জীবনে ঢুকে পড়া বা চলে যাওয়া মানুষগুলো। তাদের প্রকৃতি, তাদের চরিত্র, তাদের প্রভাব তৈরি করে জীবনের গ্রিনরুম। গ্রিনরুমের সেই সব কথা লিখছেন সুদেষ্ণা রায় তাঁর কলাম ‘ব্যাকস্টেজ’-এ।
পড়ুন...‘ক্ষুদ্র গণ্ডিওলা মানুষের কাছে তার গণ্ডির বাইরের কোনও বস্তুর নকল-আসল বোঝার ক্ষমতা থাকে না। ইন্টারনেট গত তিরিশ বছরে এবং সমাজমাধ্যম গত দশ বছরে যে অসীম দূরত্ব লঙ্ঘন করেছে, তাতে আর কোথাও কিছু লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না।’
‘ফোটো-সাংবাদিকতার তথ্যনিষ্ঠতার সঙ্গে এক নান্দনিক বহুমাত্রিকতাকে জুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল ‘লাইফ’। এর নেপথ্যে যেমন ছিল ফোটোগ্রাফির মান, তেমনই ছিল ছিমছাম, কিন্তু অনন্য পৃষ্ঠাসজ্জা।’