পার্থ দাশগুপ্ত চিত্রকর, সেরামিক শিল্পী, ইন্সটলেশন শিল্পী, শিল্পশিক্ষক। ভারতে প্রথম সেরামিকস ট্রাইয়েনিয়াল ছাড়াও যোগদান করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপত্য প্রকল্পে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক সেরামিক প্রদর্শনীতে। দুর্গাপুজোর ব্যতিক্রমী মণ্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণা এবং ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় কবি, ক্যালিগ্রাফি শিল্পী এবং নন্দন-বেত্তা। জাপানের প্রেরণায় সূচনা করেছেন বাংলা ক্যালিগ্রাফির নতুন এক ধারার। শান্তিনিকেতনে তাঁর স্টুডিও ‘কোকোরো’ গড়ে উঠেছে এক জাপানি স্থপতির নকশায়। কর্মসূত্রে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক। আগ্রহ ও গবেষণার অন্যতম বিষয়, জাপান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শুভা মুদ্গল হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী। খেয়াল, ঠুমরি-দাদরার পাশাপাশি জনপ্রিয় ভারতীয় সঙ্গীত নিয়েও তাঁর কাজ ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সঙ্গীত সাধনার জন্য পেয়েছেন নানান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ভারতীয় সঙ্গীতের নানা আশ্চর্য জগতের গভীরে তিনি কয়েক দশক ধরে একাধারে সুরকার-গীতিকার, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং লেখক।
বিমল কুণ্ডু ভাস্কর, চিত্রশিল্পী, শিল্পচিন্তক। কাঠ, পাথর, ব্রোঞ্জ এবং ফাইবার-গ্লাসের মতো বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর ভাস্কর্য সুবন্দিত। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হন ২০০০ সালে। বর্তমানে ‘সোসাইটি অফ কনটেম্পোরারি আর্টিস্টস’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য।
রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় চিত্রকর, শিল্পশিক্ষক, শিল্পচিন্তক। কলাভবনে প্রবাদপ্রতীম নন্দলাল বসুর ছাত্র, ‘বেঙ্গল স্কুল’-এর অন্যতম শিল্পী। পুরুলিয়া এবং কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশনে দীর্ঘ শিক্ষকজীবন কাটিয়েছেন, ২০০০ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে অবনীন্দ্রনাথ পুরস্কার। পুরাণ এবং সাহিত্যের সম্ভারে ওঁর শিল্পে ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রভাব সুস্পষ্ট।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক। প্রথম উপন্যাস ‘ঘুণপোকা’। প্রথম কিশোর উপন্যাস ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’। সাহিত্যকৃতির জন্য পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার (১৯৮৫), সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৯), আনন্দ পুরস্কার (১৯৭৩ ও ১৯৯০) এবং বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার (২০১২)। লেখালিখির পাশাপাশি তাঁর আগ্রহের বিষয় বক্সিং, টেনিস, ফুটবল। পাঠক হিসেবে পছন্দ করেন ধর্মবিষয়ক গ্রন্থ, থ্রিলার, কল্পবিজ্ঞান।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
শুভা মুদ্গল হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী। খেয়াল, ঠুমরি-দাদরার পাশাপাশি জনপ্রিয় ভারতীয় সঙ্গীত নিয়েও তাঁর কাজ ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সঙ্গীত সাধনার জন্য পেয়েছেন নানান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ভারতীয় সঙ্গীতের নানা আশ্চর্য জগতের গভীরে তিনি কয়েক দশক ধরে একাধারে সুরকার-গীতিকার, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং লেখক।
মালবিকা ব্যানার্জি টাটা স্টিল লিটেরারি মিটের পরিচালক। সাংবাদিক হিসাবে পথ চলা শুরু। ১৯৯৮ সালে স্বামী জিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ক্রীড়া বিপণন সংস্থা ‘গেমপ্ল্যান’ (‘ডাকবাংলা’ যে কোম্পানির অধীন)। এই সংস্থা বিশ্ব জুড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো আরও অনেক খেলোয়াড় এবং বিখ্যাত ক্রীড়ানুষ্ঠানের ‘ম্যানেজমেন্ট’ বা তত্ত্বাবধান করেছে। মালবিকা কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পোশাক বিপণি ‘বাইলুম’-এরও অংশীদার।
অনুষা বিশ্বনাথন অভিনেত্রী। ‘ওয়াটারবটল’, ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ এবং ‘দ্য নাইটওয়াচম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে পরিচিত। এছাড়া অভিনয় করেছেন ‘ধনঞ্জয়’, ‘জেনারেশন আমি’, ‘বরুণবাবুর বন্ধু’র মতো ছবিতে। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করছেন।
সোমনাথ হোর বিংশ শতাব্দীর একজন উল্লেখযোগ্য চিত্রকর, ছাপচিত্রী, ভাস্কর, ম্যুরালিস্ট। দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন শান্তিনিকেতনের কলাভবনে। তাঁর কাজের মধ্যে ‘উন্ড সিরিজ’ সবচেয়ে আলোচিত। সৃষ্টিকর্মের জন্য পেয়েছেন পদ্মভূষণ পুরস্কার।