সামথিং সামথিং: পর্ব ৬৯

কিছু জরুরি পরামর্শ

আপনি প্লেনে চড়লে মারা যেতে পারেন, যদি-না 11A নম্বর সিটে বসেন। পোলো খেলতে গেলেও মারা যেতে পারেন, যদি হাঁ করে থাকেন আর সেই ফাঁকে মৌমাছি সেঁধিয়ে যায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেও মারা যেতে পারেন, যদি সেই রাস্তা দিয়ে রাজনৈতিক দলের বিজয়মিছিল নাচতে-নাচতে চলে। একটা মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে হয়তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে কান চুলকোচ্ছেন বা এট্টু চানাচুর চোয়ালে নিয়ে মৌজ করছেন, হেনকালে এক পিস আখাম্বা প্লেন আকাশ থেকে খসে আপনার ঘাড়ে পড়তে পারে এবং তৎক্ষণাৎ দি এন্ড। আর কী কী ভাবে এই মহান দেশে আপনি সহসা অক্কা লভিতে পারেন? জানতে (এবং হুঁশিয়ার থাকতে) শরণাপন্ন হওয়া গেল ২৫ জুন ২০২৫-এর একটা ইংরেজি সংবাদপত্রের।

প্রথম পাতায় বড় খবর, ভারতে গত দু’দশকে ১৫-২৯ বছর বয়সিদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় দুটো কারণের একটা হল আত্মহত্যা। বোঝা যাচ্ছে, একেবারে কিশোর বা যুবা বয়স থেকেই হতাশার থাবা নাগরিকের হৃদয়ে খাবলা মারছে। চিনের তুলনায় এই আত্মহত্যার হার ছ’গুণ বেশি। অথচ আমরা তো ভাবি চিনে আনন্দের সম্ভাবনা দু’ইঞ্চি এবং রাষ্ট্রীয় চাপেই অহরহ দম বন্ধ। ফলে ভুল সমালোচনায় কান দেবেন না। খেয়াল রাখবেন, ভারতে থাকলে আপনার বয়স যেন কক্ষনও ১৫ থেকে ২৯-এর মধ্যে না হয়, আর যদি কোনও উদ্ভট ঘটনার ফলে তা হয়ে যায়ও, পাসপোর্ট করিয়ে রাখুন, তীব্র বিষাদ ঘটলেই চিনে চলে যান।

আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনির সংস্কৃতি আসলে আপনাকেও অপরাধী করে তোলে না তো? লিখছেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য…

প্রথম পাতারই ছোট খবর (বিস্তারিত খবর ১৭ নং পাতায়): ছত্তিসগড়ের রাজধানী রায়পুরে এক প্রতিবন্ধীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে, সে-দেহ সিমেন্টে গুঁজে, সেই সিমেন্ট-খণ্ড ভরা হয়েছে একটা সুটকেসে, তা আবার রাখা হয়েছে একটা স্টিলের ট্রাংকে। পুলিশ এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে, স্বামীটি উকিল। ওই উকিলের সাহায্যে একটা জমি বিক্রি করেছিলেন প্রতিবন্ধী ভদ্রলোক, কিন্তু যা কথা ছিল তার চেয়ে ২০ লাখ টাকা কম পেয়েছিলেন। যখন তিনি রেগে বলেন পুলিশে নালিশ করবেন, তখন উকিলটি লোক দিয়ে প্রতিবন্ধী ভদ্রলোককে খুন করায় এবং তাঁর দেহ গাপ করার সময়ে সে ও তার স্ত্রী দু’জনেই ছিল, সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট। তার মানে এদেশে বেঁচেবর্তে থাকতে গেলে মোটে জমি বিক্রি করবেন না, করলেও বেমালুম ঠকে গেলে রা-টি কাড়বেন না। হুইলচেয়ারে চলাফেরা করলে তো ডবল সতর্ক থাকবেন, সংঘাতে যাওয়ার দরকার নেই। 

ও হ্যাঁ, কখনও কাউকে স্কুলে দিতে যাবেন না। কারণ তৃতীয় পাতার খবর: কাশীপুরে এক ৭৩ বছরের বৃদ্ধা তাঁর নাতনিকে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছিলেন, এমন সময়ে এক মাতাল লোক কর্পোরেশনের একটা গাড়িতে উঠে পড়ে এবং তা হুড়মুড়িয়ে চালাতে শুরু করে। ইঞ্জিনে বোধহয় চাবিটা ঝুলছিল এবং যাঁর চালানোর কথা তিনি জঞ্জাল সাফ করায় ব্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অবশ্য বলছে এই হুট করে গাড়ি চালানো লোকটি মাতাল নয়, মানসিক প্রতিবন্ধী। সে পিছন থেকে ছোট মেয়েটিকে (১৪ বছর বয়স) ধাক্কা দেয়, বাচ্চাটির দুই পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চলে যায়, এরপর তার ঠাকুমাকে ধাক্কা দেয়, প্রথমে তাঁর হাতের ওপর দিয়ে চাকা চলে যায়, এবং তারপর গায়ের ওপর দিয়ে। বৃদ্ধা মারা গেছেন। এতে প্রমাণিত হয়, যেহেতু যে-কোনও ইঞ্জিনের সামনে গাড়ির চাবিটি ঝুলতেই পারে, এবং কারও শখ হতেই পারে সকাল-সকাল অন্যের গাড়ি চালিয়ে দেখার (বিকেল হলে মানুষ নিজের গাড়ি চালায় কিংবা গাড়ি নেই বলে চুপচাপ পার্কে বসে থাকে), সেহেতু কোনও রাস্তায় কদাপি হাঁটা উচিত নয়। সারা জীবন ঠায় বাড়িতে থাকুন ও টিভি দেখুন এবং প্রার্থনা করুন যাতে প্লেন না ভেঙে পড়ে। স্কুলে না পড়িয়ে সন্তানকে (বা তার সন্তানকে) যেটুকু পারেন নিজেই পড়ান, মাধ্যমিক অনলাইনে দেবে’খন।

ওই পাতাতেই খবর, একটি রাজনৈতিক দলের নেতার এক প্রাক্তন সহকারীর দেহ দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেল। বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে ও দমকলে খবর দেয় এবং তারা দরজা ভেঙে ভদ্রলোকের দেহ বের করে। ভদ্রলোক বাড়িতে একাই থাকতেন। আগুন কী করে লাগল বোঝা যায়নি, শুধু জানা গেছে ভদ্রলোকের ব্যবসায় ইদানীং ক্ষতি হচ্ছিল, ফলে আর্থিক টানাটানি চলছিল, আবার ঘুমের অসুবিধের জন্য ওষুধও খাচ্ছিলেন। হয়তো টাকার অভাবের জন্য যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা, তা থেকেই অনিদ্রা রোগ, এবং ওষুধ খাওয়ার জন্যই হয়তো আগুনের তাপ লাগলেও জেগে উঠতে পারেননি। কিংবা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে যে গুচ্ছ অন্যায়ের সাক্ষী থাকতে হয়, তাতে বিবেকদংশন জন্মে ও সেই কটাস-কটাস রাত্রিনিদ্রাকে ডকে তুলে দেয়। অথবা একলা বাড়িতে থাকলে খুব ভূতের ভয় করে এবং জলের শব্দ শুনলেও মনে হয় পায়ের আওয়াজ। এগুলো সবই অনুমান, কিন্তু সাবধানের মার নেই, নীতিকথা হল: রাজনীতি করবেন না (করলে নেতা হবেন, নেতার সহকারী নয়), ব্যবসা করবেন না, ঘুমের ওষুধ খাবেন না, বাড়িতে একা থাকবেন না।

এই দেশে নারী হয়ে জন্মাবেন না, যদি জন্মান, পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কদাপি যাবেন না, তাদের পছন্দের পুরুষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন। নিতান্ত প্রেম করলে নিজের জাতের পুরুষের সঙ্গে করুন (হোয়াটসঅ্যাপে আগে কুষ্ঠি দেখুন, পরে সেক্সটিং)। আর অন্য ধর্মের লোকের সঙ্গে পালাতেই যদি হয়, যত পারেন জামাকাপড় বইপত্র গয়না খেলনা পোঁটলা বেঁধে নিয়ে যান (ইলোপের আলাদা কুলি সার্ভিস চালু হবে শিগগির), নইলে সব অচিরে ভস্ম।

অন্যপাশে খবর, মুরগির দোকানে হাতাহাতি, মারা গেলেন এক মহিলা। তিনি অবশ্য প্রাথমিক ভাবে ঝঞ্ঝাটের মধ্যেই ছিলেন না। দোকানে এক ক্রেতা এসে দোকানিকে বলে, পয়সা নেই, ধারে মুরগি দাও। এদিকে লোকটা এমনিতেই দোকানির কাছে টাকা ধারে। দোকানি স্বাভাবিকভাবেই বলেন, মুরগি দেব না, আগের টাকা শোধ করো। তখন ক্রেতা একটা চপার নিয়ে (নিশ্চয়ই দোকানেই রাখা ছিল, মুরগি কাটার জন্য) দোকান তছনছ করে ও দোকানিকে আক্রমণ করে। হইহই শুনে দোকানির মা সন্তানকে বাঁচাতে ছুটে আসেন। ক্রেতা তখন মহিলাকে হুমকি দেয়, মেরে ফেলব, তারপর চপার দিয়ে তাঁকে কোপায় এবং রাস্তায় ঠেলে ফেলে দেয়। মহিলা মারা যান। তার মানে, ব্যবসা করলেও দোকানে চপার রাখবেন না, আর কাউকে টাকা ধার দিলেও কক্ষনও শোধ চাইবেন না। এবং জীবনে আর যা-ই করুন, সন্তানকে বাঁচাতে ছুটে যাবেন না। প্রশ্ন উঠতে পারে, চপার ছাড়া মুরগি কাটবেন কী করে, উত্তর হল, মুরগি কাটবেন না। হয় পূর্ণ অহিংসার দিকে চলে যান, পালং শাক ছাড়া কিচ্ছু বিক্রি নয়, কিংবা মুরগিকে খালি হাতে গলা টিপে মারার নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া অনুশীলন করুন। আরও প্রশ্ন: মা হয়ে সন্তান বিপন্ন জেনেও হাত গুটিয়ে থাকব কী করে। উত্তর: পা গুটিয়ে থাকুন ও উচ্চৈঃস্বরে জনতাকে বলুন আপনি এত নার্ভাস, সারা গা থরথরাচ্ছে, দৌড়তে পারছেন না।

ইতিউতি খবর আছে, চিনার পার্কে এক স্কুটার-চালক একটা গাড়িকে ওভারটেক করায় সেই গাড়ি থেকে চারজন নেমে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়েছে কিংবা এক কলেজছাত্রীকে তার প্রাক্তন প্রেমিক সারাক্ষণ অনুসরণ করছে ও গালাগাল দিচ্ছে এমনকী কলেজ গেটের সামনেও, কিন্তু এগুলো তো মৃত্যুতে গড়ায়নি, তাই ওভারটেক বা প্রেম করা জীবনের পক্ষে ক্ষতিকর— এই উপদেশ থেকে আমরা বিরত থাকব। অবশ্য না, এই তো (পৃ ১০-এর খবর), দিল্লিতে ১৯ বছরের মহিলাকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করল একজন লোক, যে তাকে অনুসরণ করত। সোজা কথায়, মেয়েটিকে প্রেম জানাত এবং প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারত না। একটা বোরখা পরে ছদ্মবেশ ধরে সে কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে। মেয়েটি তখন ছাদে কাপড় কাচতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের তর্কাতর্কি হয়, মেয়েটির গলায় দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে লোকটা শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে, তারপর ছতলার ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। বোঝা যাচ্ছে, বড় কম্পাউন্ডে থাকলে সজাগ দারোয়ান রাখতে হবে, বোরখাধারী (বা ধারিণীর) মুখের ছবি তোলার নিয়ম করতে হবে, গৃহস্থের অনুমতি ছাড়া কাউকে ফ্ল্যাটে যেতে দেওয়া যাবে না, ছাদের দরজা তালাবন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু এগুলোর চেযে অনেক বড় কথা, কোনও পুরুষ প্রণয় জানালে, কোনও নারীরই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া চলবে না। অনেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, নারীর মৌলিক অধিকার নেই কেন? উত্তর হল, ওসব আছে জার্মানি বা সুইডেনে, আমাদের রূপকথার রাজা মেয়েকে রেগেমেগে ধমকেছেন, কাল সকালে উঠে যার মুখ দেখব, তার সঙ্গেই তোর বিয়ে দিয়ে দেব। বোঝাই যাচ্ছে, জীবনব্যাপী এই বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে মেয়েটির পছন্দ বা সম্মতির প্রশ্ন ভারতীয় ঐতিহ্যে নিতান্ত গৌণ। (অবশ্য স্বয়ংবরের গল্পও আমরা পড়েছি, কিন্তু তার ফল আদ্ধেক সময়েই ভাল হয়নি, এমনকী স্বয়ংবরে একজনকে বেছে নেওয়ার পর বাড়তি চারজনের সঙ্গ করতে হয়েছে— এমন উদাহরণও আছে)।

অনার কিলিং-এ দড় ভারতীয় পরিবারও সে-লাইন মেনেই চলে। ১২ মার্চ উত্তর প্রদেশে একটি মেয়েকে (২৩ বছর বয়স) তার বাবা (৪০) আর ভাই (১৯) মিলে গলায় দোপাট্টা জড়িয়ে দম আটকে দিয়ে খুন করেছে, কারণ আগের দিন সে তার ছেলেবন্ধুকে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিল। মেয়েটি তেলি, আর ছেলেটি জাঠ, তাহলে এই বিয়ে সে করে কোন আক্কেলে? হত্যার সঙ্গে-সঙ্গে তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার সমস্ত পোশাকও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই পূর্ণ অবলুপ্তি, যেন মেয়েটির অস্তিত্বই কখনও এই পরিবারে ছিল না, তার প্রতিধ্বনি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায়, যেখানে পরিবারের মেয়ে অন্য ধর্মের পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করায়, মেয়ের শ্রাদ্ধ করা হয়েছে ২১ জুন। তার ছবিতে মালা দিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে, পুরুতমশাই মন্ত্র পড়েছেন, লোক ডেকে খাওয়ানো হয়েছে, পরিবারের পুরুষেরা ন্যাড়া হয়েছে, এবং মেয়েটির সব জিনিসপত্রই পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই দেশে নারী হয়ে জন্মাবেন না, যদি জন্মান, পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কদাপি যাবেন না, তাদের পছন্দের পুরুষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন। নিতান্ত প্রেম করলে নিজের জাতের পুরুষের সঙ্গে করুন (হোয়াটসঅ্যাপে আগে কুষ্ঠি দেখুন, পরে সেক্সটিং)। আর অন্য ধর্মের লোকের সঙ্গে পালাতেই যদি হয়, যত পারেন জামাকাপড় বইপত্র গয়না খেলনা পোঁটলা বেঁধে নিয়ে যান (ইলোপের আলাদা কুলি সার্ভিস চালু হবে শিগগির), নইলে সব অচিরে ভস্ম। নিজের হাসিমুখ-ফোটো ফেলে না যাওয়াই ভাল, প্রেমের একদম গোড়া থেকেই ফেসবুকে নিজের মুন্ডু পোস্ট বন্ধ করুন।

পঞ্চম পাতায় খবর, কুষ্টিয়া রোডে এক ৩৬ বছরের লোককে মোবাইল চোর সন্দেহে ১৮ জুন রকি নামে এক কুখ্যাত গুন্ডা আর তার তিন শাগরেদ মিলে এমন মেরেছে, তিনি মারা গেছেন এক সপ্তাহের মাথায়। মারের চোটে তাঁর পা ভেঙে গেছিল, হাত আর মাথা ফুলে গেছিল। ফলে এমন কিছু করবেন না, যাতে সন্দেহ হয় আপনি মোবাইল চুরি করেছেন। একইসঙ্গে রকি-দেরও একটু বকুনি দেওয়া উচিত, এই তো ওডিশায় দু’জন দলিতকে অত্যাচার করল ন’জন মিলে (সপ্তম পাতার খবর)। তারা দুই দলিত পুরুষের মাথা কামিয়ে দিয়েছে, হাঁটুতে ভর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করেছে এক কিলোমিটার, ঘাস খাইয়েছে, নর্দমার জল পান করতে বাধ্য করেছে— কিন্তু কই, খুন তো করেনি। ভারতে দলিত হয়ে জন্মাবেন না— এই সর্ববিদিত উপদেশ এখন থাক, আমরা ফিরে আসি মোবাইল-চুরির সন্দেহে। পকেটে মোবাইলই রাখবেন না। পাড়ার গুন্ডা-মস্তানের সামনে দিয়ে কখনও হাঁটবেন না। যদি বেপাড়ায় যান, চেষ্টা করবেন মাথা নীচু করে হনহনিয়ে পেরিয়ে যেতে। কেউ কিছু বললেই দৌড় লাগান, ‘ঝালাইয়ের দোকান কোনদিকে’-র উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। অবশ্য একেবারে গুন্ডাদের মারের মুখে পড়ে গেলে আর কিচ্ছুই করার নেই, বুকে ডটপেন দিয়ে 11A লিখে চোখ বুজে ফেলুন।