পত্রিকা

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৭

‘টাকা-পয়সা আর মনোযোগের অভাবের চিহ্ন-ভরা তাকে আবিষ্কার করি একটা গাঢ় বাদামি রঙের বই, যার উপ-শিরোনাম ‘দার্জিলিং লেটারজ ১৮৩৯’ প্রথমেই আমার নজর কাড়ে। কিন্তু বইয়ের শিরোনামে ‘দ্য রোড অফ ডেস্টিনি’ কী বলতে চেয়েছিল?’ ইতিহাস পুনরাবিষ্কার।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৫

‘…অন্তত প্রথম দিন বিকেলে দেখা গেল, পড়ুয়ারা খুব বেশি সংখ্যায় পৌঁছয়নি। একে তো স্কুল যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়নি, ইচ্ছে আর বাড়ির অনুমতি থাকলে তবেই যাওয়া। তাছাড়া নিয়ম হচ্ছে সবাই রোজ যাবে না… এখন এই বিষয়ে বাবা-মাদের কী ইচ্ছে আর ছেলেমেয়েরাই বা কী চাইছে, দেখে নেওয়া যাক।’ করোনা-কালে স্কুলে ফেরার পালা।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহগ

পাহাড়ের গায়ে প্রায় নিরালম্বভাবে ঝুলে থেকে যেসব কালো লেমুর খনিজ জল চেটে খায়, তাদের মতো করে এতদিন ঝুলে থেকেছি আমি। প্রেমে অত্যন্ত হ্যাংলা। সেসব ডাকপিয়ন হবার জন্য নয় নিশ্চয়ই। প্রেমের অপ্রাপ্তি।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

Uttarbanga Diary: Part 7

‘…It didn’t really matter to us that it was the Hill Cart Road that took us to the Darjeeling mountains. We gave it as much – or little – respect as we did to the awareness of the forces of gravity that prevented us from falling when we walked or ran. This changed when I walked into Deshbandhu District Library in Darjeeling one afternoon.’ Lost history of a hill station.

শুভময় মিত্র

আমি বুদ্ধদেবকে দেখেছি

‘কোনও কথা বলার আগে, ‘এই নাও’ বলে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন। সস্নেহে অনেক কথা বললেন, আমরা পালাতে পারলে বাঁচি, খামে কী আছে কে জানে, ‘কেমন লাগল বোলো কিন্তু, ইচ্ছে হলেই চলে আসবে’, দুদ্দাড় করে বেরিয়ে এসে আলিয়াতে ঢুকে খাম খুললাম। লেখা। বুদ্ধদেব গুহর লেখা।’ বুদ্ধদেব গুহর স্মৃতিচারণ।

প্রতীক দত্ত

অ্যাবসার্ড নাটক

‘অ্যাবসার্ড নাটক কোনও পরিকল্পিত বা সচেতন সাহিত্য আন্দোলন বা বিপ্লব একেবারেই নয়। কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কয়েকজন মানুষ, যাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা তো দূর, পরিচয়ও নেই, তাঁরা এমন নাটক লিখছেন, যা নাট্য-রচনার যাবতীয় সনাতন শৈলীকে কচুকাটা করছে।’ নাটকের নতুন ধারা।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

মাতৃগর্ভ এড়িয়ে

‘…বুদ্ধের জন্ম স্বাভাবিক পদ্ধতিতে হয় নি, এই বিশ্বাসের আভাস পাওয়া যায় পরবর্তী যুগের একাধিক বৌদ্ধ উপাখ্যানে। বুদ্ধের জন্ম হয়েছিলো তাঁর মায়ের দেহের পাশ থেকে, যোনিদ্বারের মাধ্যমে নয়। এই বিশ্বাস সুদূর ইয়োরোপ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, খৃষ্টধর্মের প্রথম যুগের গির্জাপতিদের মুখে শোনা যায় যীশুর জন্মও বিনা যৌনসঙ্গমে, অপাপবিদ্ধ উপায়ে হয়েছিলো, সম্ভবত তাঁর ক্ষেত্রেও গর্ভকে এড়িয়েই তাঁর ভূমিষ্ঠ হওয়া।’ দেবতার জন্ম ও মৃত্যু।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৭

‘…শুধু ভয় পেয়ে পেয়ে বহু মানুষ সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। একটা মানুষের চারিত্রিক সব রকম দোষগুণও দেখা যায় এই ভয়ের দ্বারা নির্ধারিত হয়। হয়তো শুধু ভয়ের চোটেই আপনি সারা জীবন চরিত্রবান হয়ে থেকে গেলেন। আপনার মনের ভেতর হাজার ইচ্ছে কিন্তু শুধুমাত্র সাহসের অভাবে আপনি চৌকাঠ পেরোতে পারলেন ন।।’ মেশিনের চোখে মানুষের ভয়।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২৮

‘…প্রত্যেক মহৎ শিল্পীর জীবনেই কোনও-না-কোনও সময়ে এই সমস্যা একদিন মুখব্যাদান করে দাঁড়ায়। তখনই সিদ্ধান্ত নেবার পালা। সেই সময়ে যে শিল্পী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাকেই লোকে বলে প্রকৃত শিল্পী। সেদিন গুরুকে দেখে আমার সেই সব কথাই মনে পড়ছিল।’ শিল্প ও ব্যবসা।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

Bypassing the Womb

‘…In later Buddhist stories, there are suggestions that Buddha was not born in the normal way. He was born from the side of his mother, not through the vaginal canal. The idea spread as far as Europe and we have early Christian church fathers speaking about how Jesus was conceived immaculately, without sex, and perhaps was born bypassing the womb.’ Birth and death of the deities.

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ২৯

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)

অরণ্যের দিন অরণ্যের রাত

‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র শুটিং করে যে আনন্দ পেয়েছি, তার আর কখনও পাইনি। অসামান্য লোকেশন। এপ্রিলের দাবদাহে, পালামৌয়ের অরণ্যে গাছেদের কঙ্কালসার দেহ, ঝকঝকে আকাশের তলায় ঝরা পাতার স্তুপ ছড়িয়ে রয়েছে— সব মিলিয়ে যেন এক জাদুবাস্তব।