জয়দীপ মিত্র মূলত ফোটোগ্রাফার, ছবি তোলেন বেশি, লেখেন কম। আগে লেখা-ছবির বিষয় ছিল দেশ ও দেশের মানুষের সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র, কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে আগ্রহ তৈরি হয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষের রুখে ওঠায়, অর্থাৎ রেসিস্টেন্সে। এখন এই সময় ও সমাজের ছবি লিপিবদ্ধ করায় মন দিয়েছেন।
অনিতা অগ্নীহোত্রী কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার। এ-যাবৎ চল্লিশটিরও বেশি বইয়ের লেখক। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সোমেন চন্দ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন নন্দীগ্রামে নিরস্ত্র মানুষের হত্যার প্রতিবাদে। পেয়েছেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ সম্মাননা, গজেন্দ্র মিত্র স্মৃতি পুরস্কার-সহ একাধিক পুরস্কার। তাঁর সাহিত্য ইংরেজি, সুইডিশ এবং জার্মান ভাষায় অনূদিত।
লেখক, সাংবাদিক। দীর্ঘদিন 'আজকাল' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর 'আমার যা আছে', 'ঝিলডাঙার কন্যা'. 'চাঁদ পড়ে আছে'. 'রূপোর খাঁচা' বিখ্যাত বই। পেয়েছেন বাল সাহিত্য আকাদেমি-সহ নানা পুরস্কার। তাঁর কাহিনি অবলম্বনে তরুণ মজুমদার 'চাঁদের বাড়ি', 'ভালবাসার বাড়ি' প্রভৃত ছবি নির্মাণ করেছেন।
দোয়েলপাখি দাশগুপ্ত ফরাসি ভাষার অধ্যাপনা করেন। থিয়েটার, দূরদর্শন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি ‘রসাতল’ নামে রম্যরচনার একটি পত্রিকার সম্পাদনা ও প্রকাশনের কাজে যুক্ত থেকেছেন। গান গাইতে এবং লিখতে ভালবাসেন।
মৃদুল দাশগুপ্ত কবি, গদ্যকার। এছাড়া লিখেছেন ছোটগল্প, ছড়া। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ’ কবিতা-বইয়ের জন্য পেয়েছেন বাংলা আকাদেমির সুনীল বসু-অনীতা বসু পুরস্কার (২০০০)। ২০১২ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার। সেলিম পারভেজ নামে একাধিক গ্রন্থের প্রচ্ছদও করেছেন নানান সময়ে। ‘শত জলঝর্ণার ধ্বনি’ আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি।
লেখেন মূলত নিবন্ধ, কলাম, উত্তরসম্পাদকীয় ও ছোটগল্প। যৌনসংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক মানুষ, স্কুলশিক্ষা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও সিনেমা তাঁর বেশিরভাগ লেখার বিষয়। অনুবাদকর্মের সঙ্গেও বহু বছর যুক্ত।
প্রাবন্ধিক, গবেষক। দীর্ঘ সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। চলচ্চিত্র ও বিনোদনের নানা শাখায় গতায়াত। বর্তমানে দর্শন বিষয়ক চর্চায় নিয়োজিত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘সোম’।
কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক। লিখিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'অবাঙমানসগোচর', 'আত্মানাং বিদ্ধি', 'পাঁচ দুপুরের নির্জনতা', 'বেলঘরিয়ার ইতিহাস সন্ধানে' প্রভৃতি। সম্পাদিত ও সংকলিত গ্রন্থের মধ্যে 'দেশভাগ এবং', 'না যাইয়ো যমের দুয়ার' প্রশংসা পেয়েছে পাঠকমহলে।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।