কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক। লিখিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'অবাঙমানসগোচর', 'আত্মানাং বিদ্ধি', 'পাঁচ দুপুরের নির্জনতা', 'বেলঘরিয়ার ইতিহাস সন্ধানে' প্রভৃতি। সম্পাদিত ও সংকলিত গ্রন্থের মধ্যে 'দেশভাগ এবং', 'না যাইয়ো যমের দুয়ার' প্রশংসা পেয়েছে পাঠকমহলে।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
প্রাবন্ধিক। খেলা তাঁর ভালবাসার মূল ক্ষেত্র। আর্জেন্টিনা, ইস্টবেঙ্গল, বার্সেলোনা, লিওনেল মেসি থেকে টিম ইন্ডিয়া, এই সবকিছু নিয়েই লিখে চলেন নিয়মিত। আরও বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী। সম্প্রতি বাংলা ছবির চিত্রনাট্যকার হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন।
মৃদুল দাশগুপ্ত কবি, গদ্যকার। এছাড়া লিখেছেন ছোটগল্প, ছড়া। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ’ কবিতা-বইয়ের জন্য পেয়েছেন বাংলা আকাদেমির সুনীল বসু-অনীতা বসু পুরস্কার (২০০০)। ২০১২ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার। সেলিম পারভেজ নামে একাধিক গ্রন্থের প্রচ্ছদও করেছেন নানান সময়ে। ‘শত জলঝর্ণার ধ্বনি’ আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি।
গানঅন্ত প্রাণ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের প্রাক্তনী। বিশ্ববিদ্যালয়-পর্বে যুক্ত থেকেছেন নানান পত্র-পত্রিকা সংকলনের কাজে। পরবর্তী কালে টেলিভিশন এবং রেডিওতে নিয়মিত কাজ, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ওয়েব ম্যাগাজিন, ব্লগে লেখা, পড়া আর পড়ানো এই নিয়েই জীবনযাপন।
পেশা সাংবাদিকতা, নেশাও তাই। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেলে। সংবাদের পাশাপাশি ভালবাসেন ফিচার লিখতে। ‘আজকাল’ দৈনিকের প্রাক্তন ডেপুটি এডিটর। বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্রের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা প্রখ্যাত সাংবাদিক। আয়ুষ জোশি স্বাধীন সাংবাদিক। ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তথ্যনির্ভর ও তদন্তমূলক সাংবাদিকতা করে চলেছেন দু’জনেই।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর। আপাতত গবেষণা ও সম্পাদনার নানা কাজে রত। গান তুমি হও (কবীর সুমনকে নিয়ে সংকলন), ঋতুপর্ণ এবং (ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে সংকলন) তাঁর সম্পাদিত বই।
ড. সম্পূর্ণা চক্রবর্তী একজন শিল্প-ইতিহাসবিদ ও আর্কাইভ বিশেষজ্ঞ, যিনি দক্ষিণ এশীয় শিল্প, প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস ও আর্কাইভ পদ্ধতির নানা ধারায় কাজ করেন। তিনি বিশ্বভারতীর কলাভবনের প্রাক্তনী। তাঁর প্রদর্শনী-সমালোচনা, প্রবন্ধ ও গবেষণা আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি কলাভবনের বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় আর্কাইভস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের আর্কাইভাল অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি সমরেশ বসু ডিজিটাল আর্কাইভের আর্কাইভিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজীব চক্রবর্তী পেশায় ভাষাবিজ্ঞানী, নেশায় আর্কাইভিস্ট। নিজের আগ্রহে ডিজিটাইজড করেছেন অজস্র দুষ্প্রাপ্য রেকর্ড। সংগীত নিয়ে নিয়মিত চর্চা করার পাশাপাশি ভালবাসেন বই পড়তে, গান শুনতে, আড্ডা মারতে।
একরাম আলি কবি, গদ্যকার, প্রাবন্ধিক। প্রকাশিত কবিতার বই : ‘অতিজীবিত’, ‘ঘনকৃষ্ণ আলো’, ‘আঁধারতরঙ্গ’, ‘বিপন্ন গ্রন্থিপুঞ্জ’, ‘পোড়া মাটির ঘড়ি’ প্রভৃতি। প্রবন্ধের বই : ‘মুসলমান বাঙালির লোকাচার’, ‘অ্যাপোলোর পাখি’ এবং ‘বেদনাতুর আলোকরেখা’। ‘ধুলোপায়ে’ এবং ‘হ্যারিসন রোড’ তাঁর দুটি স্মৃতিকথার বই। পেয়েছেন বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার এবং পশ্চিবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সম্মান।