চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
সৈকত ভট্টাচার্য পেশায় ডেটা সায়েন্টিস্ট, নেশায় লেখক। বর্তমানে ব্যাঙ্গালোর নিবাসী। তাঁর লেখা বই: ‘উত্তরে আছে মৌন’ (২০২১) এবং ‘খামখেয়ালির পথ-পাঁচালি’ (২০১৯)।
মালবিকা ব্যানার্জি টাটা স্টিল লিটেরারি মিটের পরিচালক। সাংবাদিক হিসাবে পথ চলা শুরু। ১৯৯৮ সালে স্বামী জিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ক্রীড়া বিপণন সংস্থা ‘গেমপ্ল্যান’ (‘ডাকবাংলা’ যে কোম্পানির অধীন)। এই সংস্থা বিশ্ব জুড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো আরও অনেক খেলোয়াড় এবং বিখ্যাত ক্রীড়ানুষ্ঠানের ‘ম্যানেজমেন্ট’ বা তত্ত্বাবধান করেছে। মালবিকা কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পোশাক বিপণি ‘বাইলুম’-এরও অংশীদার।
লেভন আরোনিয়ান আর্মেনিয়ান-মার্কিন দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার; ২০০০ সালে ফিডে (FIDE) তাঁকে এই উপাধিতে ভূষিত করে। আরোনিয়ান ২০০৫ এবং ২০১৭ সালের ফিডে (FIDE) বিশ্বকাপ-বিজয়ী; ২০০৬, ২০০৮ এবং ২০১২ সালের দাবা অলিম্পিয়াডে আর্মেনিয়ার স্বর্ণপদক-জয়ী দলের অধিনায়ক। কলকাতা এবং সত্যজিৎ রায় তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরে বিশেষ স্থান গ্রহণ করে রয়েছে।
শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
তরুণ মজুমদার চিত্রপরিচালক, লেখক। গত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালনা করেছেন একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র (‘পলাতক’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’ প্রভৃতি)। তাঁর ছবিতে ধরা পড়ে মূলত বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, পদ্মশ্রী পুরস্কার সহ আরও একাধিক পুরস্কার।
সাগুফতা শারমীন তানিয়া ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক। বর্তমানে প্রবাসী এই লেখকের বইয়ের সংখ্যা আট। লিখেছেন ‘ওয়াসফিরি’, ‘এশিয়া লিটেরারি রিভিউ’ এবং ‘সিটি প্রেস’-এর মতো সাহিত্য-জার্নালে। ২০১৯ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।