

বনফুলের গল্পজগৎ
‘পরস্পরবিরোধিতা, বিপরীতধর্মী দুই প্রকৃতির টানাপোড়েন, সাদা-কালো-ধূসরের খেলা বনফুলের গল্পের ভরকেন্দ্র। একইসঙ্গে তা মানুষের নিষ্ঠুরতা আর মানুষের অসহায়তার গল্প।’
‘পরস্পরবিরোধিতা, বিপরীতধর্মী দুই প্রকৃতির টানাপোড়েন, সাদা-কালো-ধূসরের খেলা বনফুলের গল্পের ভরকেন্দ্র। একইসঙ্গে তা মানুষের নিষ্ঠুরতা আর মানুষের অসহায়তার গল্প।’
‘চাঁদের বুকে থাকা মানুষটিও অসীম আগ্রহে তাকিয়েছেন পৃথিবীর দিকে। যুগ-যুগ ধরে যে মুহূর্তের জন্য মানুষ অপেক্ষা করেছে সেই মুহূর্তকে যখন তিনি বাস্তব করছেন তখন কি তারও ইচ্ছে হয়নি একবার পিছনে ফিরে তাকাতে?’
‘আমৃত্যু গেয়েছেন রক্ত জল করে। অথচ, স্টেজ তাঁর বাঁধা হয়ে চলেছে, জীবনের দুঃখকে সামনে রেখেই। দুঃখ। ঠকে যাওয়া। অনিয়ম। আসক্তি। পতন। আরোপিত পতনের সুবিস্তৃত ফাঁদ।’
‘আমাকে একা রাস্তা পেরোতে দেখে গাড়ি তো দাঁড়িয়ে পড়লই, এমনকী একটা গাড়ির চালক নেমে এসে মাথা ঝুঁকিয়ে বাও করে হাত প্রসারিত করলেন, যেন আমি রাস্তা পেরিয়ে ওঁকে ধন্য করলাম! তত বাড়াবাড়ি না হলেও, থিম্পুতে বেশ লজ্জা লাগছিল এরকম রাজকীয় চালে রাস্তা পেরোতে।’
‘গান নিয়ে শৈলজারঞ্জনের এত খুঁতখুঁতানি ছিল যে, সেই সত্তর দশকেই লিখেছিলেন, জোয়ারের পর যেমন জল নেমে যায়— বাঙালি জাতির জীবনে প্রাবল্যের শেষে এসেছে তেমনই দৈন্য— আর এই মর্মান্তিক আবহে রবীন্দ্রনাথের গান, জাতির অন্যতম কলাসম্পদ, টিকবে তো আদৌ?’
‘বাদলের সঙ্গে ‘বদল’ শব্দটা যে জুড়ে আছে, তা পরেও একবার টের পেয়েছিলাম। ফেসবুকে ওঁর একটা ছবি পোস্ট করার পর, ইংরেজির BADAL বাংলায় হয়ে গেছিল বদল। বদল সরকার। কাকতালীয়, সন্দেহ নেই; কিন্তু বিস্মিত হয়ে ভাবি, পুরোটাই কাকতালীয় কি?’
“আমাদের চেতনা, বিশ্বাস আমাদের সামাজিক সত্তাগুলো নির্ধারণ করে না, বরং সামাজিক সত্তাই চেতনার নিয়ন্ত্রক। ঠিক এ-সংক্রান্ত একটি বিতর্ক উসকে দেন যশোধরা তাঁর বইতে। তিনি লিখছেন, ‘বিজ্ঞাপন সমাজমনকে নির্ধারণ করে, নাকি সমাজমনই আসলে বিজ্ঞাপনগুলি কেমন হবে প্রস্তুত করে দেয়;’”
“কিছুটা হাঁটার পর নদী পড়ল। আমি তো অবাক! পেরোব কী করে? নেপালি ভদ্রলোককে মোটেই বিচলিত দেখাল না। ওদের ভাষায় বলল, ‘আমার পিঠে উঠে পড়ুন ডাক্তার! চিন্তা নেই কোনও।’”
থিয়েটারকে নাগরিক বৃত্তের বেড়াজাল থেকে বের করে আনার যে লড়াই লড়েছিলেন বাদল সরকার, তা, বলা যায়, একরকমের মুক্তিযুদ্ধই। সেই লড়াইয়ে বাদল সরকার কিন্তু সফলও হয়েছিলেন।
আজ শ্রাবণের এই অবিশ্রান্ত জলধারায় আমরা আর বিজন ভট্টাচার্যকে পাব না। যে বিজন ভট্টাচার্য ‘সুবর্ণরেখা’-য় বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর, আমারে কইলকাতায় নিয়া যাবা?’ সেই কলকাতায় আমরা আর
‘কত কিছু যে শিখিয়েছেন, তা ঠিক গুনেগেঁথে বলা যাবে না। আসলে আমি যখন বাদলদার কাছে গিয়েছিলাম, তখন ছিলাম একটা মাটির তাল। সেই মাটির তাল থেকে বাদলদা আমায় গড়ে তুলেছেন। মৃণালদা হয়তো সেই গড়নের ওপর রং-টং চড়িয়ে আমায় আরও পালিশ করে দিয়েছেন, কিন্তু মুখ্য কারিগর হলেন বাদলদা।’
‘ছবির শেষে জানা যাবে, এই মূল্যায়নের আগে থেকেই রাষ্ট্র ঠিক করে দিয়েছে, কেউই পাশ করবে না (গত ছ’বছর ধরে কাউকে পাশ করানো হয়নি), কারণ নতুন মানুষ এলে তাকে লালন করার ক্ষমতা এই সমাজের এই মুহূর্তে নেই। শুধু নাগরিকেরা যাতে খুব হতাশ না হয়, তাই অভিনয় করতে হয়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.