ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী; ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ধাঙ্গী। নৃত্যশিক্ষা অমলাশংকর এবং গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের কাছে। তাঁর নৃত্যশিক্ষালয়ের নাম ‘দীক্ষা মঞ্জরী’; একই নামে তাঁর নৃত্যদলের সঙ্গে ডোনা দেশে-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন।
ভবতোষ সুতার চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, ইন্সটলেশন আর্টিস্ট; কলকাতার দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এবং প্রতিমাশিল্পের পরিকল্পনা এবং বিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব। ভবতোষ ২০১১ এবং ২০১৯ সালের 'এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান: শ্রেষ্ঠ প্রতিমাশিল্পী' পুরস্কারপ্রাপ্ত; বিগত দুই দশক জুড়ে শহরের কোনায়-কোনায় তাঁর সৃষ্টি দর্শককে মুগ্ধ করে এসেছে।
দেবাশীষ দেব প্রখ্যাত অঙ্কনশিল্পী, কার্টুনিস্ট; চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এঁকে চলেছেন দেশ-বিদেশের অজস্র প্রকাশনা সংস্থায় প্রধানত ছোটোদের বইপত্রের প্রচ্ছদ আর ছবি। পরিচালনা করেছেন ইলাস্ট্রেটর ও কার্টুনিস্টদের নিয়ে গবেষণাধর্মী লেখালিখি, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ। লিখেছেন ভ্রমণ-কেন্দ্রিক ট্রাভেলোগ। 'রঙ তুলির সত্যজিৎ' তাঁর নিজস্ব শিল্পজীবন নিয়ে লেখা বই পাঠকমহলে উচ্চপ্রশংসিত।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
ইন্দ্রাণী দাশশর্মা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম স্টাডিজ থেকে এম.এ. পাশ করার পর বাংলা রেকর্ডসঙ্গীতের আদি পর্ব নিয়ে গবেষণায় রত। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ফর দ্য আর্টস, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং বার্লিন ফনোগ্রাম আর্কাইভ-এর সহযোগিতায় দুষ্প্রাপ্য রেকর্ড সংগ্রহ, ডিজিটাইজেশন, সংরক্ষণ এবং শব্দ পুনরুদ্ধারের কাজে বর্তমানে নিয়োজিত।
শর্মিষ্ঠা-র ছেলেবেলা ও স্কুলজীবন কেটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরে। বর্তমানে থাকেন আমেদাবাদ শহরে। আইটি সেক্টরের চাকরি ছেড়ে বাংলা ভাষায় লেখালেখি করতে আসা। প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘স্পর্ধা’ (‘দেশ’, ২০১৫), প্রথম ছোটগল্প ‘না পৌঁছনো মানুষ’ (‘দেশ’, ২০১৬)। ভাল লাগে গান, পিয়ানো আর সাইকেল।
সৈকত ভট্টাচার্য পেশায় ডেটা সায়েন্টিস্ট, নেশায় লেখক। বর্তমানে ব্যাঙ্গালোর নিবাসী। তাঁর লেখা বই: ‘উত্তরে আছে মৌন’ (২০২১) এবং ‘খামখেয়ালির পথ-পাঁচালি’ (২০১৯)।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।