শান্তনু বসু অভিনেতা, নাট্য পরিচালক, শিল্প নির্দেশক, নাট্য-শিক্ষক; বর্তমানে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-য় সহযোগী অধ্যাপক। অধ্যাপনা করেছেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠা করেছেন মণিরথ নাট্যদল।
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের এক জন প্রখ্যাত তবলাবাদক। তিনি ফারুকাবাদ ঘরানার তবলিয়া। তাঁর গুরু জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ। তিনি দেশে ও বিদেশে রবিশংকর, মনিলাল নাগ, মলিকার্জুন মনসুর, গাঙ্গুবাঈ হাঙ্গল সহ আরও বহু শিল্পীর সঙ্গে সঙ্গত করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন ভারতে এসেছিলেন পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় তখন রাষ্ট্রপতি ভবনে বাজিয়েছিলেন।
পণ্ডিত তন্ময় বসু একালের অন্যতম তালবাদ্য বিশারদ, তবলাবাদক, সুরকার ও অভিনেতা। তিনি ফারুক্কাবাদ ঘরানার প্রবাদপ্রতিম পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষের শিষ্য। পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং ওস্তাদ আমজাদ আলি খান-এর সঙ্গে সারা বিশ্বে অনুষ্ঠান করেছেন, সঙ্গত করেছেন প্রখ্যাত কর্ণাটকি শাস্ত্রীয় ভায়োলিন বিশেষজ্ঞ ডক্টর এল. সুব্রহ্ম্যনিয়ম-এর সঙ্গে। পত্তন করেছেন তাল তন্ত্র, একটি অনবদ্য ওয়ার্ল্ড মিউজিক প্রজেক্ট, যার প্রধান বিষয় তালবাদ্যচর্চ্চা।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় কবি, ক্যালিগ্রাফি শিল্পী এবং নন্দন-বেত্তা। জাপানের প্রেরণায় সূচনা করেছেন বাংলা ক্যালিগ্রাফির নতুন এক ধারার। শান্তিনিকেতনে তাঁর স্টুডিও ‘কোকোরো’ গড়ে উঠেছে এক জাপানি স্থপতির নকশায়। কর্মসূত্রে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক। আগ্রহ ও গবেষণার অন্যতম বিষয়, জাপান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
উৎসব মুখার্জি চিত্রপরিচালক, চিত্রনাট্যকার। পরিচালক হিসাবে তৈরি ছবি ‘হাফ-সিরিয়াস’, ‘ভীতু’; ওয়েব সিরিজ ‘কর্কট রোগ’, ‘সর্ষে-ইলিশ’। লেখক হিসাবে কাজ করেছেন ‘বরুণবাবুর বন্ধু’ এবং ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিতে।
শুভা মুদ্গল হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী। খেয়াল, ঠুমরি-দাদরার পাশাপাশি জনপ্রিয় ভারতীয় সঙ্গীত নিয়েও তাঁর কাজ ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সঙ্গীত সাধনার জন্য পেয়েছেন নানান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ভারতীয় সঙ্গীতের নানা আশ্চর্য জগতের গভীরে তিনি কয়েক দশক ধরে একাধারে সুরকার-গীতিকার, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং লেখক।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
সুভাষ কর্মকার পেশায় একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। চাকরির পাশাপাশি লেখালিখি, নাটক, ফোটোগ্রাফিচর্চা প্রভৃতি তাঁকে বেঁচে থাকার রসদ দেয়। ইরোবান ছদ্মনামে প্রকাশিত বই ‘অসম্পূর্ণ’।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।