পার্থ দাশগুপ্ত চিত্রকর, সেরামিক শিল্পী, ইন্সটলেশন শিল্পী, শিল্পশিক্ষক। ভারতে প্রথম সেরামিকস ট্রাইয়েনিয়াল ছাড়াও যোগদান করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপত্য প্রকল্পে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক সেরামিক প্রদর্শনীতে। দুর্গাপুজোর ব্যতিক্রমী মণ্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণা এবং ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
মোহন আগাশে পেশায় একজন মনচিকিৎসক এবং নেশায় অভিনেতা। তিনি হিন্দি, মারাঠি, ইংরেজি এবং বেশ কয়েকটি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নাটক নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ১৯৯৬ সালে তিনি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল অবধি তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সস্টিটিউ অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ছিলেন। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে তিনি এক জন অগ্রণী কর্মী, তাঁরই প্রচেষ্টায় ১৯৯১ সালে পুণেতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে রাজ্যস্তরে একটি ট্রেনিং ইন্সস্টিউট তৈরি হয়।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
রূপক বর্ধন রায় GE Heathcare-এ Research & Development leader হিসেবে কর্মরত, ফ্রান্স-এর নিস শহরে থাকেন। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ট্রাভেলগ ও সাহিত্য নিয়েই। এছাড়াও কবিতা, গদ্য, অনুবাদ প্রকাশ পেয়েছে একাধিক ইংরেজি ও বাংলা অনলাইন এবং মুদ্রিত পত্রপত্রিকায়। লেখালেখি ছাড়াও গানবাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মতো একাধিক বিষয়ে তাঁর সমান আগ্রহ রয়েছে।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
সুদীপ দত্ত ক্যালিফর্নিয়ায় কর্মরত একজন প্রযুক্তিবিদ। ভালবাসেন দেশ ঘুরতে, বাগান করতে, গান শুনতে এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রচলিত মতের পথিক না হতে। আনন্দবাজারে কয়েকটা লেখা লিখেছেন। এছাড়া খেলা দেখতে ও তা নিয়ে ভাবতে ভালবাসেন।