

অন্য পুরুলিয়া
ইতিহাস আশ্রিত বা ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখতে গেলেই প্রথম যে বাধার সামনে পড়তে হয়, তা হল ভাষা। সময়টাকে ধরতে গিয়ে অনেক লেখক একটা আড়ষ্ট, কৃত্রিম ভাষার ফাঁদে পড়ে যান। এই বইয়ের লেখক সেই ফাঁদে পা দেননি।
বই সমালোচনা। ‘তাম্বুলি-আখ্যান’
ইতিহাস আশ্রিত বা ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখতে গেলেই প্রথম যে বাধার সামনে পড়তে হয়, তা হল ভাষা। সময়টাকে ধরতে গিয়ে অনেক লেখক একটা আড়ষ্ট, কৃত্রিম ভাষার ফাঁদে পড়ে যান। এই বইয়ের লেখক সেই ফাঁদে পা দেননি।
বই সমালোচনা। ‘তাম্বুলি-আখ্যান’
‘মহেন্দ্রনাথের বিপুল রচনাসংগ্রহের দিকে তাকালে বিস্ময়ে অভিভূত হতে হয়। কত বিচিত্রমুখী ছিল তাঁর অপরিমেয় প্রজ্ঞা। রামকৃষ্ণ-ভাবান্দোলনের প্রথম যুগের দক্ষ স্মৃতিলিপিকার তিনি; কিন্তু সেটুকুই সব নয়।’ মহেন্দ্রনাথ দত্তর জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…
‘বইয়ের সৌন্দর্য বাইরের না ভেতরের, এই আলোচনারও কোনও শেষ নেই। তবে কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় কান পাতলে কানাঘুষো শোনা যায়, পেপারব্যাক বইতে লাভ প্রায় নেই বললেই চলে। উপরন্তু তা বিকোয়ও কম। অনেক পাঠকও নাকি বোর্ড বাঁধাই বই কিনতেই ভালবাসেন। কেন এই চাওয়া?’
‘যে-দেশে কয়েক মাইলের তফাতে বদলে যায় ভাষার গড়ন, ভাষার আদল, সেই দেশে কোন গজদন্তমিনারে বসে শহুরে বাঙালি নির্ধারণ করছে যে, পরিযায়ী রাজমিস্ত্রি, শ্রমিকরা আদতে এদেশি-ই নয়? এই ঘৃণাবোধের শিকড় কি কেবলই দেশ বা ভাষার সীমায় বাঁধা?’
‘পুরাণ-সংস্কার-অভিকরণের মিলমিশে থিয়েটার, নৃত্য, চিত্রকলা ও চলচ্চিত্রের যে অপরূপ বিকাশ ও বিস্তার গত শতকের তিন দশক ধরে দেশের এক সম্পদ রূপে আদৃত হয়েছে, তাকে কিন্তু ক্রমাগত লড়তে হয়েছে ভারত রাষ্ট্রের পাশবিক সামরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’
‘আমরা বলে থাকি থিয়েটার একটি যৌথ শিল্পমাধ্যম, কিন্তু শিল্পের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে নিবিড় চর্চা ও পারদর্শিতাকে পাথেয় করে নাট্য-প্রযোজনা করেছেন এমন পরিচালক আন্তর্জাতিক থিয়েটারে বিরল।’
‘লোকটা আসলে ম্যাভেরিক ইন নেচার; যদি খুব সহজে সাফল্য এসে যায়, তখন বোধহয় ওখানে উনি ক্লান্ত বোধ করেন। এবং সেখানে থেমে থাকতে চান না। এধরনের মানুষরা নিজেই নিজেদের ক্রাইসিস তৈরি করেন এবং নিজেরাই সেগুলো সল্ভ করার চেষ্টা করেন।’
‘সত্যি অর্থে আয়নায় মুখ দেখলে বাঙালির জাতিসত্তায় যা উঠে আসে, তা হল বুদ্ধিমত্তার আত্মাভিমান। সত্যির অহংকার যদি সত্যির থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আসল সত্যি ভস্মীভূত হয়।’
‘অন্ধকারের গান বাঁধলেও মানুষ হিসেবে কিন্ত ভারী মিষ্টি ছিলেন অজি। পুরোটাই উনি করেছেন সুন্দর রসবোধের মাধ্যমে, মজার সঙ্গে। এটাই ভীষণ অনুপ্রেরণা দেয় আমাকে। ‘Changes’, ‘Dreamer’, ‘Mama I’m coming home’-এর মতো গান ওঁর ভীষণ সংবেদনশীল একটা দিককে সামনে আনে।’
‘বাংলা সিনেমার ইতিহাসে না-হওয়া ছবি, ইন্ডাস্ট্রির মনের ছবি দেখায়। একেকজন পরিচালকের ভাবনার ইতিহাসটা দেখিয়ে দেয়। উত্তমকুমারকে নানা কাহিনির নানা চরিত্রে অভিনয় করানোর এই ভাবনাগুলো মহানায়কের অভিনয়-ইতিহাসে নানা সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল।’
“আমাদের চেতনা, বিশ্বাস আমাদের সামাজিক সত্তাগুলো নির্ধারণ করে না, বরং সামাজিক সত্তাই চেতনার নিয়ন্ত্রক। ঠিক এ-সংক্রান্ত একটি বিতর্ক উসকে দেন যশোধরা তাঁর বইতে। তিনি লিখছেন, ‘বিজ্ঞাপন সমাজমনকে নির্ধারণ করে, নাকি সমাজমনই আসলে বিজ্ঞাপনগুলি কেমন হবে প্রস্তুত করে দেয়;’”
“‘অনঙ্গমোহন’ কাব্য দিয়ে তাঁর লেখালেখির শুরু। সংবাদ-প্রভাকর দফতরে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত যে-দিন একটা ‘ইংলিশম্যান’ কাগজ থেকে খানিকটা তাঁকে অনুবাদ করতে বলেছিলেন, অক্ষয়কুমার সোজা বলে দিয়েছিলেন, ‘আমি কখনও গদ্য লিখিনি, আমি লিখতে পারব না’। পরে গদ্যই হয়ে ওঠে তাঁর লেখার প্রধান বাহন।”
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.