কালের নিয়মে মৃত্যুশোক সকলকেই পেতে হয়। কিন্তু তার পূর্বাপর নিয়ে আমরা ভাবি কি?
মেয়েদের শরীর, মেয়েদের ব্যথা, মেয়েদের চিকিৎসার এককণাও মেয়েদের হাতে নেই। পুতুলনাচ হয় জানেন? সেইভাবে সুতো দিয়ে ঝোলে মানুষগুলো, তাদের বাঁধা হাত, বাঁধা শরীর, নাচে অঙ্গুলিহেলনে। বাড়ির ঠিকানা জানে না অনেকেই। জন্মতারিখ জানে না।
‘…তমালদা গাইছেন, ‘বর্ষণগীত হল মুখরিত মেঘমন্দ্রিত ছন্দে’, বাইরে অঝোরে বৃষ্টি। কালিকাপ্রসাদের কাছেই পরে শুনেছি, আদতে গান শেখার অছিলায় ওই মানুষটার সঙ্গে সময় কাটানো, তাঁর সাহচর্য আর আড্ডা দেওয়াই ছিল মূল।’
‘আধো-অন্ধকার একফালি জায়গা পেরিয়ে আলোজ্বলা বারান্দায় উঠেই আঁতকে উঠলাম। আমার পা বেয়ে রক্তের ধারা কেন? কোথাও তো আঘাত লাগেনি। থ্রি কোয়ার্টার্স আর স্নিকার্সের মাঝখানের জায়গাটা লাল হয়ে গেছে।’
‘আজও রূপান্তরকামীরা শিক্ষিত সমাজের কাছে কৌতুকের পাত্র। অথচ তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে-অসম লড়াই চালিয়ে যান, চিকিৎসক হিসেবে আমি তার প্রত্যক্ষদর্শী। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র…’
‘হিংসাত্মক ন্যায়বাসনার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে সভ্যতা কী বলে? লোকটা যা-ই করে থাকুক, হুড়মুড়-সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, এর বিচার হবে, তার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। এ-কথা শুনলে সাধারণের মুখ ভার হয়ে যায়।’
‘বারাউনি জংশন স্টেশনে ট্রেন থেকে শুনলাম শহরগুলি ও শিল্পাঞ্চল থেকে জনগর্জন: তানাশাহি নহি চলে গা… ইন্দিরা হঠাও… বিহার তখন কাঁপছিল জয়প্রকাশ নারায়ণের ইন্দিরাবিরোধী আন্দোলনে। অর্থাৎ আমি ইতিহাসের ভিতরে ছিলাম।’
একপ্রকার উচ্ছন্নে যাওয়া গোটা পৃথিবীতে প্রায় সবাই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে যা ইচ্ছে তাই অসৌজন্য প্রকাশ করে। তবু এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাঁরা এমন কিছু উদাহরণ তৈরী করেছেন যা আমাদের শেখা উচিত।
‘কত বছরই বা আগের কথা। বছর পনেরো-কুড়ি হবে। মফসসলের এক হাসপাতালের অপারেশন ঘর। অপারেশন টেবিলে লাইগেশন অপারেশন। রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও মৃত্যু। সমস্ত হাসপাতালে দমবন্ধকর অবস্থা। অনিমেষের আহ্বানে সব ডিপার্টমেন্টের ডাক্তাররা ওটিতে হাজির।’
‘মেট্রো থেকে যখন টালিগঞ্জে নামছি, তখন আরেক দফা হুড়মুড়িয়ে নামল আকাশ ভেঙে। বুঝলাম, আজ কপালে প্রভূত দুঃখ অপেক্ষা করে আছে। এই মুষলধার বৃষ্টিতে কতক্ষণ যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, কেউ জানে না, অটো পাওয়া তো অনেক পরের কথা।’
কতগুলো গুজব এখানে ছিল, যার কিছুটা সত্যিও— সেগুলোর মধ্যে একটা, মন্টুদার সঙ্গে সুচিত্রা মিত্রের খুব বন্ধুত্ব, সে এতটাই বন্ধুত্ব ছিল, প্রেম হিসেবে আমরা ধরে নিতাম। একদিন আড্ডায় সুচিত্রা মিত্রের প্রসঙ্গ উঠল…
‘একঝলক যা দেখলাম, তাকে অবাধ যৌনতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। হতবাক আমি এবং ক্যামেরাম্যান। সঙ্গে সঙ্গে পিছন ফিরে নামতে শুরু করেছি। কৌতূহলের চক্করে রাতবিরেতে এরকম একটা গা ঘিনঘিনে পরিবেশে এসে পড়ে নিজের ওপর রাগ হচ্ছিল।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.