অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এখনও পড়াশোনা করেন। কিন্তু ছোট থেকেই বড্ড বেশি কথা বলার অভ্যেস। ফলে জেঠু-কাকিমাদের কাছে ‘পাকা’ ছেলে। এ ছাড়া থিয়েটার করেন, আর কেউ নিলে সিনেমায় অভিনয় করেন। তাঁর পরিচয় এটুকুই।
পম্পা বিশ্বাস ভালবাসেন পড়তে, লিখতে, আঁকতে আর ছবি তুলতে। চাকরি করেন পেটের দায়ে, কিন্তু অনিচ্ছায়। দীর্ঘসূত্রী। তর্কবাজ। কুঁড়ে। ঠ্যালাগুঁতোর পর অতি কষ্টে একটি ছোটগল্পের সংকলন প্রকাশিত। মনে করেন স্বভাবদোষে ওঁর ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
ভি ভি এস লক্ষ্মণ প্রাক্তন ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, বর্তমানে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও ধারাভাষ্যকার। সুচারু স্ট্রোকপ্লে ও স্বচ্ছন্দ টেকনিকের জন্য বিখ্যাত লক্ষ্মণ একটিও একদিনের ওয়ার্ল্ড কাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করেও ১০০-টি টেস্ট ম্যাচে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার (২০০১), পদ্মশ্রী (২০১১) পুরস্কার।
শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
দেবদত্ত পট্টনায়েক লেখক, পুরাণবিদ, চিত্রশিল্পী, বক্তা। পুরাণ, উপকথা, লোকসংস্কৃতি এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর মনোজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এ-যাবৎ বই লিখেছেন পঞ্চাশেরও বেশি। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই: ‘দ্য গডেস ইন ইন্ডিয়া: দ্য ফাইভ ফেসেস অফ দ্য ইটারনাল ফেমিনিন’, ‘ইন্ডিয়ান মিথোলজি: টেল্স, সিম্বলস, অ্যান্ড দ্য আর্টিকেলস ফ্রম দ্য হার্ট অফ দ্য সাব কন্টিনেন্ট’, ‘অলিম্পাস: অ্যান ইন্ডিয়ান রিটেলিং অফ দ্য গ্রিন মিথ’।
পণ্ডিত তন্ময় বসু একালের অন্যতম তালবাদ্য বিশারদ, তবলাবাদক, সুরকার ও অভিনেতা। তিনি ফারুক্কাবাদ ঘরানার প্রবাদপ্রতিম পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষের শিষ্য। পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং ওস্তাদ আমজাদ আলি খান-এর সঙ্গে সারা বিশ্বে অনুষ্ঠান করেছেন, সঙ্গত করেছেন প্রখ্যাত কর্ণাটকি শাস্ত্রীয় ভায়োলিন বিশেষজ্ঞ ডক্টর এল. সুব্রহ্ম্যনিয়ম-এর সঙ্গে। পত্তন করেছেন তাল তন্ত্র, একটি অনবদ্য ওয়ার্ল্ড মিউজিক প্রজেক্ট, যার প্রধান বিষয় তালবাদ্যচর্চ্চা।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।