‘মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে/ ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—/ দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে/ নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?/ বরং তাকে বিচার করা ভাল/ যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর.../ তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—/ আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।’ নতুন কবিতা।
লখিমপুর খেরির ১৯ বছরের মেয়ে, তার ১২ বছরের বোনকে শাস্তি দিল প্রেমিক ও তার বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ ও খুন করিয়ে। কারণ বোন বলেছিল, দিদির প্রেমের কথা মা-বাবাকে বলে দেবে। এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য় কে দায়ী? বোন? প্রেমকে পাপ ভাবার মানসিকতা? মানুষের হিংসার প্রতি অদম্য আকর?
'এলিয়টও কী ভেবেছিলেন রবীন্দ্রনাথের মতো— শতবর্ষ পরে তাঁর কবিতা কীভাবে পৌঁছবে পাঠকের কাছে? গত এক শতাব্দী জুড়ে 'দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড' পড়া ও আলোচনা হয়েছে মূলত প্রথম মহাযুদ্ধের পটভূমিতে। আমাদের প্রজন্ম মহাযুদ্ধ দেখেনি। কিন্তু টানা দু’বছর ভয়াবহ অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করেছি আমরা। গত এপ্রিল বা তার আগের মার্চের মৃত্যুমিছিল দেখতে দেখতে, কিংবা ঘরে ফেরার টানে বান্দ্রা স্টেশনের বাইরে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের ছবি দেখে মনে পড়েছে এলিয়টের পংক্তি, ‘Unreal city!… I had not thought death had undone so many…’।'
কিছু জিনিস যেগুলো তোরা খেটে অর্জন করেছিস, যেমন ধরা যাক বহু সঞ্চয় করে, গুচ্ছের ই.এম.আই. দিয়ে কেনা একটা গাড়ি, তা নিয়ে গর্ব করছিস, বোকা কাজ করছিস কিন্তু তার একটা তাও মানে আছে। আমরা বুঝতে পারি। যখন দেখি তোরা চামড়ার রং নিয়ে গর্ব করছিস এবং একে অপরকে পাতি ছোট করছিস ওই বেসিসে, আমরা হ্যাং করে যাই। মানুষ বনাম মেশিনের দম্ভ!
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
আজ ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিনও বটে। তিনি জনহিতের উদ্দেশ্যে কাজ করে গিয়েছেন সারা জীবন। এবং তিনি ছিলেন কিংবদন্তী চিকিৎসক। এই দিনটি তাই ভারতে প্রতিটি চিকিৎসকের স্বীকৃতির দিন, শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের দিন। এ বছর এই দিনটির থিম হল— ‘ফ্যামিলি ডক্টরস অন দ্য ফ্রন্টলাইন’। পারিবারিক চিকিৎসক কেমন হবেন, রোগীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কই বা কী হওয়া উচিত? তিনি বন্ধু, শুধুই ডাক্তার, না বন্ধু-ডাক্তার।
প্রবন্ধ | শিল্প চিত্রকলা | সমালোচনা
'মীরা মুখোপাধ্যায়ের কাজের অপূর্ব স্পর্শানুভূতি থেকে আন্দাজ করা যায় কী সাংঘাতিক শ্রমসাধ্য পদ্ধতিতে, কত যত্নে তা নির্মিত। অরুণ গাঙ্গুলির ছবি এবং কিউরেটরদের লেখায় শুধু যে কার্যধারার বিভিন্ন ধাপ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে তাই নয়, শিল্পকর্মের শ্রমের বাস্তবতা, ঘাম-মাটি-ঘুঁটের গন্ধ, ঢালাইয়ের আগুনের তাপ আর বন্ধুত্বের উষ্ণতা উপলব্ধি করা যায়।'
একজন অভিনেতার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দর্শকের প্রশংসা এবং প্রতিক্রিয়া। যা কখনও খুব উদ্বেল করে অভিনেতাকে, কখনও করে মূহ্যমান। ভাল-মন্দ যা-ই হোক, সেটাই একজন অভিনেতার কাছে তাড়ণা, যার জন্য রজনীর পর রজনী সে একই নাটক বা ভিন্ন ভিন্ন নাটক নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হয়। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির দাঁড়িপাল্লা।
লখিমপুর খেরির ১৯ বছরের মেয়ে, তার ১২ বছরের বোনকে শাস্তি দিল প্রেমিক ও তার বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ ও খুন করিয়ে। কারণ বোন বলেছিল, দিদির প্রেমের কথা মা-বাবাকে বলে দেবে। এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য় কে দায়ী? বোন? প্রেমকে পাপ ভাবার মানসিকতা? মানুষের হিংসার প্রতি অদম্য আকর?
একজন অভিনেতার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দর্শকের প্রশংসা এবং প্রতিক্রিয়া। যা কখনও খুব উদ্বেল করে অভিনেতাকে, কখনও করে মূহ্যমান। ভাল-মন্দ যা-ই হোক, সেটাই একজন অভিনেতার কাছে তাড়ণা, যার জন্য রজনীর পর রজনী সে একই নাটক বা ভিন্ন ভিন্ন নাটক নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হয়। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির দাঁড়িপাল্লা।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় এমন এক জন কবি, যিনি বুকের গহীনে সব সময় উচ্চারিত হতে থাকেন। তাঁর স্বতত টলটলে উপস্থিতি সর্বদা বিদ্যমান। কিন্তু তা ভার বাড়ায় না। তাঁর উপস্থিতি বড় অনায়াস। কিন্তু তাঁর লেখা আত্মস্থ করার সময় মনে হয় তিনি অনন্য। আপাত সহজতা থাকলেও, তা সহজে লেখা যায় না। তাই তাঁর সঙ্গে বার বার দেখা করতে হয়।
বয়সে বৃদ্ধ মানেই জীবনের আনন্দ্রস্রোত থেকে খারিজ! যাঁরা বৃদ্ধ হননি, তাঁদের মনোবৃত্তিটা সে রকমই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা ভাবছেন, বয়সের প্রান্তে দাঁড়ানো মানুষজন অন্যকে বিরক্ত না করে কেবল নিজের অবসানের জন্য শান্ত ভাবে অপেক্ষা করবেন। তাঁর যেন আনন্দে অধিকার নেই, প্রেমের আকাঙ্ক্ষা নেই, উদ্যোগে বাতিল। নবীনদের প্রবীণদের প্রতি এমন উপেক্ষা বুমেরাং হয়েই আসবে।
শ্রাবণকাল এলে য়ে কেবল বৃষ্টিই ভেজায়, এমনটা নয়। ঝাপটা দিয়ে ভিজিয়ে দেয় এমন অনেক স্মৃতি, যা অন্য ঋতুতে তেমন প্রকট হতে পারে না। বর্ষার বৃষ্টি এসে মনের তালা ঝাপটা মেরে খুলে দেয় আর ঝমঝমিয়ে সে সব অনুভূতি সিক্ত করে মনের মাটি। খুব ব্যক্তিগত কিছু লেখা, স্মৃতি, কবিতা ভেসে ওঠে মনের উপরিতলে। সে সব অনুভূতির জটলাই হল এই খুব ব্যক্তিগত কবিতারা।
কাকের ল্যাজে ময়ূরের পালক দেখে অন্য কাকেরা যতই ঠোকরাক, সে খুলে ফেলতে রাজি নয়। তার তর্ক শুনে টিভিতে নিয়ে যাওয়া হল টক-শো'তে। সেখানে সে বোঝাল, কেন খোদার ওপর খোদকারি করাই বুদ্ধিমান প্রাণীর কর্তব্য। আর গানে বলা হল, যে টেকো লোক বাসস্টপে ঢুলছে, সে আমি। যে কুকুর তার ব্যথা চেটে সকালে লম্বা বিকেলে বেঁটে, সে আমি।
দর্শকের সামনে গিয়ে যদি অঙ্ক না মেলে? যদি না মেলে বাহবা, হাততালি, প্রশংসা? প্রত্যাশাকে সরিয়ে রেখে অভিনেতা যখন শুধু কাজে ডুবে যান, প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় যখন তৈরি হয় না শিল্প, সেই মায়াবী প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, আবশ্যক-অনাবশ্যকের কথা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষা ঋতুকে যে ভাবে তাঁর গান ও কবিতায় প্রকাশ করেছেন, যে ভাবে মূর্ত করে তুলেছেন, আর কোনও কবি বর্ষার বিভিন্ন রূপ ও তার অনুসঙ্গকে সেভাবে আমাদের মনে প্রবেশ করাতে বা ছুঁতে পেরেছেন কি না জানা নেই। আপাত নিত্য ব্যবহৃত শব্দ বসিয়ে তিনি গান বা কবিতার পূর্ণ রূপ দেন, তখন আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় সেই গানের বা কবিতার দ্যোতনায়। হয়তো বা সে ইজন্যই তিনি কালজয়ী।
‘মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে/ ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—/ দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে/ নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?/ বরং তাকে বিচার করা ভাল/ যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর.../ তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—/ আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।’ নতুন কবিতা।
'‘দ্য ব্যাটম্যান’ (২০২২) দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম। ঠিক যেন কমিক্সের পাতা থেকে উঠে এসেছে এই রুকি ব্যাটম্যান। সে এখনও গথামকে পুরোপুরি চেনেনি, শহরটাকে নিজের আয়ত্তে আনতে পারেনি। গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ভুল করেছে অনেক, আর তার জন্যে মাশুলও দিতে হয়েছে তাকে।' ব্যাটম্যানের বিবর্তন।