প্রবন্ধ

অরুণাভ সিংহ

আঞ্চলিক ভাষার বিজয়

‘এই একটা পুরস্কার আর আমাদের অনুবাদ সাহিত্য পড়ার উৎসাহকে কত দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, সে বিষয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। যদিও আমি এ ব্যাপারে সত্যি খুব আশাবাদী। কারণ এখন বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুদিত বইয়ের চাহিদা বাড়ছে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল, যারা ইংরেজিতেই লেখেন আর যাঁরা আঞ্চলিক ভাষায় লেখেন, তাঁদের মূল কনটেন্ট-এ অনেক পার্থক্য থাকে।’ গীতাঞ্জলী শ্রী-র ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনুবাদ-সাহিত্য।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

রাধাতন্ত্র

‘এখানে বর্ণিত আছে কীভাবে বিষ্ণু একদিন শিবের কাছে আসে এবং একটি মহামন্ত্রের সন্ধান করে। বিষ্ণু সেই মহামন্ত্র পেয়ে কাশীতে জপ করতে শুরু করেন, কিন্তু কাজ হয় না। তাই, তিনি কৈলাসে ফিরে যান। শিব অনুপস্থিত থাকায় এই সময় দেবীই তাঁর সামনে আবির্ভূত হন।’ ‘রাধাতন্ত্র’-এর বর্ণনা।

উৎসব মুখার্জি

‘অপরাজিত’র আঁতুড়ঘর

‘এ-ছবির বিভিন্ন সাংঘাতিক প্রতিকূলতার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিভিন্ন ঐতিহাসিক চরিত্রের আদলে নতুন করে চরিত্র নির্মাণ; সেখানে আবার দু’রকমের চরিত্র। কিছু মানুষ সম্পূর্ণ বাস্তব যেমন সত্যজিৎ রায়ের আদলে অপরাজিত রায়, বিজয়া রায়ের ধাঁচে বিমলা রায় বা সুব্রত মিত্রের ছায়ায় সুবীর মিত্র— আবার কিছু মানুষ একইসঙ্গে বাস্তব ও সিনেমার বাস্তব।’ চরিত্রের সন্ধানে।

আবীর কর

‘কুন্তলীন’ থেকে ‘কেয়োকার্পিন’

‘একটিতে চুল-জড়ানো চিরুনির ছবি মাঝখানে রেখে হেডলাইন ‘চিরুনিতে ভয়?’ অন্য আর একটিতে শাওয়ার-জলে স্নানরতা এলোকেশীর ভীতসন্ত্রস্ত মুখ, জিজ্ঞাসা, ‘শাওয়ারে ভয়?’ এরপর বিজ্ঞাপনী বক্তব্যে আসছে— ‘চিরুনির দাঁড়ায় ও জলের ধারায় চুল উঠে যাওয়া বা ঝরে যাওয়ার যে ভয়, তার এক ও অদ্বিতীয় সমাধান হল— ‘জবাকুসুম’’।’ বিজ্ঞাপনের ব্যঞ্জনা।

শুভময় মিত্র

স্মৃতির কথকতা

‘স্বপনের ছোটবেলা কেটেছে বনগাঁতে, বহুদিন অবধি মাটির বাড়িতে। সেই মাটি পুড়িয়ে শক্ত ইটের বাড়িও এসেছে সময়ের নিয়ম ধরে। সেই সোঁদা মাঠ-ঘাট, গাছ-পাতালির মিতালি আজও আছে। মাঝবয়সের স্বপন এখন ঘর বেঁধেছেন আর এক গাঁয়ে। বীরভূমে। ফিরে পেয়েছেন ছেলেবেলার সেট। চলচ্চিত্র নির্মাণে বাধা থাকেনি। সেটি রয়ে গেছে মনের ভিতরে। দরকার পড়েনি অভিনেতার। স্মৃতির কথকতায় ছবিটা সাইলেন্ট হয়েও হয়নি।’

ডাকবাংলা.কম

সাক্ষাৎকার: ঈশান ঘোষ

এ-বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঈশান ঘোষের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘ঝিল্লি’-কে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়। ছবির বিষয় ছিল কলকাতার ধাপা অঞ্চল ও সেখানকার মানুষজনের জীবন। সেই ছবি নিয়েই পরিচালকের সঙ্গে কথা বললেন পৃথ্বী বসু।

পিনাকী ভট্টাচার্য

ঢাকাইয়া সুখাদ্যের ইতিবৃত্ত

‘ধোঁয়া-ওঠা ভাত, ইলিশের তেল, ইলিশের ল্যাজার ভর্তা, ভাজা ইলিশ, জিরে-কাঁচা লঙ্কা আর অল্প সর্ষের তেল ভাসিয়ে তেল-ঝোল আর সুস্মিতার রান্না করা পাঙ্গাস মাছ। রাতের তৃতীয় আর চতুর্থ প্রহরের সন্ধিক্ষণে কেউ ওইরকম গোগ্রাসে খেতে পারে, সেদিন আমি নিজেকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। প্রত্যেকটা পদই রান্নার প্রতিযোগিতায় মেডেল পাওয়ার মতো, তবে আমি নিশ্চিত, ইলিশ-ল্যাজার ভর্তার মতো সুস্বাদু ভর্তা আমি আগে কোনওদিন খাইনি! ‘

তৃণময় দাস

ব্যাটম্যান: ১৯৮৭ থেকে ২০২২

‘‘দ্য ব্যাটম্যান’ (২০২২) দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম। ঠিক যেন কমিক্সের পাতা থেকে উঠে এসেছে এই রুকি ব্যাটম্যান। সে এখনও গথামকে পুরোপুরি চেনেনি, শহরটাকে নিজের আয়ত্তে আনতে পারেনি। গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ভুল করেছে অনেক, আর তার জন্যে মাশুলও দিতে হয়েছে তাকে।’ ব্যাটম্যানের বিবর্তন।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

তখন প্রবাসে রবীন্দ্রনাথ:পর্ব ১

‘যে জনাকয়েক সুন্দরী বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল, তারা তাঁর গোঁফ-দাড়ি দেখে সকলেই চম্পট দিল। অনেকেই অনেককে করমর্দন করছে কিন্তু ‘বাংলার জমিদার’ রবীন্দ্রনাথের ত্রিসীমানায় আর কেউ ঘেঁষে না। রবীন্দ্রনাথ যারই কাছে যান সে-ই সরে পড়ে।’ প্রথম ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতা।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

পৃথিবীর সেরা দশটি পৌরাণিক কাহিনি: পর্ব ৩

‘নিজের প্রাণ বাঁচাতে সেডনার বাবা মেয়েকে সমুদ্রে ফেলে দিলেন, যাতে তুষ্ট হয়ে পাখিরা তাঁকে ছেড়ে দেয়। সেডনা আবার নৌকায় উঠতে চেষ্টা করায় বাবা তার আঙুলগুলো কেটে দিলেন। রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন হাতেই সে আবার সে ওঠার চেষ্টা করায় এবার বাবা কেটে দিলেন তার হাত দুটোই, এবং মেয়েকে তার ছিন্নভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমেত আবার ফেলে দিলেন জলে। সেডনা যখন সমুদ্রের অতলে ডুবে গেলো, তখন তার কাটা হাত থেকেই জন্ম নিলো মাছ, সীল, তিমি…’

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

স্টেশনের ডাক

‘যে-বছর চক্রবর্তীরা কেদার দর্শনে যাচ্ছিলেন, সে-বছরই ঘোষবাড়ি যাচ্ছিল নৈনিতাল। একই কামরা। দিল্লি অবধি একই গন্তব্য। ফিরে এসে কেদারের প্রসাদ-সহ আদান-প্রদান হয়ে গেল সম্বন্ধ অবধি। শুরু সেই ‘কী চা খাবেন নাকি?’, ‘তা, হলে মন্দ হয় না।’’ চায়ের আলাপ।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

বয়স, ট্র্যাফিক, ফেসবুক

‘কী এমন প্ররোচনা আমাদের উসকে দেয়, যে এক মুহূর্তে আমরা দুম করে রাগের স্কেলে একেবারে শূন্য থেকে ১০০’য় পৌঁছে যাই? এর নানা কারণ আছে, আর সবাই অন্তত একটা বিষয়ে একমত হবেন যে বয়স জিনিসটা এই রাগের অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দেওয়ার ব্যাপারে এক নম্বর। মধ্য-চল্লিশে পৌঁছে শুধু তাপমাত্রাই যে আমাদের অসহ্য লাগে তা নয়, যা আসলে অসহ্য হয়ে ওঠে, তা হল আমাদের মেজাজ। মধ্যবয়সিদের রাগ একেবারে গনগনে লাল।