সেকেলে ‘কলিকাতা’, সময়টা ১৮১৯; আজকের দিনেই জন্ম নিয়েছিল এক শিশু। কিন্তু সেই শিশুর ললাট-লিখন ব্রিটিশ কলিকাতার ছক্কর গাড়ি চড়ে যাওয়া, কোনও স্বদেশি বা বিলিতি দেবতা লিখেছিলেন কি না জানা নেই। তবে, সেই শিশুই যে ভবিষ্যতে ‘কলিকাতার যীশু’ হয়ে উঠবে, তা বুঝতে সময় লাগেনি বেশিদিন।
তৎকালীন কলকাতার, চোরবাগান এলাকার সুবর্ণবণিক কৌলিক মর্যাদাসম্পন্ন মল্লিক পরিবারের নীলমণি মল্লিক, দত্তক নিলেন শিশুটিকে। নাম রাখা হল, সকল রাজার মধ্যে ইন্দ্র, অর্থাৎ রাজেন্দ্র। বয়স তিনের কোঠা গড়াতে-না-গড়াতেই, প্রয়াত হলেন নীলমণি মল্লিক; শিশু রাজেন্দ্রর জন্য রেখে গেলেন ব্যবসার বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি। আর রেখে গেলেন তাঁদের সুবর্ণবণিক মল্লিক বংশের আরাধ্য দেবতা জগন্নাথদেবকে।
মল্লিক পরিবারের কলকাতায় আগমন পূর্বপুরুষ বাবু জয়রাম মল্লিকের সময় থেকে। তিনি ব্যবসার জন্যে প্রথম হুগলি অথবা চুঁচুড়ার কোনও অংশ থেকে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন গোবিন্দপুর গ্রামে। পরবর্তীতে, জয়রাম মল্লিকের সময়ে, তাঁরা পাকাপাকিভাবে চলে আসেন কলিকাতার পাথুরিয়াঘাটা অঞ্চলে। তবে, মল্লিক বংশের মূল ব্যাবসায়িক উৎকর্ষ হয় শ্যামসুন্দরের ছেলে গঙ্গাবিষ্ণু ও ভাই রামকৃষ্ণ মল্লিকের মিলিত বুদ্ধিতে। বড় ভাই গঙ্গাবিষ্ণুবাবুর ছেলেই ছিলেন নীলমণি মল্লিক। অন্যদিকে, ছোট ভাই রামকৃষ্ণবাবুর দুই ছেলে ছিলেন।


সব মিলিয়ে যখন একটি প্রতিপত্তিসম্পন্ন বর্ধিষ্ণু সম্পত্তির পরিবারিক মালিকানা রেখে গঙ্গাবিষ্ণু ও রামকৃষ্ণ প্রয়াত হচ্ছেন, তখনই নানা ভাগে ভাগ হয়ে গেল এই সম্পত্তি। নিঃসন্তান নীলমণি দত্তক নিলেন রাজেন্দ্রকে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে, অচিরেই প্রয়াত হলেন নীলমণিবাবু। নীলমণিবাবুর বিধবা স্ত্রীকে নিয়ে শিশু রাজেন্দ্র, পিতার থেকে প্রাপ্ত বিপুল সম্পত্তি যেমন পেলেন, তেমনই সেই সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও তাকে আরও সমৃদ্ধ করতে সচেষ্ট হলেন।
সে-সময়ের পাথুরিয়াঘাটা একটি জঙ্গলাকীর্ণ স্থান। কিছু তীর্থযাত্রী যাতায়াত করেন গঙ্গা পূজার জন্যে, আর কিছু ঘর বর্ধিষ্ণু জমিদারশ্রেণির মানুষ রয়েছেন। মাঝে মাঝেই শোনা যায় ডাকাতির খবর। এসবের মাঝেই অনেকে ভরসা পেতে পুজো দেয় মল্লিকদের আরাধ্য ভগবান জগন্নাথদেবের কাছে।
কিশোর রাজেন্দ্র দায়িত্ব নিলেন ভগবানের একটি মন্দির নির্মাণের, সেই সঙ্গে একটি পারিবারিক ঐতিহ্য-রক্ষাকারী প্রাসাদ নির্মাণের; ১৮৩৫ সালে মাত্র ১৬ বছরের রাজেন্দ্র মল্লিক যে-ভবন নির্মাণ শুরু করেন, লর্ড মিন্টো তার নাম দিয়েছিলেন ‘মার্বেল প্যালেস’। এহেন প্রাসাদোপম ভবন, তৎকালীন কলকাতার এক বিস্ময়! কিছু পরে হলেও, প্রথম ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা করলেন রাজেন্দ্রবাবু সেই প্রাসাদের ভেতরেই— যা আজও সগৌরবে সজীব। এই ইতিহাস তো অনেকেরই জানা কিংবা ঘুরে দেখে আসা গল্প। তবে, সেখানেই অধরা রয়ে গিয়েছে নীলমণি মল্লিকের আরাধ্য দেবতা জগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ— সেই সঙ্গে জুড়ে থাকা ‘স্বপ্নলব্ধ ইতিহাস’ ও একটি সম্প্রীতির বন্ধন।


তখন বেঁচে নেই নীলমণি মল্লিক। তাঁদের বাড়িতে জগন্নাথদেব পূজিত হচ্ছেন দেবতা হিসাবেই। এমনই সময়ে একদিন রাত্রে, রাজেন্দ্র মল্লিকের মা হীরামণি দাসী একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখলেন। দেখলেন, ভগবান জগন্নাথ তাঁদের বাড়ির দরজার বাইরে একটি বেতের পোটরার ভেতরে অপেক্ষা করছেন। কিছুতেই ভেতরে আসছেন না— শুধু ভেতরে আসার জন্যে আকুতি জানাচ্ছেন। পরদিনেই ছেলেকে অনুরোধ করলেন। রাজেন্দ্র মল্লিক মার্বেল প্যালেসের ভেতরে নির্মাণ করলেন জগন্নাথদেবের মন্দির, যেটি আজকের উপাসনার স্থান হিসাবে চিহ্নিত হয়। সেই সঙ্গে রাজেন্দ্রবাবু করে দিয়েছিলেন একটি দেবোত্তর ট্রাস্ট ডিড-ও। সে-সময় থেকে আজও, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের আহারের ব্যবস্থা হয়ে থাকে এখানে। প্রসঙ্গত, কলকাতায় আসার পর এখানেই শিবরাম চক্রবর্তী খেতেন প্রত্যহ।
যদিও মল্লিকদের নিজস্ব দেবতা হিসাবে জগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ নীলমণিবাবুর সময় থেকেই পাওয়া যায়। তাও, মনে করা যায়, যেহেতু রাজেন্দ্রের মা হীরামণির স্বপ্নে একা শুধু জগন্নাথদেব এসেছিলেন, তাই ছেলে রাজেন্দ্র জগন্নাথদেবের ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাহীন একক জগন্নাথদেবের পূজা করতে থাকেন। সে-সময়ে উড়িষ্যার পাণ্ডাদের নিযুক্ত করে এমনই করে রথের দিনে রথযাত্রা করে পুজো হত, সেই রীতি আজও বহমান।

রাজেন্দ্র মল্লিকের জন্মদিনে, ফিরে দেখা যাক তাঁদের পারিবারিক রথের নানা খুঁটিনাটি। আর একটি সম্প্রীতির বার্তাও যুক্ত হয়ে আছে জগন্নাথদেবের ওই ট্রাস্টির প্রসঙ্গে। মূল ভবনের পূর্বদিকে রয়েছে এই জগন্নাথদেবের মন্দিরটি। সেখানেই দেবতা থাকেন সারা বছর। নিত্য পূজা করা হয়, নানা উপাচারে ভোগ প্রদানের ব্যবস্থা তো আছেই! বিশেষ তিথি অনুসারে, আলাদা পূজা পেয়ে থাকেন জগন্নাথদেব। এই উপাসনা মন্দির থেকে দেবতাকে বের করে নিয়ে আসা হয় রথের সময়ে। তারপরে মূল ভবনের পাশে, অর্থাৎ চিড়িয়াখানার দিকের উদ্যানে ঘোরানো হয় সেই রথ। রথের সময়ে ছাড়া, অন্য সময়ে মন্দিরে আলোকসজ্জা থাকে, বিশেষ করে রথের সময়ে মন্দিরে থাকে নানা আয়োজন। সেখানে আজও বেলোয়ারি কাচের ঝাড়বাতির ব্যবস্থা হয় এবং প্রাচীন পদ্ধতির নানা আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে।
মল্লিকবাড়ির নিজস্ব নিয়ম অনুসারে, মূল উৎসব শুরু হয় জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিন থেকেই। সেদিন থেকেই শুরু হয় নানা আয়োজন— যা একেবারেই পুরীর প্রচলিত প্রাচীন নিয়মকে অনুসরণ করে করা হয়ে থাকে সেই রাজেন্দ্রবাবুর আমল থেকেই। সেই নিয়ম মেনেই, স্নানযাত্রার পরে জগন্নাথদেবের ঠান্ডা লাগে স্নানের পরে— তার জন্যে নানা ঔষধি ও পাচনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সেই সব পাচন খেয়ে দেবতা ধীরে-ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারপর, দেবতাকে অঙ্গরাগ করানো হয়। মল্লিক পরিবারের নিজস্ব নিয়ম অনুসারে দেবতাকে রথের দিনে সারাদিনের হিসাবে পুজো করা হয় ছ-বার। দিনের মোট আটটি প্রহরকে মাথায় রেখে, শয়নের দু’টি বাদে বাকি সময় ধরে এই পুজো হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে আছে চারবার আরতি। একবার সকালে, দুপুরে দ্বি-প্রাহারিক নিদ্রা দেওয়ার আগে, সন্ধ্যায় এবং শেষে রাতে শয়ন দেওয়ার আগে— নিয়ম করে এই চারটি আরতি হয়ে থাকে। এই চারবার আরতির মধ্যেই ছ-বারের বার যে-পুজো হয়, সেই সময়ে আলাদা ভোগ সহযোগে চলে জগন্নাথদেবের পুজো।


রথের উদ্দেশ্যে গমনের জন্যে, জগন্নাথদেবের যাত্রা শুরু করানো হয় মা লক্ষ্মীর ঘর থেকে। রাজেন্দ্র মল্লিকের মা হীরামণি দাসী দেখেছিলেন স্বপ্নে একক জগন্নাথদেবকে। সেই নিয়মে একক জগন্নাথদেব থাকেন স্ত্রী লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে মন্দিরকক্ষে। সেখানে প্রধান পুরোহিত পুজো করে আরতি সমাপ্ত করার পরে, নানা আড়ম্বরে দেবতাকে এনে স্থাপনা করেন রথে। রথে দেবতার উপবেশনের পরেই শুরু হয় মূল রথের পুজো। এই পুজোটিকে বিশেষ করে মল্লিক পরিবারের পারিবারিক রীতি অনুসারে বলা হয়ে থাকে ‘দাঁড়ে ভোগ’ রীতি। অর্থাৎ, রথকে যেন একটি চলমান গাড়ি না ভেবে, একটি শকটবাহী ঘর হিসাবেই কল্পনা করতে চাইছেন ভক্তরা। সেই শকটবাহী ঘরের দ্বারে ভক্তদের জন্যে দর্শন দিচ্ছেন স্বয়ং জগন্নাথদেব। এখানেও যেন মিলে যায় হীরামণির দেখা সেই বেতের পোটরার মধ্যে অপেক্ষমাণ জগন্নাথদেবের কথা। অতএব, তাঁকে উদ্দেশ্য করে যখন এই ভোগ বা পুজো নিবেদিত হচ্ছে, তখন সেই ভোগকে ভক্তদের পক্ষ থেকে ‘দাঁড়ে ভোগ’ হিসাবেই কল্পনা করা সঙ্গত। সেই ভোগের মধ্যে থাকে নানা বিজোড় সংখ্যায় কাটা ফল ও নানা রকমের মিষ্টি— তাতে বিশেষ করে শুকনো মিষ্টি বেশি দেওয়া হয়। ধীরে-ধীরে রথের দড়িতে পরে টান।

মল্লিকবাড়ির এই রথযাত্রায় মহাপ্রসাদের মধ্যে থাকে বিশেষ একটি মিষ্টি— যাকে বলা হয় ‘জগন্নাথবল্লভ’। এটি বিশেষভাবে দুধ, ক্ষীর ও কিছু উপাদানের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়, শুধুমাত্র জগন্নাথদেবের উদ্দেশে নিবেদনের জন্যেই। সেই সঙ্গে থাকে নানা শুকনো মিষ্টি এবং নিরামিষ খাস্তা জাতীয় খাদ্যসামগ্রী। সেই সকল খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে নানান আকৃতির গজা, খাজা, নিমকি ইত্যাদি খাদ্যবস্তু। সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, ভগবানের উদ্দেশে দেওয়া ছাপান্ন ভোগ। কথিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন সাতদিন ধরে গোবর্ধন পর্বত নিজের আঙুলে ধরে ছিলেন, তখন অভুক্ত ভগবানের জন্যে পল্লিবাসীরা হিসাব করে ভোগ নিবেদন করেছিলেন গিরি স্থাপনার পরে। সেই সাতদিন থাকার জন্যে যে আট প্রহরের ভোগ— সেই হিসাবেই মোট সাত আর আটের গুণফলের থেকে ছাপান্ন ভোগের ধারণা এসেছে। সেই ছাপান্ন ভোগ মল্লিক পরিবারের পক্ষ থেকে জগন্নাথদেবকে নিবেদন করা হয়। সেই ভোগের মধ্যে থাকে ভাত, কয়েক প্রকারের ডাল, খিচুড়ি, কয়েক প্রকারের শাক, বড়া, ভাজা বড়ি, বিশেষ কিছু নারকেলের পদ, মিশ্রিত তরকারি (যেমন নানা প্রকারের ঘণ্ট); মুখরোচক হিসাবে প্রভুকে দেওয়া হয় আমের কাসুন্দি, নানা স্বাদের আচার ও শেষ পাতে কিছু ধরনের মিষ্টি এবং পায়েস। কিন্তু এই বাড়ির রথ কখনওই বাড়ির বাইরে বের হয়নি; সেটি বাড়ির মধ্যেই যে-উদ্যান অংশ, সেখানে সকলে মিলে ঘোরানো হয়; তারপরে সেটি এক জায়গায় থাকে সাতদিনের জন্যে, আবার উল্টোরথের সময়ে, জগন্নাথদেব ফিরে আসেন নিজের মন্দিরকক্ষে।
রথে দেবতার উপবেশনের পরেই শুরু হয় মূল রথের পুজো। এই পুজোটিকে বিশেষ করে মল্লিক পরিবারের পারিবারিক রীতি অনুসারে বলা হয়ে থাকে ‘দাঁড়ে ভোগ’ রীতি। অর্থাৎ, রথকে যেন একটি চলমান গাড়ি না ভেবে, একটি শকটবাহী ঘর হিসাবেই কল্পনা করতে চাইছেন ভক্তরা।
রথ নাহয় ফিরে গেল, কিন্তু এই মন্দিরের প্রায় বিপরীতে রয়েছে ‘বাঙালি বাবুর মসজিদ’, যেটি নির্মাণ হয়েছে মার্বেল প্যালেসের দক্ষিণ অংশে। এটির নির্মাণের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে জগন্নাথদেবের সেই ট্রাস্ট ডিডের সম্পর্ক। সেই ডিডের সম্পত্তি হিসেবে নির্মিত হয়েছে এটি। এই মসজিদের প্রসঙ্গে অনেকেই দাবি করেন, একমাত্র এটিই ‘জগন্নাথদেবের আরাধ্য হিন্দু বংশের দ্বারা পরিচালিত মসজিদ’— যেটি কিনা হিন্দু-ধর্মীয় ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে সংরক্ষিত রয়েছে।
একটি সবুজ গম্বুজ ও একেবারে গথিক নির্মাণ বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি প্রাচীন কলকাতা স্থাপত্য নিদর্শন। যেহেতু এই এলাকাটি ছিল বেশিরভাগ নিম্নবর্গের মুসলমান ধর্মীয় জনসাধারণের স্থান এবং তাঁরাও অংশ নিতেন রথের সময়ে, তাই তাঁদের নিজস্ব ধর্মাচরণের জন্যেই এই মসজিদের নির্মাণ করেছিলেন রাজেন্দ্রবাবু। বিশেষ করে মসজিদের প্রসঙ্গ আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, পবিত্র ঈদ বা প্রাত্যহিক নমাজের পরে মিষ্টি কেনার টাকাও দেওয়া হয় মন্দিরের তহবিল থেকেই। এখানে ট্রাস্টের থেকে বেতনভুক্ত পূজারি আছেন, যিনি নিয়মিত অর্চনার ভার বহন করেন। এই পদটি রাজেন্দ্রবাবুর সময় থেকেই বংশানুক্রমিক হয়ে চলে আসছে। এই মসজিদের আলাদা প্রবেশপথ থাকার সুবিধায় মূল মার্বেল প্যালেসের ভেতরে না এসেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নিজেদের উপাসনা করতে আসতে পারেন।



প্রতিবার রথের দু’দিন, মার্বেল প্যালেসের দরজা সকলের জন্যে উন্মুক্ত হয়ে যায়। এমনিতে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করা সম্ভব হলেও— জগন্নাথদেবের রথের রশির স্পর্শে ধন্য হতে সকলের দ্বার খোলা। শুধু তাই নয়, জগন্নাথদেবের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে আজও বসে এখানে একটি অসাধারণ রথের মেলা। বিশেষ করে রথের দিনে ও উল্টোরথের দিনে তো বসেই! তবে, কালের অমোঘ নিয়মে সেই মেলার বিক্রীত জিনিসপত্রের মধ্যে থেকে মুছে যাচ্ছে পুরনো ‘কলিকাতা’র ছাপ। তবে, আজও এই রথযাত্রা ও ‘পাঁপড়’ হাতে রথের মেলায় ঘোরার মধ্যে দিয়েই বেঁচে আছে, রাজেন্দ্র মল্লিকের সুখস্মৃতি।
ছবি ঋণ: ইন্টারনেট, শ্রেষ্ঠা চ্যাটার্জি