

শুভারম্ভ: পর্ব ২২
সংগীত নাটক অকাদেমি’ এই বছরের জন্য একটি বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছে– ৮৬ জন বর্ষীয়ান শিল্পী ও শিল্পবাহীর মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যাঁদের বয়স ৭৫ বছরের বেশি এবং পূর্বে কোনওরকম পুরস্কারপ্রাপ্তি তাঁদের ঘটেনি।
সংগীত নাটক অকাদেমি’ এই বছরের জন্য একটি বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছে– ৮৬ জন বর্ষীয়ান শিল্পী ও শিল্পবাহীর মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যাঁদের বয়স ৭৫ বছরের বেশি এবং পূর্বে কোনওরকম পুরস্কারপ্রাপ্তি তাঁদের ঘটেনি।
’অনেকেই এমন আছেন, যাঁদের পেশাগত কারণে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বহু সময়েই দেখা যায়, সেই বাদ্যযন্ত্র হয় গন্তব্যে এসে পৌঁছয়নি, কিংবা আরও খারাপ, পৌঁছতে গিয়ে ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ শিল্পীর সংকট।
‘বহু্ শিল্পীর কাছে এই মুহূর্তের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে হাবুডুবু খেয়েও কোনও মতে টিকে থাকা… তাদের মনের মধ্যে এখন চলছে, নতুন রিল বানানোর জন্য কী ভাবা যায়…’
‘মাঝেমধ্যেই শিল্পীদের ধরাকে সরা জ্ঞান করা স্পনসর বা উদ্ধত পৃষ্ঠপোষকদের দিক থেকে নানাবিধ ঝামেলায় পড়তে হয়, যাঁদের আসলে শিল্পের কদর করার মতো রসবোধই নেই, বা থাকলেও তা খুবই সামান্য। যে সব শিল্পীদের নিদেনপক্ষে কয়েক বছরও ভারতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের সবার মুখেই যে এ বিষয়ে ভয়ানক রোমহর্ষক সব কাহিনী শোনা যাবে, তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই নেই।’
‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের বিভিন্ন প্রজন্মকে অনুষ্ঠান বা সঙ্গীতমেলায় গাইবার-বাজাবার সুযোগ পেতে বিভিন্ন রকম স্ট্র্যাটেজি বানাতে হয়েছে, কারণ একের পর এক অনুষ্ঠান বা কনসার্টের আমন্ত্রণ আসছে, এই ধরনের তারকা শিল্পী কেবল হাতেগোনা কয়েকজনই হন। বাকিদের নিজেরটা নিজেই বুঝে নিতে হয়, যেমন যুগের পর যুগ ধরেই হয়েছে।’
ভিড় সামলানোয়, মঞ্চ ও সাউন্ডের ব্যবস্থাপনায় শিল্পীদের কোনও হাত নেই। একমাত্র যেখানে তাঁদের হাত আছে, সেটা হল প্রায়শ এইসব অস্বাস্থ্যকর, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে তাঁরা পারফর্ম করবেন কিনা সেটা জানানোর অধিকার। তাঁরা সেই অধিকার প্রয়োগ করবেন কিনা, সেটা হয়ত ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এইসব সত্য স্বীকার না করা হবে, ততক্ষণ কেউ কিছু বদলানোর আশা করতে পারবেন না।
‘ভারতে আমজনতার কাছে, শব্দের এক্সপোজার থেকে স্বাস্থ্য-সমস্যা তৈরি হওয়া, বা অনেকটা সময় ধরে শব্দদূষণে উন্মুক্ত থাকার বিপদ সম্বন্ধে সচেতনতা এতই কম, এবং উদাসীনতা এতটাই বেশি, যে এই সমস্যা, বা এই ধরনের সমস্যার সমাধান বার করা বা প্রতিরোধ্মূলক ব্যবস্থা তৈরি করা প্রায় অসম্ভব, কিছুটা নিরর্থকও।’ শহরের শব্দ-সমস্যা!
‘এ-যুগে কে কখন বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়বেন, তার কোনো হিসেব নেই, তাই কখন যে কার মনে হতে পারে এই সব ব্যাঙ্গকর্মে আমাদের শ্রদ্ধেয় রাগসঙ্গীতের ধারাকে অবমাননা করা হচ্ছে, তারও কোনো ঠিক নেই। যতদিন না কেউ রাগ করছেন, তাই, আসুন আমরা ক্লাসিকাল সঙ্গীত নিয়ে বানানো ‘মজা’lগুলোকে নেহাতই নিরীহ এবং তুচ্ছ বলে উপেক্ষা করি, বা গুছিয়ে বসে নিজেদেরকে নিয়েই একটু হেসে নিই।’
‘তাঁর আর একটি অলৌকিক ক্ষমতা ছিল— তিনি বোধহয় একই সময়ে সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারতেন! এই বিশেষ ক্ষমতাটি তিনি প্রকাশ করে ফেলেন অনিচ্ছাকৃত ভাবেই। তিনি একই দিনে, একই সময়ে, এক শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত দুটি বা তার বেশি গানের আসরের রিভিউ করে বসলেন!’ সমালোচনায় কেলেঙ্কারি।
‘গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে তিন ভারতীয় শিল্পীর সঙ্গীত। এঁরা স্বাধীন শিল্পী অর্থাৎ কিনা, এঁদের মাথার উপর বড় সংস্থা বা প্রযোজকের ছাতা নেই। অথচ যাঁদের সেই খুঁটির জোর আছে, তাঁদের গান গ্র্যামির জন্য জমা পড়ে না।’ ভারতীয় সঙ্গীত জগতে বৈপরীত্য।
অনেকরকমের পৃষ্ঠপোষক আছেন, শিল্পীর সহায়তা বিষয়ে তাঁদেরও ধারণাও অনেকরকম। এবং সেই পৃষ্ঠপোষকরা তাঁদের মতো করে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারেন বা হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে পারেন, আর চূড়ান্ত ব্যর্থও হতে পারেন। মার্গসংগীতে পৃষ্ঠপোষকতার অবদান।
‘অন্য অনেক কিছুর মতোই, নবরাত্রি উপলক্ষে প্রকাশ পাওয়া গানের ধরন ও চরিত্র অবশ্যই পাল্টেছে। ঐতিহ্যবাহী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জনমানসে পুরনো হয়ে আসছে দ্রুত, আর তার জায়গা পূরণ করে ফেলছে ঝিনচ্যাক গান।’ নবরাত্রির শব্দ-পৃথিবীর পরিবর্তন।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.