‘কেউ সেদিন আসলে এক তিল জমিও ছাড়তে রাজি ছিল না মানুষী ভার্জিনিয়াকে। তিনি প্রবাদপ্রতিম লেখক, নারীকণ্ঠের সাহসিনী বয়ান, উজ্জ্বল ক্ষুরধার অস্তিত্বের বিজ্ঞাপন হয়েই যেন তাঁর রয়ে যাওয়া উচিত।’
অরুন্ধতী দাশ
‘কেউ সেদিন আসলে এক তিল জমিও ছাড়তে রাজি ছিল না মানুষী ভার্জিনিয়াকে। তিনি প্রবাদপ্রতিম লেখক, নারীকণ্ঠের সাহসিনী বয়ান, উজ্জ্বল ক্ষুরধার অস্তিত্বের বিজ্ঞাপন হয়েই যেন তাঁর রয়ে যাওয়া উচিত।’
সোমনাথ শর্মা
‘বাস্তবিক দুঃখ হয় অন্য কারণে যে, ৩৬ বছর বয়সে একজন মানুষ চলে গেলেন, তার ওপর ওরকম শিল্পী, সালটাও ১৯৬৬ । ১৯৬৬ সাল, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এক-একজন দিকপাল। দাপিয়ে পান্নালালেরও বেড়ানোর কথা ছিল!’
অনির্বাণ ভট্টাচার্য
‘আপনার পূর্বজন্ম অভিনেতার নাকি! এত কথা জানলেন কী করে? অবশ্য এক জন্মে অভিনেতা হলে পরের জন্মে প্রেক্ষাগৃহের চেয়ার হওয়া খুবই স্বাভাবিক!’
বিজলীরাজ পাত্র
‘হাকিম, ডাক্তার, মাসিক পত্রিকা, বিজ্ঞাপন এবং নতুন মুসলমান জনপরিসর— এই এককগুলি প্রস্তুত না হলে লিঙ্গ-শিথিলতা বিষয়ক চেতনা বা চিকিৎসা প্রকাশ্যে আলোচিত হওয়া সহজ ছিল না।’
শুভঙ্কর সেনগুপ্ত
‘সাম্প্রদায়িক অশান্তির সময়ে আক্রান্ত বাড়ির ছবি আঁকতে ব্যবহার করেছেন সিলভার পিগমেন্ট, যা তাঁর অন্য কাজগুলিতে চোখে পড়ে না। ১৯৭১ সালের অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর বিমূর্ত ছবিতে ফুটে উঠেছে রক্তাভ ভ্রূণ। অক্ষর জন্ম নিয়েছে ছবির শরীরে।’
সায়নদেব চৌধুরী
‘সিনেমার শিল্প নিয়ে উদ্দীপনা, অভিনয়ের খুঁটিনাটি বুঝে নেয়ার চেষ্টা— কোনওটারই কমতি ছিল না ডিজির। অন্যান্য অনেক অভিনেতার মতো তিনি শুধু অভিনয় নিয়ে থাকলেই আদি সিনেমায় অমরত্ব পেতেন।’
অমৃতা সরকার
‘যেরকম নারী দেখলে বাঙালি সংস্কৃতির লুক্কায়িত পৌরুষ বিপন্ন হয়, গায়ত্রী ঠিক সেইরকম নারী। এইরকম নারীকে বাগে আনতে না পারলে তাঁকে নিয়ে কুৎসা করতে হয়। চণ্ডীমণ্ডপে কুৎসামগ্ন আমাদের পূর্বপুরুষদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার আমরা গায়ত্রীর মতো মেয়েকে দেখলে ঝালিয়ে নিই।’
একরাম আলি
‘বাংলা পত্রিকার জগতে বেশ কিছু, যাকে বলে, ব্রেক এনেছিলেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে প্রতি রবিবার বেশ কয়েকটা জায়গায় নিলাম হত, যাকে বলে অকশন হাউস। একদিন শ্যামলদা বললেন, দেখে আয় তো কী ব্যাপার।’
বাঘে-শূকরে এক কুয়োতে আটকে পড়েছিল মধ্যপ্রদেশের একটা গ্রামে। বনদফতর উদ্ধার করেছে তাদের। কিন্তু এই বিপদের সময়টায় বাঘ ও শূকর খাদ্যখাদক সম্পর্ক ভুলে পাশাপাশি ছিল। বাঘ আক্রমণ করেনি আর শূকর ভরসা করেছিল। মানুষ কি এসব নীতিনিয়ম আদৌ মেনে চলে?
গোটা গ্রিনল্যান্ড কিনে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? দেশ কি তবে এবার বিকিকিনির বাজারের পণ্য হয়ে উঠবে? ভাড়াও নেওয়া যাবে দেশ? তবে দেশ কেনাতেই আটকে থাকবে কেন? মানুষ-সংস্কৃতি সবই কিনে নেবে হয়তো! দখলরির নতুন ব্যাকরণ তৈরি হল বলে!
লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন যেমন সব কেড়ে নিয়েছে, তেমনি দিয়েছেও কিছু। এই ভয়ঙ্কর দাবানল দমনে দমকলের পাশাপাশি শামিল হয়েছে কয়েদিরাও। অপরাধীদের সংশোধনের জন্য এই পন্থা থেকে আমরাও কি কিছু শিখব না? কেবল সংশোধনাগার বললেই হবে?
প্রচুর সংস্থা নিজেকে অভিজাত প্রমাণ করার জন্য উদ্ভট নিয়ম বানায়। জিনস পরে দাবা খেলা যাবে না, পাজামা পরে কলকাতার ক্লাবে ঢোকা যাবে না, টাই না বেঁধে অফিসে এলে চাকরি যাবে। ধর্ম থেকে বিনোদন, সর্বত্র এই প্রবণতা আসলে কেরানিগিরি আর দাদাগিরির মিশেল।
ঋষভ পন্থ টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নেমেই চার-ছয় হাঁকাচ্ছেন। অনেক সময় সেগুলো ক্রিকেটীয় শট তো নয়ই বরং কখনো পড়ে গিয়ে কখনও হাস্যকর ভাবে ব্যাট চালাচ্ছেন! তাতে বোদ্ধাদের ভারী গোঁসা হচ্ছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে এমন মারলে রাগ হওয়াই তো স্বাভাবিক!
‘দশম অবতার’ ছবিতে অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে প্রথম শোনা যায় এই গান। প্রেমের যে বিচিত্র গতায়াত, তার একটা ধারণা যেমন এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে— তেমনই ফুটে ওঠে প্রেমিকমনের চাপা বিষণ্ণতা, যা উদাসীনতার হাত ধরাধরি করে চলে।
গান তৈরির গল্পে এ বারের গান "আমার শহর"। কলকাতাকে নিয়ে খানিকটা নিরাশা এ গানে থাকলেও, বেশি আছে মনচাপা একটা কষ্ট। যে কলকাতা জ্বলজ্বল করতে পারত, সে যেন রণে ভঙ্গ দিয়ে বুড়িয়ে গেল। আর নতুন প্রজন্ম তাকে ত্যাগ করে বসত করল অন্যত্র।
মন এক আশ্চর্য বস্তু। কখনও সে ঝাঁ-চকচকে জীবনের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ করে, আবার পরক্ষণেই সে বেছে নেয় সহজ-সরল একটা জীবনের ছবি। পোড়খাওয়া পেন্ডুলামের মতো জীবনের নানা প্রান্তে দুলে-দুলে সে যে আরাম অনুভব করে, তার কোনও তুলনা নেই।
গান গেয়ে, লিখে, সুর করেও নিস্তার পাচ্ছেন না। মাথার ভেতর আরও অনেক রকম নানা রকম চিন্তা-ভাবনা কেবলই জ্বালিয়ে চলেছে, যেনতেনপ্রকারেণ তাদেরও ন্যায় চাই। যেমন তার ম্যাকবুকটি। তার কথা বলাকওয়া করতেই এই কলাম। অনুপম রায়-এর ম্যাকি।
পড়ুন...একরত্তি মেয়ে, সে লিখবে সমসাময়িকের ধারাপাত? হ্যাঁ, তাঁর প্রাণবন্ত জীবনে পরিবেশ আন্দোলন কিংবা অ্যাডেলের গান— দুইই মস্ত জায়গা জুড়ে। রাজনীতি নিয়ে ওয়াকিবহাল। মতামত প্রকট। সুতরাং বিন্দাসিনী।
পড়ুন...ক্রিকেটের ঈশ্বরগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান সদস্য। বিধ্বংসী ব্যাট কিন্তু শান্ত উপস্থিতি। উইকেটের পিছনে ফড়িং-লম্ফ কিন্তু আদতে ডানা নেই। ক্ষিপ্রতায় ক্যাঙারু-মাফিক। আর ব্যক্তিতে? আপাদমস্তক বুদ্ধিমান ভদ্রলোক। ম্যাজিক শুরু— গিলি গিলি গে।
পড়ুন...তুরতুরে জীবন, ফুরফুরে অস্তিত্ব। নতুন চোখের তকতকে দৃষ্টিভঙ্গি। নতুন প্রজন্মের আশা, প্রত্যাশা, ভাবনাচিন্তা, ক্ষোভ ও বিদ্রোহ নিয়ে বহু কথা নিয়মিত লিখবেন। রিহার্সাল, শুটিং, আর চারপাশকে খতিয়ে দেখার অভ্যাস ফুটে উঠবে লেখায়।
পড়ুন...কলম শাণিত, বুদ্ধি আর যুক্তিও। বিশ্লেষণের ভঙ্গি তর্কের অঙ্গে। পছন্দের বিষয় ঝুঁকি। পছন্দের বক্তব্য অকপট। হিউমার আর স্যাটায়ার অঙ্গাঙ্গী জড়িত তাঁর লেখায়, তাঁর বলায়, তাঁর মননে। ডাকবাংলায় কলম ধরলেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য।
পড়ুন...খাদ্য একটি ভয়ানক ব্যাপার। স্বাদে যেমন মাত করবে, তেমনই রন্ধন-প্রণালী বাতলে দেবে জাতির চরিত্র। আর সময়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে আটকে থাকবে ইতিহাসের পাতায়। আর সেই সুড়ঙ্গ ধরে সময়ের বিভিন্ন রান্নাঘরে হাজির করবে হেঁসেলের হিস্সা।
পড়ুন...ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক ছিলেন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৫৩টি ম্যাচে। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবে খেলেছেন। ২০০৮ ইউরো কাপ ও ২০১০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। প্রিমিয়ার লিগের তাজা খবর দেবেন গোললাইন-এর ধার থেকে।
পড়ুন...অতীত চিরকালই রঙিন। এক-একটা মুহূর্ত, এক-একটা চরিত্র, জীবনের ফাঁকফোকর দিয়ে আলোর মতন এসে ঢুকে পড়ে। আচমকাই। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, অতীতের সেই না-বলা গল্পগুলোই উঠে এসেছে ‘এলেবেলে’ লেখার মধ্যে দিয়ে।
পড়ুন...ক্রিকেটের ঈশ্বর। মাঠে তাঁর শান্ত উপস্থিতি, অথচ দেখার মতো ধৈর্য, নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়। ক্রিকেট সম্পর্কে তাঁর এক-একটা মতামত, খুলে দেয় অনেক জানলা-দরজা। এখন থেকে এই কলামের মধ্যে দিয়ে উঠে আসবে সাম্প্রতিক ক্রিকেটের নানান দিক, খেলোয়াড়দের মনোভঙ্গি সম্পর্কে বিশ্লেষণ, সঙ্গে তাঁর পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার দৃষ্টিভঙ্গি।
পড়ুন...তিনি ছবি তোলেন ও ছবি আঁকেন, তাঁর লেখাতেও হরদম চলে আসে তরতরে দৃশ্য। বিপদেও চিলতে মজা খুঁজে বার করার নাছোড় আনন্দ তাঁর সম্বল। এই কলামেও রইল— ঘুরতে-ফিরতে, হাঁটতে-বসতে যে ধূসর, ঝলমলে, কেজো, কাব্যিক দৃশ্যেরা জন্ম নিচ্ছে তাঁর সামনে— তার কোলাজ।
পড়ুন...ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই পরিচিত। তাঁর লেখার মুনশিয়ানা আর ধারালো রসবোধের কথা খুব কম মানুষই জানেন। গানের পরিবেশ ও অন্য অনেক কিছু নিয়ে, উঁচু ও নিচু পর্দা, কড়ি ও কোমল মিশিয়ে, লিখবেন নিয়মিত।
পড়ুন...অতীত মেতে থাকে হাসনুহানার গন্ধে। সে গন্ধে কখনও খুশির ফোয়ারা, কখনও বালিশে গুঁজরে কান্না আর কখনও তিরতিরে প্রেমের শিহরণ। সেই সব বুকে নিয়ে নিত্য যাপন কম ঝক্কির? সেই সব হিয়াভরা, হিয়াভারের ঝক্কির গপ্পো লিখবেন শ্রীজাত।
পড়ুন...বাঙালির গর্ব। বাংলাদেশের তো বটেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিশ্ব-ক্রিকেটের আঙিনায় প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাট-বল ম্যাজিক করেছে। আইপিএল-এর মারকাটারি প্লেয়ার। লিখবেন অনেক কিছু নিয়ে। আদতে অলরাউন্ডার তো!
পড়ুন...জীবনের আসা-যাওয়া মানে কেবল সময় নয়, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিও নয়। জীবনের আসল হিসেবটা দেয় জীবনে ঢুকে পড়া বা চলে যাওয়া মানুষগুলো। তাদের প্রকৃতি, তাদের চরিত্র, তাদের প্রভাব তৈরি করে জীবনের গ্রিনরুম। গ্রিনরুমের সেই সব কথা লিখছেন সুদেষ্ণা রায় তাঁর কলাম ‘ব্যাকস্টেজ’-এ।
পড়ুন...‘কেউ সেদিন আসলে এক তিল জমিও ছাড়তে রাজি ছিল না মানুষী ভার্জিনিয়াকে। তিনি প্রবাদপ্রতিম লেখক, নারীকণ্ঠের সাহসিনী বয়ান, উজ্জ্বল ক্ষুরধার অস্তিত্বের বিজ্ঞাপন হয়েই যেন তাঁর রয়ে যাওয়া উচিত।’
দুর্গাপুজো আসা মানেই চতুর্দিকে শুধু আনন্দ আর আনন্দ! তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই আনন্দের একজনই কেবল শত্রু। পুলিশ নয়, গাড়ি নয়, রাস্তার গর্তও নয়— সে হল নিজেরই দুটো পা!