পত্রিকা

অংশুমান ভৌমিক

সেই বোধের আনাচ-কানাচ

‘রাজীবের নাটকে সত্য আড়ালে ছিলেন। মেঘের আড়ালে শূন্যের মতো। সুমন তাঁকে মঞ্চে নিয়ে এলেন। রিয়্যালিস্টিক ড্রামার মোড়ক ছাড়িয়ে একটু ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট জুড়ে দিলেন। কোনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের খেই ধরে নেই, এমনিই।’

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ : পর্ব ১৯

‘আমার কাউন্টার পার্ট এসেই ফোন খুলে ফেলেছেন। বললেন, ‘পাকিস্তান ইজ ফিনিশ্ড।’ আমিও বললাম, ‘সিভিল ওঅর?’ উনি বললেন, ‘শ্রীজাতর সিনেমাটা দেখা উচিত।”

রত্নাবলী রায়

ফিরব বললে ফেরা যায় না কি

ফেরাটা তাই আর ফেরা থাকে না। নতুন একটা গন্তব্য, নতুন সব মানুষ। আর তাদের পুরনো স্মৃতিগুলো, যেগুলো আর জ্যান্ত নেই। বরং অনেক বেশি জ্যান্ত হাসপাতালের বিছানাটুকুতে পাতা সংসারটা। মানসিক রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর ফিরতে পারে কি?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৮

কিছু মানুষ বারবার ফিরে যায় অপমানের স্মৃতির কাছে। এই ফেরার জ্বলুনি প্রচুর, তার চোটে এরা বিড়বিড় করতে করতে হাঁটে, বাথরুমে ১৫ বছর আগেকার অপমানের মোক্ষম উত্তর দেয়, আর একটা সময় এই বেদনার হাত থেকে বাঁচতে মোবাইলে বা ওটিটি-তে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়।

অভীক মজুমদার

পরবাসী, চলে এসো ঘরে

‘তাঁর মহাকাব্যিক প্রতিভা অনশ্বর। অবিস্মরণীয়। তিনিই প্রথম বাংলার ‘আধুনিক’ কবি। বাংলা সাহিত্যিক মহাকাব্যের একমাত্র স্রষ্টা। প্রবাসে নয়, স্বভাবেই তাঁর মহাকায় সত্তা। প্রত্যাবর্তনেই তাঁর নিয়তি। যাত্রা নয়, ফেরা।’ মধুসূদনের মাতৃভাষায় ফেরা।

শ্রীজাত

অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য

সে তবে এমনই লেখা, তাকে ছাড়া আমার জীবনের নানা মোড়, নানা মুহূর্ত, নানা অভিঘাত বা নানা অনুভূতি অচল। আনন্দে বা অসুবিধেয় তবে বন্ধুর মতো তাকেই আমি জড়িয়ে ধরতে চাই। সে-লেখা তবে অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য। অতএব তার কাছে ফিরতেই হবে।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

ফিরে যাও, প্রথমে

যদি ফিরে যেতে বলা হয়, নির্দিষ্ট কোনও এক আদর্শ, নীতি, ক্ষত, উন্মাদনা বা প্রবণতার কাছে, তা হলে বিষয়টা কেমন হবে? সহজ হবে না কঠিন, সুখের হবে না যন্ত্রণার? সততার হবে না অনুশোচনার? বলা মুশকিল। এ ফিরে যাওয়া এক রকম সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানো।

মৈত্রীশ ঘটক

বহমান আলোচনাসভা

‘যে-চিন্তাটা ঘুরে ফিরে বার বার এসেছে এবং আবার আসবেও জানি, যার সাথে অর্থনীতিতে আমার নিজের গবেষণারও যোগ আছে, তা হল : অসাম্য কি মানবসমাজে অনিবার্য ও অবধারিত একটি সমস্যা, না কি এর সমাধান সম্ভব?’ চিরন্তন ভাবনা।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

ভোগ ছেড়ে ত্যাগ

‘হিন্দুধর্মের মতন কিছু ধর্ম মেনে নেয় যে ভোগের পথ ধরে ফেলা মানেই সব শেষ নয়। সংস্কারের পথও খোলা আছে। কখনও সংস্কার আসে ‘প্রায়শ্চিত্ত’-র মতন নিদানের হাত ধরে— অত্যধিক ভোগে মন দিয়ে ফেললে কৃচ্ছ্রসাধন করা আবশ্যিক।’ বিকল্প জীবন।

অনুপম রায়

অবাক অ্যাবস্ট্র্যাকশন

‘মিউজিক বাজলে আমার চোখের সামনে অনেক রং আমি দেখতে পাই মাঝে মাঝে। এই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটা মায়া-মায়া খয়েরি। আমি এক্সপ্লেন করতে পারব না কেন। মিউজিক এমন বিমূর্ততার জন্ম দেয়, যা কিছু ভাবে বোঝানো সম্ভব নয়।’ গান-রহস্য।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ৮

‘তাঁবুর মধ্যে এক পা রাখতেই ঘাড়ের বাঁদিকে একটা ধাতব শীতল স্পর্শ অনুভব করলেন কিশিমোতো। বুঝলেন একটা রিভলভারের নলের ডগা তাঁর ঘাড়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২২

উৎপলকুমার বসু বাংলা ভাষার এমন একজন কবি যাঁর ভাষার গঠন, ভঙ্গিমা এমন অনন্য যে তাঁর কবিতা-ধারা অনুসরণ করে লেখা সম্ভবই নয়। তাঁর দর্শন, রাজনীতিবোধ, ভাষার চলনকে তিনি এমন ভাবে বইয়েছেন যে তাঁর কোনও পূর্বসূরি নেই আর তাঁর কোনও উত্তরসূরি তৈরি হয়নি।