‘সিনেমা একটা শিল্প। বহু শিল্পী মিলে কাজ করে একটা সিনেমা তৈরি হচ্ছে। সেই শিল্পকে মাপবার কোনও সিস্টেম মানুষ বানাতে পারেনি, পারবেও না। কারণ একটা কিছু অনুভূতি এভাবে মাপা সম্ভব নয়।’
অনুপম রায়
‘সিনেমা একটা শিল্প। বহু শিল্পী মিলে কাজ করে একটা সিনেমা তৈরি হচ্ছে। সেই শিল্পকে মাপবার কোনও সিস্টেম মানুষ বানাতে পারেনি, পারবেও না। কারণ একটা কিছু অনুভূতি এভাবে মাপা সম্ভব নয়।’
অর্ক ভাদুড়ী
‘এক চিনা ‘বিপ্লবী’ বলেছিলেন, বিপ্লব সূচিকর্ম বা ভোজসভা নয়৷ কথাটা সত্যি, তবে প্রতিবিপ্লবও ঠিক তাই। বড়সড় গণঅভ্যুত্থানের পর সমাজে আলো ও অন্ধকারের শক্তিরা নেমে পড়ে জমি দখলের যুদ্ধে।’
কবীর সুমন
‘লতা মঙ্গেশকর মহোদয়া একটি ঋণস্বীকার অনুষ্ঠানে পঙ্কজ মল্লিকের গাওয়া একটি গান পুনরায় রেকর্ড করার আগে বলেছিলেন যে, আমাদের দেশে পাশ্চাত্য সংগীতের প্রভাব যিনি প্রথম এনেছেন এবং বরণ করে নিয়েছেন, তিনি পঙ্কজকুমার মল্লিক...’
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
‘সাগরদাকে দেখলে ভারি গম্ভীর লোক বলে মনে হত: সারাদিন পড়ছেন, ভাবছেন। কিন্তু মিশলে বোঝা যেত, তিনি ততটাও ভারিক্কি মেজাজের নন। আমি যে তাঁর সঙ্গে খুব আড্ডা দিয়েছি তা নয়, কিন্তু তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন।’
অনমিত্র খাঁ
‘প্রাগের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্লুটোকে বাদ দেওয়াতে ভারতীয় প্রাচীন বৈজ্ঞানিক আর্যভট্টের মতকেই সমর্থন করা হয়েছে। এমন কথাও ওঁরা বলেছিলেন যে, ১৯৩০ সালে যখন প্লুটোকে গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল তখন নাকি সারা বিশ্বে ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছিল।’
পল্লব বসুমল্লিক
‘তুলসীদাস বলরাম এতটাই কমপ্লিট ফুটবলার যে, গোলরক্ষক থেকে সেন্টার ফরওয়ার্ড— দলের প্রয়োজনে সব পজিশনেই তাঁকে খেলতে হয়েছে। বল–স্কিল অতুলনীয়। আবার আক্রমণেও ক্ষুরধার।’
রাকা দাশগুপ্ত
‘নতুন সপ্তাহ মানে নতুন সম্ভাবনা। এই সপ্তাহে নতুন করে কিছু শিখব, বা ক্লাসে নিজের ভালোলাগার একটা বিষয় পড়াব, না-মেলা অঙ্কটা নিয়ে কোমর বেঁধে লড়ব, সোমবারের শুরুতে সেই আনন্দ মেশানো উত্তেজনা থাকে।’
তপশ্রী গুপ্ত
‘সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হতে প্লেন ধরার তাড়ার মাঝেই নিপাট মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের মতো অনুরোধ করলেন ভিভ, ‘কত দূরের দেশ থেকে এসেছ তোমরা। মাই ফেভারিট প্লেস অন আর্থ, ইন্ডিয়া। প্লিজ বাড়িতে যেও।... ’
প্রচুর সংস্থা নিজেকে অভিজাত প্রমাণ করার জন্য উদ্ভট নিয়ম বানায়। জিনস পরে দাবা খেলা যাবে না, পাজামা পরে কলকাতার ক্লাবে ঢোকা যাবে না, টাই না বেঁধে অফিসে এলে চাকরি যাবে। ধর্ম থেকে বিনোদন, সর্বত্র এই প্রবণতা আসলে কেরানিগিরি আর দাদাগিরির মিশেল।
ঋষভ পন্থ টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নেমেই চার-ছয় হাঁকাচ্ছেন। অনেক সময় সেগুলো ক্রিকেটীয় শট তো নয়ই বরং কখনো পড়ে গিয়ে কখনও হাস্যকর ভাবে ব্যাট চালাচ্ছেন! তাতে বোদ্ধাদের ভারী গোঁসা হচ্ছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে এমন মারলে রাগ হওয়াই তো স্বাভাবিক!
‘দশম অবতার’ ছবিতে অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে প্রথম শোনা যায় এই গান। প্রেমের যে বিচিত্র গতায়াত, তার একটা ধারণা যেমন এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে— তেমনই ফুটে ওঠে প্রেমিকমনের চাপা বিষণ্ণতা, যা উদাসীনতার হাত ধরাধরি করে চলে।
গান তৈরির গল্পে এ বারের গান "আমার শহর"। কলকাতাকে নিয়ে খানিকটা নিরাশা এ গানে থাকলেও, বেশি আছে মনচাপা একটা কষ্ট। যে কলকাতা জ্বলজ্বল করতে পারত, সে যেন রণে ভঙ্গ দিয়ে বুড়িয়ে গেল। আর নতুন প্রজন্ম তাকে ত্যাগ করে বসত করল অন্যত্র।
মন এক আশ্চর্য বস্তু। কখনও সে ঝাঁ-চকচকে জীবনের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ করে, আবার পরক্ষণেই সে বেছে নেয় সহজ-সরল একটা জীবনের ছবি। পোড়খাওয়া পেন্ডুলামের মতো জীবনের নানা প্রান্তে দুলে-দুলে সে যে আরাম অনুভব করে, তার কোনও তুলনা নেই।
কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।
থিমপুজোর লড়াই আজকের নয়, কিন্তু কী দেখে ঠিক হয় কোন পুজো সেরা? মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, বিচারকেরা ঘুরে-ঘুরে ঠিক করেন শ্রেষ্ঠ যা-কিছু। কেমন তাদের সেই বিচারপদ্ধতি? বিচারক-জীবনের সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
গায়ক হয়ে ওঠার আগে তাঁর নামডাক ছিল পাড়ার ডান্সার হিসেবে। নিজের ভাসান-নাচ তো ছিলি, আবার সেখানেই দেখেছেন মিঠুন চক্রবর্তীকে নিজের সিনেমার লিফলেট বিলি করতে। কৈশোর-যৌবনের পুজোর ভাসানের নানান বিচিত্র কাহিনি বললেন শিলাজিৎ।
গান গেয়ে, লিখে, সুর করেও নিস্তার পাচ্ছেন না। মাথার ভেতর আরও অনেক রকম নানা রকম চিন্তা-ভাবনা কেবলই জ্বালিয়ে চলেছে, যেনতেনপ্রকারেণ তাদেরও ন্যায় চাই। যেমন তার ম্যাকবুকটি। তার কথা বলাকওয়া করতেই এই কলাম। অনুপম রায়-এর ম্যাকি।
পড়ুন...একরত্তি মেয়ে, সে লিখবে সমসাময়িকের ধারাপাত? হ্যাঁ, তাঁর প্রাণবন্ত জীবনে পরিবেশ আন্দোলন কিংবা অ্যাডেলের গান— দুইই মস্ত জায়গা জুড়ে। রাজনীতি নিয়ে ওয়াকিবহাল। মতামত প্রকট। সুতরাং বিন্দাসিনী।
পড়ুন...ক্রিকেটের ঈশ্বরগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান সদস্য। বিধ্বংসী ব্যাট কিন্তু শান্ত উপস্থিতি। উইকেটের পিছনে ফড়িং-লম্ফ কিন্তু আদতে ডানা নেই। ক্ষিপ্রতায় ক্যাঙারু-মাফিক। আর ব্যক্তিতে? আপাদমস্তক বুদ্ধিমান ভদ্রলোক। ম্যাজিক শুরু— গিলি গিলি গে।
পড়ুন...তুরতুরে জীবন, ফুরফুরে অস্তিত্ব। নতুন চোখের তকতকে দৃষ্টিভঙ্গি। নতুন প্রজন্মের আশা, প্রত্যাশা, ভাবনাচিন্তা, ক্ষোভ ও বিদ্রোহ নিয়ে বহু কথা নিয়মিত লিখবেন। রিহার্সাল, শুটিং, আর চারপাশকে খতিয়ে দেখার অভ্যাস ফুটে উঠবে লেখায়।
পড়ুন...কলম শাণিত, বুদ্ধি আর যুক্তিও। বিশ্লেষণের ভঙ্গি তর্কের অঙ্গে। পছন্দের বিষয় ঝুঁকি। পছন্দের বক্তব্য অকপট। হিউমার আর স্যাটায়ার অঙ্গাঙ্গী জড়িত তাঁর লেখায়, তাঁর বলায়, তাঁর মননে। ডাকবাংলায় কলম ধরলেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য।
পড়ুন...খাদ্য একটি ভয়ানক ব্যাপার। স্বাদে যেমন মাত করবে, তেমনই রন্ধন-প্রণালী বাতলে দেবে জাতির চরিত্র। আর সময়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে আটকে থাকবে ইতিহাসের পাতায়। আর সেই সুড়ঙ্গ ধরে সময়ের বিভিন্ন রান্নাঘরে হাজির করবে হেঁসেলের হিস্সা।
পড়ুন...ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক ছিলেন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৫৩টি ম্যাচে। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবে খেলেছেন। ২০০৮ ইউরো কাপ ও ২০১০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। প্রিমিয়ার লিগের তাজা খবর দেবেন গোললাইন-এর ধার থেকে।
পড়ুন...অতীত চিরকালই রঙিন। এক-একটা মুহূর্ত, এক-একটা চরিত্র, জীবনের ফাঁকফোকর দিয়ে আলোর মতন এসে ঢুকে পড়ে। আচমকাই। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, অতীতের সেই না-বলা গল্পগুলোই উঠে এসেছে ‘এলেবেলে’ লেখার মধ্যে দিয়ে।
পড়ুন...ক্রিকেটের ঈশ্বর। মাঠে তাঁর শান্ত উপস্থিতি, অথচ দেখার মতো ধৈর্য, নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়। ক্রিকেট সম্পর্কে তাঁর এক-একটা মতামত, খুলে দেয় অনেক জানলা-দরজা। এখন থেকে এই কলামের মধ্যে দিয়ে উঠে আসবে সাম্প্রতিক ক্রিকেটের নানান দিক, খেলোয়াড়দের মনোভঙ্গি সম্পর্কে বিশ্লেষণ, সঙ্গে তাঁর পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার দৃষ্টিভঙ্গি।
পড়ুন...তিনি ছবি তোলেন ও ছবি আঁকেন, তাঁর লেখাতেও হরদম চলে আসে তরতরে দৃশ্য। বিপদেও চিলতে মজা খুঁজে বার করার নাছোড় আনন্দ তাঁর সম্বল। এই কলামেও রইল— ঘুরতে-ফিরতে, হাঁটতে-বসতে যে ধূসর, ঝলমলে, কেজো, কাব্যিক দৃশ্যেরা জন্ম নিচ্ছে তাঁর সামনে— তার কোলাজ।
পড়ুন...ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই পরিচিত। তাঁর লেখার মুনশিয়ানা আর ধারালো রসবোধের কথা খুব কম মানুষই জানেন। গানের পরিবেশ ও অন্য অনেক কিছু নিয়ে, উঁচু ও নিচু পর্দা, কড়ি ও কোমল মিশিয়ে, লিখবেন নিয়মিত।
পড়ুন...অতীত মেতে থাকে হাসনুহানার গন্ধে। সে গন্ধে কখনও খুশির ফোয়ারা, কখনও বালিশে গুঁজরে কান্না আর কখনও তিরতিরে প্রেমের শিহরণ। সেই সব বুকে নিয়ে নিত্য যাপন কম ঝক্কির? সেই সব হিয়াভরা, হিয়াভারের ঝক্কির গপ্পো লিখবেন শ্রীজাত।
পড়ুন...বাঙালির গর্ব। বাংলাদেশের তো বটেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিশ্ব-ক্রিকেটের আঙিনায় প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাট-বল ম্যাজিক করেছে। আইপিএল-এর মারকাটারি প্লেয়ার। লিখবেন অনেক কিছু নিয়ে। আদতে অলরাউন্ডার তো!
পড়ুন...জীবনের আসা-যাওয়া মানে কেবল সময় নয়, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিও নয়। জীবনের আসল হিসেবটা দেয় জীবনে ঢুকে পড়া বা চলে যাওয়া মানুষগুলো। তাদের প্রকৃতি, তাদের চরিত্র, তাদের প্রভাব তৈরি করে জীবনের গ্রিনরুম। গ্রিনরুমের সেই সব কথা লিখছেন সুদেষ্ণা রায় তাঁর কলাম ‘ব্যাকস্টেজ’-এ।
পড়ুন...‘সিনেমা একটা শিল্প। বহু শিল্পী মিলে কাজ করে একটা সিনেমা তৈরি হচ্ছে। সেই শিল্পকে মাপবার কোনও সিস্টেম মানুষ বানাতে পারেনি, পারবেও না। কারণ একটা কিছু অনুভূতি এভাবে মাপা সম্ভব নয়।’
'...When trying to identify the right dancer for the solo with Maharaj-ji, Ray remained unsatisfied with the many dancers he saw. He recalled a young student of Maharaj-ji who had performed at a film festival event at Vigyan Bhavan some years before. That was Saswati Sen, who at that point had no thought of becoming a professional dancer.' One recital, a lifetime of memories.