

কান্নাকাটি-হল্লাহাটি
‘সমাজ মাধ্যমের তীব্র ক্ষমতার যুগে, একটা ‘কান্নাকাটি’র ভিডিও ভাইরাল করে দিতে পারলেই যারা পরে সিনেমাটা দেখতে যাবে, তারাও একই আবেগের মধ্যে দিয়ে যাবে। মানুষের যুক্তিবুদ্ধি কাজ করবে না।’
‘সমাজ মাধ্যমের তীব্র ক্ষমতার যুগে, একটা ‘কান্নাকাটি’র ভিডিও ভাইরাল করে দিতে পারলেই যারা পরে সিনেমাটা দেখতে যাবে, তারাও একই আবেগের মধ্যে দিয়ে যাবে। মানুষের যুক্তিবুদ্ধি কাজ করবে না।’
‘সত্যি অর্থে আয়নায় মুখ দেখলে বাঙালির জাতিসত্তায় যা উঠে আসে, তা হল বুদ্ধিমত্তার আত্মাভিমান। সত্যির অহংকার যদি সত্যির থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আসল সত্যি ভস্মীভূত হয়।’
‘সিনেমা ও উপন্যাস মিলিয়ে আমরা দু’রকমের কারণে ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ আসা দেখতে পাব; আপাতভাবে দুটো আলাদা হলেও, শেষপর্যন্ত দুই-ই গিয়ে দাঁড়ায় ছেড়ে আসার যন্ত্রনায়, যার মূলে রয়েছে ভয়, আতঙ্ক।’
‘বাংলা সিনেমার ইতিহাসে না-হওয়া ছবি, ইন্ডাস্ট্রির মনের ছবি দেখায়। একেকজন পরিচালকের ভাবনার ইতিহাসটা দেখিয়ে দেয়। উত্তমকুমারকে নানা কাহিনির নানা চরিত্রে অভিনয় করানোর এই ভাবনাগুলো মহানায়কের অভিনয়-ইতিহাসে নানা সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল।’
‘ছবির শেষে জানা যাবে, এই মূল্যায়নের আগে থেকেই রাষ্ট্র ঠিক করে দিয়েছে, কেউই পাশ করবে না (গত ছ’বছর ধরে কাউকে পাশ করানো হয়নি), কারণ নতুন মানুষ এলে তাকে লালন করার ক্ষমতা এই সমাজের এই মুহূর্তে নেই। শুধু নাগরিকেরা যাতে খুব হতাশ না হয়, তাই অভিনয় করতে হয়।’
‘‘এমারজেন্সি তুলে নেওয়ার পর কারাঞ্জিয়া নিজেই ‘ফিল্মফেয়ার’-এ লেখেন যে, চলচ্চিত্র বাণিজ্যের এতটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে যে, তার মেরামত প্রায় অসম্ভব। এই সময়েই বলিউডে ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’-এর আবির্ভাব, যা অনেকটাই ‘জরুরি অবস্থা’-র ফসল।’’
‘‘বিষাদকে সিনেমায় মহৎ করে তোলেন গুরু দত্ত। ‘পেয়াসা’ বা ‘কাগজ কে ফুল’ হয়তো সমসময়ে সেই মাপের স্বীকৃতি পায়নি, কাল্ট হয়ে উঠেছে পরে, ধীরে ধীরে, কিন্তু কেবল ভারতীয় নয়, বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসেও, এই দুটো ছবি আর্কাইভে থেকে যাবে।’’
‘সবেতেই কি শুধু ছেলেরা? মেয়েরা পর্দায় আসে কেবল মিনমিনে নাচ আর তুলতুলে সংলাপ নিয়ে? ঠিক আছে, তাই-ই সই। তাহলে, তুলতুলে কয়েকটি চরিত্র নিয়েই কথা হোক আজ। কারণ, মলম আসলে নরম এবং তুলতুলেই।’
‘তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি থাকবেন না, কিন্তু আপনার ছবিগুলি অমর হয়ে থাকবে, আপনার অভিমত কী। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ছবিগুলো না থাকলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু আমি থাকতে চাই। একমাত্র তিনিই পারেন, অমরত্বকে তুচ্ছ করে জাগতিক অস্ত্বিত্বের জয়গান করতে।’
‘‘সব চরিত্র কাল্পনিক’-এ রঙের ব্যবহার থেকে শুরু করে আরও নানা কিছুতে নিরীক্ষামূলক কিছু কাজ হয়েছিল। আমার কেরিয়ারেও তাই ছবিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থেকে যাবে। এক্সপেরিমেন্ট করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতেন ঋতুদা।’
‘ঋতুদা বললেন, ‘এই শো-তে, দ্য ফার্স্ট থিং, বেঙ্গলস অডিয়েন্স উইল নোটিশ ইজ মাই এফিমিনেসি, আই ওয়ান্ট ইউ টু হাইলাইট ইট!’
আমার কাছে ‘এবং ঋতুপর্ণ’র জার্নিতে এই মুহূর্তটুকু খুব জরুরি মনে হয়’।
‘১৯৬৫ সালের কথা। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়, একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। রাষ্ট্রের সহায়তায়, যুদ্ধবিদীর্ণ অঞ্চলগুলিতে উপস্থিত হয়েছিলেন চার ভারতীয় শিল্পী। মকবুল ফিদা হোসেন, রাম কুমার, কৃষেন খান্না এবং তায়েব মেহতা…’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.