উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী চিত্রপরিচালক, লেখক; যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুনে'র ফিল্ম ইন্সটিটিউটের ছাত্র। ছবি তৈরির সূত্রে বিজ্ঞাপনী জগতের সঙ্গে বহুদিনের সংযোগ। নিজস্ব সংস্থা ফ্লিপবুক, যা লাইন প্রোডিউস করে তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র 'ফড়িং'।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
সাগুফতা শারমীন তানিয়া ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক। বর্তমানে প্রবাসী এই লেখকের বইয়ের সংখ্যা আট। লিখেছেন ‘ওয়াসফিরি’, ‘এশিয়া লিটেরারি রিভিউ’ এবং ‘সিটি প্রেস’-এর মতো সাহিত্য-জার্নালে। ২০১৯ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার।
অংশুমান ভৌমিক সাংস্কৃতিক ভাষ্যকার ও নাট্য সমালোচক। শিক্ষকতা করছেন দু’দশকের ওপর। সংস্কৃতির নানান দিক নিয়ে চর্চার সুবাদে গোটা আটেক বই বেরিয়েছে দেশ-বিদেশ থেকে। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ ও ‘কৃত্তিবাস মাসিক’-এর নিয়মিত নাট্য সমালোচক। প্যান্ডেমিকের দরুন হুটহাট বাংলাদেশ যাওয়া যাচ্ছে না বলে ইদানীং মনমরা হয়ে পড়েছেন।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় কবি, ক্যালিগ্রাফি শিল্পী এবং নন্দন-বেত্তা। জাপানের প্রেরণায় সূচনা করেছেন বাংলা ক্যালিগ্রাফির নতুন এক ধারার। শান্তিনিকেতনে তাঁর স্টুডিও ‘কোকোরো’ গড়ে উঠেছে এক জাপানি স্থপতির নকশায়। কর্মসূত্রে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক। আগ্রহ ও গবেষণার অন্যতম বিষয়, জাপান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তরুণ মজুমদার চিত্রপরিচালক, লেখক। গত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালনা করেছেন একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র (‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’ প্রভৃতি)। তাঁর ছবিতে ধরা পড়ে মূলত বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, পদ্মশ্রী পুরস্কার সহ আরও একাধিক পুরস্কার।
সুদেষ্ণা রায়ের জীবন শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। তারপর সাংবাদিক, বহু নামী সংবাদপত্র ও পত্রিকায় কাজ করেছেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতা করেছেন, সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন, সিরিয়াল পরিচালনাও করেছেন। এর পর শুরু সিনেমা পরিচালনা, কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি: ‘তিন ইয়ারি কথা’, ‘ক্রস কানেকশন’, ‘যদি love দিলে না প্রাণে’, ‘শ্রাবণের ধারা’। এখন কাজ করেন শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে।
শুভা মুদ্গল হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী। খেয়াল, ঠুমরি-দাদরার পাশাপাশি জনপ্রিয় ভারতীয় সঙ্গীত নিয়েও তাঁর কাজ ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সঙ্গীত সাধনার জন্য পেয়েছেন নানান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ভারতীয় সঙ্গীতের নানা আশ্চর্য জগতের গভীরে তিনি কয়েক দশক ধরে একাধারে সুরকার-গীতিকার, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং লেখক।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।