

মনডে ব্লুজ : পর্ব ১৫
‘চাকরিজীবন ছেড়ে থিয়েটার করা, তারপর ছোটপর্দা বা বড়পর্দার অভিনয়ে আসা, এই পর্যায়ে একটা জিনিস বুঝেছিলাম— যখন হাতে কোনও কাজ থাকে না, অর্থাৎ, বাঙালি যাকে স্ট্রাগল বলে, সেই সময়ে ছুটি অসহ্য।’
‘চাকরিজীবন ছেড়ে থিয়েটার করা, তারপর ছোটপর্দা বা বড়পর্দার অভিনয়ে আসা, এই পর্যায়ে একটা জিনিস বুঝেছিলাম— যখন হাতে কোনও কাজ থাকে না, অর্থাৎ, বাঙালি যাকে স্ট্রাগল বলে, সেই সময়ে ছুটি অসহ্য।’
“আমি তাকিয়ে দেখলাম, একটা ঢ্যাঙা মতো লোক নির্জন রিভারসাইড রোডে আমাদের পিছু পিছু হেঁটে আসছে। গম্ভীর মুখ করে শম্ভুদা বলল, পুলিশ হতে পারে। আমার আঁতকে ওঠা ভাব লক্ষ করে শম্ভুদা ফিসফিসিয়ে বলল, একা আছে, আমরা দু’জন। কিচ্ছুটি করতে পারবে না আমাদের।”
‘পঞ্চায়েত’ সিরিজ আমাদের মনের অজান্তেই বলে দেয়— ক্ষমতার লড়াই কেবল বড় মঞ্চে হয় না, সেটা আমাদের চারপাশের ছোট-ছোট বৃত্তের মধ্যেও চলে। অফিস, পরিবার, বন্ধুবৃত্ত— সব জায়গায় এই নিঃশব্দ খেলা চলতে থাকে। এখানেই সিরিজের বিশাল সাফল্য।
‘যে যাই বলুক, এই কালোর দোকান যেন শান্তিনিকেতনের কফি হাউস। কিংবা হয়তো তার কিছু বেশিই। কত যে বিশিষ্ট মানুষজন এখানে এসেছেন, এই আড্ডায় মজে চা-শিঙাড়া গ্রহণ করেননি, এমন মানুষের হদিশ পাওয়া মুশকিল। এমনকী, আশ্রমের উৎসব-অনুষ্ঠান উপলক্ষে খাবার তৈরিতে কালোর দোকানের নামই মনে আসত সকলের আগে।’
‘কুমার, দেবেশ কী বলছে, তুই তো আমাকে এগুলো বলিসনি’— ওঁকে আমার ভাবনাগুলো তাপসদা বললেন এবং সেই অনুযায়ী পরিমার্জন করা হল। তখন তো আমি একেবারেই নতুন ‘বহুরূপীতে’, কিন্তু বয়সে ও অভিজ্ঞতায় ছোট একজনের কথা যেভাবে বয়োজ্যেষ্ঠরা শুনলেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর।
‘অফুরন্ত থই-থই মানুষের ভিড়। রথে-রথে ছয়লাপ। জলের কীর্তন আকাশ ছুঁয়েছে। দশদিকে মেঘের শ্রীখোলে টান লেগেছে। চৈতন্যের পায়ের ছাপ একদা এই পথে, ভাবতেই শরীর রোমাঞ্চিত কদমফুল।’
‘এই দেশে নারী হয়ে জন্মাবেন না, যদি জন্মান, পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কদাপি যাবেন না, তাদের পছন্দের পুরুষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন। নিতান্ত প্রেম করলে নিজের জাতের পুরুষের সঙ্গে করুন (হোয়াটসঅ্যাপে আগে কুষ্ঠি দেখুন, পরে সেক্সটিং)।’
‘ঢেউ ওঠে পাতা পাতা, বইয়ের দু’ধারে সাদা বালি/ তোমার কাগজ চেনে মৃদু বিষাদের কর্মখালি/ এদিকে যে-কোনও মর্মে যুগে যুগে ক্ষুব্ধ নেটিজেন।/ এরই মধ্যে, সে বালক, জানেমন, বহু রাস্তা পার/ সোনালি রাগের সুরে ঝলসে ওঠে ডুবন্ত সেতার!’
‘গওহর জান এক বহুকৌণিক চরিত্র— নানা বৈপরীত্যের সহবাস। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেও নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে তিনি ‘তদ্বিদ্ধি প্রণিপাতেন’ নীতিতে বিশ্বাসী, আত্মমর্যাদা আর স্বীকৃতি আদায়ের ব্যাপারে ‘তর্কেষুকর্কশধিয়ঃ’, আর জীবনযাপনে স্বৈরিণী।’
‘ওপরে তাকালে এক শূন্য দৃষ্টি। ছেলেমেয়েরা এই চাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে এক অদ্ভুত নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ইস্কুলে লুকিয়ে চলে আসছে এক ট্যাবলেট-হ্যাপি পিল। খেলে মন তুরীয়ানন্দ আর চাপমুক্ত। সেই ট্যাবলেটের রেশ কমে যেতেই এক হতাশাবোধ, যুদ্ধে হারের গ্লানি।’
‘বাংলা সাহিত্যকে কেন্দ্রে রেখে ব্যক্তিজীবন আর বিশ্বসাহিত্যপাঠকে সম্বল করে তন্ন তন্ন করে মশা খুঁজেছেন উষারঞ্জন। কিন্তু নিছক মশামারা কেরানির মতো গবেষণা করেননি। তাঁর তরতরিয়ে বয়ে চলা গদ্যে মশার পিছনে চলেছে তাঁর ভ্রমণকারী মনও।’
‘জগদানন্দ গল্প বেশি লেখেননি, তবে কুন্তলীনের প্রতিযোগীতায় জগদীশচন্দ্রের মতো তিনিও পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে, শুধু শুষ্ক গণিত নয়, সাহিত্যের মিঠে লব্জেও তিনি দক্ষ ছিলেন। জগদানন্দের জীবনের অন্যতম কাজ হল বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ও পাঠ্যপুস্তক রচনা।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.