মুর্শিদা জামানের জন্ম ১৯৮৩ সালে বরিশালের ঝালকাঠিতে। বেড়ে উঠেছেন দক্ষিণবঙ্গের খুলনা শহরে। ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য নিয়ে মাস্টার্স করেছেন। তিনি গল্প,কবিতা এবং উপন্যাস লিখছেন। নিয়মিত লেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও দেশ বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে কাজ করছেন।
পেশায় গভর্নমেন্ট জেনারেল ডিগ্রি কলেজ, কালনার, শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এর সাথে সাথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার কাজে করছেন। অবসরে লেখালেখি করেন।
শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
রূপম ইসলাম গায়ক, সুরকার, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক; বিখ্যাত বাংলা রক্ ব্যান্ড ফসিলস্-এর প্রাণপুরুষ। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ২০১০ সালের বাংলা ছবি 'মহানগর@কলকাতা'-তে নেপথ্য গায়ক হিসেবে; কাজ করেছেন বিভিন্ন বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া এবং তেলুগু ছবিতে। বাংলা রক সঙ্গীত বিষয়ক লেখালেখি, পত্রিকা সম্পাদনা এবং বইপ্রকাশ নিরন্তর। সম্প্রতি নিয়মিত লিখছেন অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস।
নির্মাল্য ঘরামীর জন্ম দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মণ্ড হারবারে। ছোটবেলা কেটেছে গ্রামের স্কুলে। বাবার চাকরির সূত্রে বাংলার বিভিন্ন স্থানে থাকা। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে কর্মরত। ফলে আবার সেই ভবঘুরে জীবন। শখ : ছোটগল্প লেখা।
শান্তনু চক্রবর্তী সিনেমা, সময়, সমাজ নিয়ে লেখালিখি করেন। একাধিক বাংলা দৈনিক ও সামাজিক পত্রপত্রিকার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন দীর্ঘদিন ধরে। আগ্রহের বিষয়, জনপ্রিয় সংস্কৃতি। প্রকাশিত বই: ‘জনপ্রিয় সিনেমা’, ‘বলিউডের জন-গণ-মন’, ‘এক ছিলিম ফিলিম’, ‘ইতিহাসের সীমানা ছাড়িয়ে’।
সুলতা বিশ্বাস প্রথমে গুরুদাস কলেজে এবং পরবর্তীতে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। চাকরিজীবন কেটেছে আকাশবাণী ও দূরদর্শনের কারিগরি বিভাগে। প্রিয় মানুষদের ব্যক্তিত্বের হীরকদ্যুতিই তাঁর লেখালিখির অনুপ্রেরণা।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক। আগ্রহের বিষয় রাজনীতি, অর্থনীতি এবং ভাষাতত্ত্ব। বাংলা ও ভারতের বিভিন্ন সংবাপত্রে অর্থনীতি, রাজনীতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক একাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন। এছাড়াও লিখেছেন একাধিক কল্পবিজ্ঞান ও রহস্যকাহিনি। তাঁর প্রকাশিত বইগুলি হল ‘বাইট বিলাস’, ‘ক্যুইজ্ঝটিকা’, ‘পরিচয়ের আড্ডায়’, ‘আবার ফেলুদা, আবার ব্যোমকেশ’, এবং ‘চার’।