টুকরো লেখা
১
কাজরী মাছ বিক্রি করে তিনটি মেয়ে
তাদের বাড়ি গ্রামের দিকে। ট্রেনেরা যায়।
সন্ধে হলে জোনাকি ভাল, পাখির চেয়ে।
তারা আঁশের মোহর খুলে রুপো বানায়।
২
জ্যোতিউজল বিড়ালী এক পাড়ামনিব,
ডানা পোড়ায় সারাটা রাত চাঁদের পায়ে
ক্ষতের প্রিয় বন্ধু জোটে সজল জিভ
জ্যোৎস্নাকে সে তলব করে চুরির দায়ে।
৩
করুণাঘন পায়েস, তাতে চোখের সর
কান্নাচালে রান্না হওয়া অল্প আঁচ
দুঃখ আজ সন্ধেবেলা স্বয়ম্বর
হাতের পাতা শুকিয়ে নেয় হৃদয়ছাঁচ
৪
এ-ছাদ কবে পাশ করেছে মাধ্যমিক
নম্বরের শুকনো পাতা পাখির মন
আজ মাদুর শান্ত কেউ বিছিয়ে দিক
সঞ্চয়ের বিষয় হোক পর্যটন
৫
তোমার চোখে দূরবিনের পুণ্য লাভ
দূরে মিনার বোড়ের মতো ক্ষুদ্রকায়
এই শহর বাণিজ্যের আশাবিলাপ
সন্ধে হলে গানের কথা ভাসান যায়
৬
খড়ের চালে নিরক্ষর হাতের লেখা
বহিরাগত পড়শিদের মায়ের নাম
পেতাম যদি জাতিস্মর নদীর রেখা
চলার পথে একটিবার থমকাতাম
৭
ঘোড়ার দুটি বিষণ্ণতা সহিস নেয়।
বাকি বেলুন সেজে ওড়ায় বালকমন
এই শহর সন্তদের অপব্যয়
একটি শিশু কাঁদতে থাকে সারাক্ষণ
৮
তোমার প্রিয় তস্করতা কী গ্রেফতার!
চরম সাজা মনখারাপ। চিঠির দিন।
দশ শব্দে রিপোর্ট লিখি অবস্থার
আমি নেহাত সাংবাদিক, সহায়হীন।




