শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গলের কথা বললেই, যে ছবিখানা মনের মধ্যে ভেসে ওঠে— শ্রাবণ বিকেলে এক আকাশ ধূসর মেঘ আকাশে, দলে-দলে ছাত্রছাত্রীরা চলেছে। তারা চলেছে সবুজ গাছ, আর লাল কাদামাটির কাঁকুড়ে পথ পেরিয়ে— নাট্যঘরের দিকে।
কারও গলায় গুনগুন করছে বর্ষার গান, ফুল-কুঁড়ির গয়নায় সুসজ্জিত কেউ-কেউ— কারও হাতে অপরূপ সব মুদ্রার ছন্দ। সন্ধে নামলেই যে উদ্যাপন! ঋতুচক্রের নিয়মে— প্রকৃতি তার রূপ বদলায়, বছর ঘুরে, ধরা দেয় আবারও। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু বর্ষার আঙিনায়, সে-উৎসব শান্তিনিকেতনের মাটিতে ধরা রয়েছে, বর্ষামঙ্গলের আয়োজনে।
শান্তিনিকেতনের আবাসিক মানুষদের দৈনিক জীবনধারায়, প্রকৃতি যেভাবে মিশে আছে, তা অনন্য। প্রকৃতি তাদের জীবনযাপনে, তাদের আপন শোভার অরূপে, অন্তরঙ্গে— অভিন্ন হয়ে আছে। যার কখনও বদল নেই, আছে কেবল ফিরে আসা।
কলকাতার শহুরে স্কুলে জীবন কাটিয়েছি। খুব মনে আছে, বারো ক্লাসে পড়ার সময়ে, প্রথমবার শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গল দেখতে আসি। তাড়াতাড়ি নাট্যঘরে পৌঁছে, সামনের সারিতে বসেছিলাম অনুষ্ঠান দেখব বলে। তবে সেবার ইচ্ছেপূরণ হয়নি। জানা গেল, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আচার্য তথা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রয়াত হয়েছেন, সে-কারণে বর্ষামঙ্গল স্থগিত।
মন খানিক খারাপ হলেও, বর্ষা-উৎসবের সেই আমেজ উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম, কিছু পড়ুয়া এবং আশ্রমিকদের সান্নিধ্যে। তারপর স্কুলজীবন শেষ করে, বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের ছাত্র পরিচয়ে স্নাতক স্তরের পাঠ নিতে এলাম শান্তিনিকেতন। তখন যে ঋতুর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়, তা হল বর্ষা। প্রথম বছর আমরা বর্ষামঙ্গল পাইনি, কিন্তু তরুণ বয়সের চোখ আর মন দিয়ে— বর্ষাকে খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পেরেছিলাম।
ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে, শান্তিনিকেতনে ঋতু উৎসব শুরু হয়েছিল— কবিপুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উৎসাহে। তাঁর অকালমৃত্যুর পরেও, আশ্রমের নানা ঋতুকেন্দ্রিক উৎসব, উদ্যাপনের মধ্যে— তিনি সকলের মননে রয়ে গিয়েছেন।

শান্তিনিকেতনে যে-কোনও উৎসব অনুষ্ঠানের অন্যতম অঙ্গ হল গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক। এ যেন, সেই উৎসবের অর্চনা। বর্ষার আমেজে শান্তিনিকেতনে যে-যে উৎসব হয়ে থাকে, তার অন্যতম বৃক্ষরোপণ উৎসব; প্রতি বছর ২২ শ্রাবণ, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে। পরেরদিন সকালে, শ্রীনিকেতনে আয়োজিত হয়, হলকর্ষণ উৎসব। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অবধি চলে, রবীন্দ্র সপ্তাহের নানা আলোচনা ও বক্তৃতা। ১৫ অগাস্টের দিন সকালে, পতাকা উত্তোলনের পর, সন্ধ্যায় স্বদেশি গানের অনুষ্ঠান হয়। পরেরদিন, ১৬ অগাস্ট প্রতি বছর সন্ধ্যায়, আয়োজিত হয় বর্ষা ঋতুর উদ্যাপন, বর্ষামঙ্গল।
‘বর্ষামঙ্গল’ দিনটুকু বোঝাতে, তার আগের বেশ কিছু উৎসবের কথা উল্লেখ করলাম— কারণ শুধু এক-একদিন নয়, এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে রবীন্দ্রসপ্তাহ। তারই সমাপ্তি বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠান দিয়ে।
শান্তিনিকেতনে প্রথম ‘বর্ষা-উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ১৯১৫ সালে। জানা যায়, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ সে-উৎসবে নানা কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁর সকল গানের কাণ্ডারি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন, প্রমুখ ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় সে অনুষ্ঠান।

আলোকচিত্র: যতীন্দ্রকুমার সেন, ১৯৩৭ সাল
তার কয়েক বছর পর, ১৩২৮ সালের ৩ শ্রাবণ (১৯ জুলাই ১৯২১) বর্ষার কয়েকটি গান সহযোগে, ‘পূর্ণিমা সম্মিলনী’ নামে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়— রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ বিদেশ ভ্রমণের পর, দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি এবং মহড়া চললেও গুরুদেবের অসুস্থতার কারণে সেবারের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে হয়েছিল। পুনরায় তা মঞ্চস্থ হয়, অগাস্ট মাসের ১২ তারিখ।
অনুষ্ঠানের সাফল্যে, আচার্য রবীন্দ্রনাথ আরও কিছু গান লিখে, বর্ষামঙ্গলের আয়োজন করতে উদ্যোগী হলেন কলকাতার জোড়াসাঁকোয়। ১৩২৮-এর ১৭ ও ১৮ ভাদ্র (২, ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২১) ‘বিচিত্রা’ বাড়ির পেছনে খোলা জায়গায়, কাঠের চৌকি পেতে মঞ্চ তৈরি হয়। সভা সজ্জার দায়িত্বে ছিলেন, নন্দলাল বসু-সহ আরও অনেকে। গানে, কবিতায় পরিপূর্ণ ছিল বর্ষাযাপনের সেই সভা।
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ আবৃত্তি করেছিলেন সে-অনুষ্ঠানে। রবীন্দ্র-জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ১৯২১-এর বর্ষামঙ্গল, বাংলার চারুকলার ইতিহাসে একটি বিশেষ ঘটনা। এই বর্ষামঙ্গলের মাধ্যমে প্রথম, রবীন্দ্রসংগীতের জলসার সূচনা হয়েছিল। রবীন্দ্রকবিতা ও গানে অংশ নিয়েছিল, শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। গুরুদেব আবৃত্তি করেছিলেন গায়ক-গায়িকাদের মধ্যে বসে। তখনও শান্তিনিকেতনে নৃত্যের বিকাশ ঘটেনি।


বর্তমানে অগাস্ট মাসের গোড়াতে শুরু হয় বর্ষামঙ্গলের প্রস্তুতি পর্ব। বিশ্বভারতীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান সূচি গড়ে ওঠে। অংশগ্রহণে ইচ্ছুক পড়ুয়া এবং কর্মীদের নির্বাচনের জন্য অন্যান্য ভবন এবং দপ্তরগুলোতে নির্দেশিকা পৌঁছে যায়। নির্ধারিত দিনে, ইচ্ছুকজনেরা সংগীত ভবনে এসে, একত্রিত হয়। নির্বাচনের পর, সংগীত ভবনে শুরু হয়, নাচ-গানের মহড়া।
প্রথম কয়েকদিন আলাদা ভাবে, গানের দল এবং নাচের দল প্রস্তুত হয়; তারপরে, শেষের দিনগুলোতে মহড়া হয় একসঙ্গে। এই মহড়ার সময়টি সব থেকে আনন্দের। সাজগোজ, আনন্দ… ছাত্রজীবনের সুখস্মৃতি সঞ্চয়। আশ্রমিক, প্রাক্তনী-সহ অনেকেই সংগীত ভবনে ভিড় জমান মহড়া দেখার আগ্রহে। মঞ্চের সামনে আর খোলা আকাশে অদূরের বাক্সবাদাম গাছের ডাল-পালাগুলো দুলতে থাকে হাওয়া আর বৃষ্টির ছন্দে। সেই দৃশ্য দেখতে-দেখতে নাচ-গান করার মধ্যে— এক অসামান্য অনুভূতি রয়েছে যা শিল্পীর আত্ম-প্রকৃতিকে বিশ্ব-প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারে সহজেই।

মহড়া শেষে, নাচের দলের মধ্যে পোশাক সংক্রান্ত নানা পরিকল্পনা চলতে থাকে। গানের ভাব এবং তার আক্ষরিক মানে বুঝে পোশাকের রং ঠিক করা হয়, তারই মধ্যে, কোন দল অভিনব কিছু করতে পারে, চলতে থাকে সেই চেষ্টাও।
বর্ষার রং বলতে, প্রথমেই আমাদের মনে আসে, পাতার সবুজ, আকাশের গাঢ় নীল আর ঘন মেঘের ধূসর। তাছাড়াও, এই ঋতুতে প্রকৃতির অন্যান্য নানা বর্ণ, অনুষ্ঠানের সময়ে, পোশাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হত।
খুব মনে আছে, ‘থামাও রিমিকি ঝিমিকি’ গানে, বর্ষাকে ‘শ্রাবণ সন্ন্যাসী’ রূপে কল্পনা করে, আমরা সব ছেলেরা— দলের নাচে, গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবি পরেছিলাম। শুধু রঙই নয়, প্রকৃতির আরও নানা সম্ভার থাকে সজ্জায়, বিশেষত মেয়েদের আহার্যে (পরিধান)।
ফুল-পাতার গয়না সম্বন্ধে আমরা অনেকেই শুনে থাকি, দেখেও থাকি— সেই প্রাকৃতিক মণিরত্নের আভূষণ যেন, আজ বর্ষামঙ্গলের সাজ-সজ্জার এক বিশেষ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ‘মাষ্টারমশাই’ নন্দলাল বসুর পত্নী, সুধীরা দেবী কোনও এক আনন্দবাজারে (বিশ্বভারতী আয়োজিত শরৎকালীন মেলা), একডালা ফুলের গয়না বানিয়ে, গৌরী বসু ও যমুনা বসুর হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, মেলায় বিকিকিনির জন্য।



জানা যায়, সেই ফুলের গয়না রবীন্দ্রনাথের এত পছন্দ হয়, যে তিনি সব গয়না কিনে নিয়ে, নন্দলালের কন্যাদেরই পরিয়ে দেন। সুধীরা দেবীর সেই সহজ ভাবনার সার্থক শিল্পরূপ আমরা আজ দেখতে পাই। প্রবীণ আশ্রমিক দিয়ালী লাহিড়ীর অতীতের স্মৃতি থেকে জানতে পারি— টগর ফুল দিয়ে, গোরের মালা গেঁথে, গলায় ও হাতে পরা হত সে-যুগে; যার চল রয়ে গেছে আজও।
এ-প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া যাক, অতীতে বর্ষামঙ্গলের রূপ কেমন ছিল। আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিয়ালী লাহিড়ীর থেকে জানতে পারি, ১৯৬১ সালে অর্থাৎ গুরুদেবের জন্মশতবর্ষের উদ্যাপন উপলক্ষে নাট্যঘর নির্মিত হয়।
তার আগে, নাট্যঘরের মুক্তমঞ্চ ছিল উত্তরায়ণের দিকে। তাঁদের ছোটবেলায় বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠিত হত পাঠভবন লাইব্রেরির বারান্দায় (যা আজ স্টাফ রুমের বারান্দা)। অনুষ্ঠানে থাকত গুরুদেবের লেখা আবৃত্তি, সঙ্গে একক বা সমবেত গান সহযোগে নাচ। জানা যায়, কখনও আবার শুধু যন্ত্র-সংগীতের মাধ্যমে গুরুদেবের গান উপস্থাপিত হয়েছিল।

বর্ষামঙ্গলের দিন ভোর থেকে, ছোট-বড়— সব বয়সের ছাত্রীদের দেখা যায়, আশ্রম ঘুরে ফুল তুলতে। আশ্রমের নানা জায়গায় টগরের বেড়া, ‘মাধবীবিতান’ আর ‘করবী’ ছাত্রীবাসে মালতির লতা, গুলঞ্চ, রঙ্গন, জারুল, ফুরুশ ইত্যাদি সব ফুলে ভরে থাকে চারিদিক। ফুল তুলে, যে-যার হোস্টেলে বা বাড়ি গিয়ে, বিকেলের অনুষ্ঠানে পরার জন্য— মালা আর গয়না বানাতে শুরু করে। টগর ফুলের অভাব হলে, মালার মাঝের খানিকটা ভাগ করে, দেবদারু পাতা মুড়িয়ে গেঁথে নেয় অনেকে। সাহায্য করে বন্ধুরাই; অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলে, একে-একে প্রস্তুত হয়ে, পৌঁছে যায় নাট্যঘরে। সন্ধ্যা ৭ টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান।
প্রথমে পাঠভবন আর শিক্ষাসত্রের পড়ুয়াদের উপস্থাপনা। তারপর একে-একে আসে, বড়দের মানে স্নাতক-স্নাতকোত্তর স্তরের দলগুলোর, গান আর নাচ নিয়ে অনুষ্ঠানের বাকি পর্ব। প্রথমদিকের গানে, বর্ষাকে আবাহন এবং বন্দনা। মাঝে থাকে, ঋতু উদ্যাপন এবং সমাপ্তি ঘটে, বর্ষা বিদায়ের গান দিয়ে।
গুরুদেবের গানে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রগুলির সঙ্গে নাচের ধরন অনুযায়ী, মনিপুরি ‘পুং’ আর দক্ষিণী ‘এডাক্কা’-র সহযোগ বর্ষা সন্ধ্যার আবহকে যথার্থ উপভোগ্য করে তোলে। নাট্যঘরের মঞ্চ ভরে যায় নাচ-গানের দলে। দীর্ঘদিন প্রস্তুতিপর্বের সার্থক রূপ প্রকাশ পায় সেই সন্ধ্যায়। দর্শকাসন ভরে থাকে— নবীন, প্রবীণ, আশ্রমিক, প্রাক্তনী-সহ অনেকের উপস্থিতিতে। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে সাধু রব আর আশ্রম সংগীত ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’ গেয়ে।


বর্ষামঙ্গলের টুকরো-টুকরো অনুভূতি, স্মৃতি, অতীত এবং বর্তমানের কথা নিয়ে গাঁথা আমার এই লেখার ইতি টানব, দিয়ালী লাহিড়ীর অতীতচারণ থেকেই। পাঁচের দশকের শেষ দিকের কথা। সে-বার বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, পাঠভবন পাঠাগারের বারান্দায়। সকলের উপস্থাপনার শেষে, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, (মোহরদি) অশেষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের এস্রাজ সহযোগে একক সংগীত উপস্থাপনা করবেন বলে ঠিক করা হয়েছিল। এস্রাজের ছড়ে টান দেওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে, ঝির-ঝির করে, বৃষ্টি শুরু হল। দর্শকের ওপর শামিয়ানা না থাকার ফলে, বৃষ্টির বেগ বাড়তে একে-একে দর্শক আসন ছেড়ে চলে যেতে লাগল। তবুও মোহরদি গান ধরলেন—
‘বন্ধু, রহো রহো সাথে
আজি এ সঘন শ্রাবণপ্রাতে।
ছিলে কি মোর স্বপনে সাথিহারা রাতে।
বন্ধু, বেলা বৃথা যায় রে
আজি এ বাদলে আকুল হাওয়ায় রে—
কথা কও মোর হৃদয়ে, হাত রাখো হাতে।’
বৃষ্টির মধ্যে সমগ্র গৌরপ্রাঙ্গনে, সেই গান-এস্রাজের মূর্ছনা, আসন ছেড়ে যাওয়া— সকল দর্শককে আবার টেনে আনল তাদের আসনে। বৃষ্টির শব্দের মাঝে শেষ হল গান। সকলে স্তম্ভিত, আপ্লুত,অভিভূত। ক্রমে মিলিয়ে গেল এস্রাজের সুর বর্ষার আকুল আবহে।
তথ্যপঞ্জি
গীতবিতান,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ
রবীন্দ্রজীবনী,প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ
বিশ্বভারতীর নানা অনুষ্ঠানের রীতিনীতি, কিশোর ভট্টাচার্য, বইওয়ালা বুক ক্যাফে
দূরদর্শন শান্তিনিকেতন
সুন্দর শান্তিনিকেতন