ছায়াবাজি : পর্ব ১৮

‘একটা দেশের লোকজন যখন শুধু ভাল করে সাবান ঘষে ঘষে চান করতে আর ‘আমি বাবা কোনওকিছুতে শামিল হব না’ ভাবতে ও দায় এড়াতে ব্যস্ত থাকে, তখনই কি সেই দেশে স্বৈরাচার গজিয়ে ওঠে ও থিতু হয়?’

এক শালিক : পর্ব ৪৫

আমেরিকার সিয়াটেলে পুলিশের গাড়িতে মৃত্যু হয় বছর তেইশের এক ভারতীয় তরুণীর। তদন্তের স্বার্থে যে-পুলিশ আসেন, তিনি মেয়েটির মৃত্যুকে নিয়ে হাসাহাসি করেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায়। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই প্রশ্ন ওঠে, আধুনিক সভ্যতায় এতটা দরদবিমুখ হওয়া যায় কি?

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৭

‘সব লোককে চিরদিনের জন্য দিব্যি হ্যাট হ্যাট বলে পিঠে ছপটি মারতে মারতে তাড়িয়ে বেড়ানো যায়? এবং তারা লাগ-লাগ-খুশি হয়ে ন্যাজ নাড়াতে নাড়াতে প্রভুর ছুড়ে দেওয়া ঘাস চিবোয় ও সিনেমা হল-এ জাতীয় সংগীতের সময় কাঁকালের ব্যথা সামলে ঠিইক উঠে দাঁড়ায়?’

এক শালিক: পর্ব ৪৪

সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো না করে অবান্তর ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের অধিকাংশের অভ্যাস। এতে নিজেকে ভুল বোঝানো যায় যে আমি ফাঁকি মারছি না। কিন্তু রাষ্ট্র বা শাসক-গোষ্ঠী যদি একই কাজ করে, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।

ছায়াবাজি: পর্ব ১৭

‘সিনেমা কতরকম ক্রাইসিসকে ঘিরে হয়, কিন্তু কোনও ছবিই বোধহয় এর আগে অফিসযাত্রাকে এভাবে প্রোটাগনিস্টের মূল ক্রাইসিস হিসেবে উপস্থাপিত করেনি। শুধু যানবাহনের অনিশ্চয়তার ফলে যে একটা লোকের জীবনটা তছনছ হয়ে যেতে পারে, এভাবে আমরা ভাবি না।’

এক শালিক: পর্ব ৪৩

ভিড়ের মন খুব সাংঘাতিক জিনিস। সে যদি একবার সুযোগ পায় কোনও কানাগলি দিয়ে ঢোকার, তাহলে আদত ভালমানুষের মধ্যে থেকে তার খারাপ সত্তাটা বের করে আনতে সক্ষম। ফলে দলে পড়ে অত্যন্ত ভাল মানুষটি যে কাল ভয়ানক হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৬

‘মনে রাখতে হবে, এ সেই দেশ, যেখানে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ চিল্লায়, ‘উফ, একটা ডিক্টেটর চাই, চাবকে সিধে করে দেবে!’ তার মনে থাকে না, চাবুকটা তার নিতম্বকেও রেয়াত করবে না।’

এক শালিক: পর্ব ৪২

রোমে এক গানের জলসায় ফ্যানরা এমন লাফালাফি করলেন, মৃদু ভূমিকম্প হল। এ জিনিস প্রায়ই ঘটছে। এমন দিন দূরে নয়, যখন গায়কদের মাপা হবে, তাঁদের ফ্যানরা কটা ভূমিকম্পের জন্ম দিয়েছে সেই হিসেবে। তাতে ছাদ ভেঙে মানুষ মরব, কিন্তু টিআরপি বাড়বে।

ছায়াবাজি: পর্ব ১৬

‘যার তাকানোর মধ্যে কামনা আছে, একটু পরেই সেখানে ক্রোধ এসে বসে। বা হতাশা। ছবিটা যেন মারা-র সেই পিডিএফ-এর ভুলের মতোই বলতে চায়, অর্থবোধক শব্দ সবটা প্রকাশ করে না। বা এমনকী ভাবনার উল্টোটাও প্রকাশ করে।’

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৫

‘মজার জন্যই হয়তো নারী-নিগ্রহের কিংবা দলিতের মুখে প্রস্রাবের ছবি মোবাইলে হুবহু তুলে রাখা হয়, কিন্তু তা বেরিয়ে পড়লে ছড়িয়ে পড়লে দেশের নগ্ন চিত্রও সামনে আসে। এইদিক থেকে সর্বস্ব নথিবদ্ধ করে রাখার উৎকট স্বভাব, ন্যায়ের কাজে লেগে যাচ্ছে।’

এক শালিক: পর্ব ৪১

মধ্যপ্রদেশের কয়েকটা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেল, জনজাতির মানুষকে অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। এই অত্যাচার মোবাইলে রেকর্ড করলেও কেউ বিচলিত নয়। আবার, চূড়ান্ত অপমানিত জনজাতির মানুষ বলছেন, উচ্চবর্ণের মানুষকে তার এই সামান্য ভুলের জন্য ক্ষমা করতে বলছেন।

ছায়াবাজি: পর্ব ১৫

মা বললেই কান্না পেয়ে গেলে, আধুনিক ছবি করা শক্ত, অন্তত আউটসাইডার-উত্তর যুগে। এই মাঝামাঝি-কাটিং ছবি বলেই বোধহয় খুব বিখ্যাত হয়েছে এই ফিল্ম, এবং সেজন্যেই আরও সন্দেহের চোখে দেখা উচিত যে কোনও মাঝ-আকাঙ্ক্ষী প্রয়াসকে।