ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এখনও পড়াশোনা করেন। কিন্তু ছোট থেকেই বড্ড বেশি কথা বলার অভ্যেস। ফলে জেঠু-কাকিমাদের কাছে ‘পাকা’ ছেলে। এ ছাড়া থিয়েটার করেন, আর কেউ নিলে সিনেমায় অভিনয় করেন। তাঁর পরিচয় এটুকুই।
মৃদুল দাশগুপ্ত কবি, গদ্যকার। এছাড়া লিখেছেন ছোটগল্প, ছড়া। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ’ কবিতা-বইয়ের জন্য পেয়েছেন বাংলা আকাদেমির সুনীল বসু-অনীতা বসু পুরস্কার (২০০০)। ২০১২ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার। সেলিম পারভেজ নামে একাধিক গ্রন্থের প্রচ্ছদও করেছেন নানান সময়ে। ‘শত জলঝর্ণার ধ্বনি’ আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
জন্ম কর্ম কলকাতায়, ভাষা শিক্ষা গল্পের বই পড়ে। বানিয়ে বলার, বা শিশুকাল হতেই গুলবাজির অমোঘ টান এড়াতে না পেরে আখ্যান রচনায় সিদ্ধহস্ত। একটানা আড্ডাবিলাস সে হুনরটিকে ধারালো করেছে। হাল সাকিন গড়িয়ায় চিতপাৎ, নেশা ছবি আঁকা এবং রান্না। একটি লাল বিড়ালও আছে।
অরণি বসু কবি, সম্পাদক। দীর্ঘ চার দশক ধরে সম্পাদনা করে চলেছেন সাহিত্য-পত্রিকা ‘উলুখড়’। এ-যাবৎ প্রকাশিত কবিতা-বই চারটি: ‘লঘু মুহূর্ত’, ‘শুভেচ্ছা সফর’, ‘ভাঙা অক্ষরে রামধনু’ ও ‘খেলা চলে’।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের উপ-পরিচালক (প্রকাশন)। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র প্রাক্তন চিফ সাব এডিটর। ভারত সরকারের পরিভাষা কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। বিশেষ আগ্রহ গ্রন্থনির্মাণ এবং গ্রন্থবিদ্যায়। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ, সাহিত্য, সংগীত এবং চলচ্চিত্র নিয়ে নিয়মিত নিবন্ধ লেখেন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে।
পেশা সাংবাদিকতা, নেশাও তাই। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেলে। সংবাদের পাশাপাশি ভালবাসেন ফিচার লিখতে। ‘আজকাল’ দৈনিকের প্রাক্তন ডেপুটি এডিটর। বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্রের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
ক্যাকটাস ব্যান্ডের প্রধান গায়ক। প্রাক্তন চিকিৎসক। অভিনয়ও করেছেন বেশ কিছু ছবিতে। দূরদর্শনে সঞ্চালনার কাজও করে চলেছেন বিগত কয়েক বছর। একুশ শতকের গোড়া থেকেই বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিসরে তুমুল জনপ্রিয়।
প্রাবন্ধিক। বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। 'কিছু বিজ্ঞাপন কিছু আপন', 'যাহা বলিব সত্য বলিব: বিজ্ঞাপনের সত্যি কথা' প্রভৃতি বইয়ের লেখক। 'ভায়া দার্জিলিং' ছবির পরিচালক।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, ও প্রাবন্ধিক। বিজ্ঞান, দর্শন থেকে ক্রীড়াজগৎ, তাঁর নিবন্ধে এসে মেলবন্ধন ঘটায় সাহিত্যের সঙ্গে। প্রকাশিত গ্রন্থ, ‘তারই কিছু রং’।