

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪৬
‘ঢেউ ওঠে পাতা পাতা, বইয়ের দু’ধারে সাদা বালি/ তোমার কাগজ চেনে মৃদু বিষাদের কর্মখালি/ এদিকে যে-কোনও মর্মে যুগে যুগে ক্ষুব্ধ নেটিজেন।/ এরই মধ্যে, সে বালক, জানেমন, বহু রাস্তা পার/ সোনালি রাগের সুরে ঝলসে ওঠে ডুবন্ত সেতার!’
‘ঢেউ ওঠে পাতা পাতা, বইয়ের দু’ধারে সাদা বালি/ তোমার কাগজ চেনে মৃদু বিষাদের কর্মখালি/ এদিকে যে-কোনও মর্মে যুগে যুগে ক্ষুব্ধ নেটিজেন।/ এরই মধ্যে, সে বালক, জানেমন, বহু রাস্তা পার/ সোনালি রাগের সুরে ঝলসে ওঠে ডুবন্ত সেতার!’
‘গওহর জান এক বহুকৌণিক চরিত্র— নানা বৈপরীত্যের সহবাস। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেও নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে তিনি ‘তদ্বিদ্ধি প্রণিপাতেন’ নীতিতে বিশ্বাসী, আত্মমর্যাদা আর স্বীকৃতি আদায়ের ব্যাপারে ‘তর্কেষুকর্কশধিয়ঃ’, আর জীবনযাপনে স্বৈরিণী।’
‘ওপরে তাকালে এক শূন্য দৃষ্টি। ছেলেমেয়েরা এই চাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে এক অদ্ভুত নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ইস্কুলে লুকিয়ে চলে আসছে এক ট্যাবলেট-হ্যাপি পিল। খেলে মন তুরীয়ানন্দ আর চাপমুক্ত। সেই ট্যাবলেটের রেশ কমে যেতেই এক হতাশাবোধ, যুদ্ধে হারের গ্লানি।’
‘বাংলা সাহিত্যকে কেন্দ্রে রেখে ব্যক্তিজীবন আর বিশ্বসাহিত্যপাঠকে সম্বল করে তন্ন তন্ন করে মশা খুঁজেছেন উষারঞ্জন। কিন্তু নিছক মশামারা কেরানির মতো গবেষণা করেননি। তাঁর তরতরিয়ে বয়ে চলা গদ্যে মশার পিছনে চলেছে তাঁর ভ্রমণকারী মনও।’
‘জগদানন্দ গল্প বেশি লেখেননি, তবে কুন্তলীনের প্রতিযোগীতায় জগদীশচন্দ্রের মতো তিনিও পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে, শুধু শুষ্ক গণিত নয়, সাহিত্যের মিঠে লব্জেও তিনি দক্ষ ছিলেন। জগদানন্দের জীবনের অন্যতম কাজ হল বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ও পাঠ্যপুস্তক রচনা।’
আজকের আইরিশ সাহিত্যিকরা সাহিত্যের গঠনকে ভেঙে ফেলছেন, ছোট-ছোট বাক্যে, সাদা কাগজে স্পেস রেখে, অথবা চুপ করে থেকে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন। তারা জানেন— শব্দ না বললেও পাঠক অনুভব করবে।
‘ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি, বিশেষত ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন ইস্যুতে, দু-দিক বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছে— যা অনেকেই মনে করেন দেশের দক্ষিণপন্থী, হিন্দুত্ববাদী জনতার মন পাওয়ার চেষ্টা।’
‘লিও মেসি বলে— গ্র্যান্ডমা, এই দিনটা আমার হতে পারে। স্যাঁতস্যাঁতে জুনের কলকাতার লোকাল ট্রেনে নামতে গিয়ে পিছলে পড়তে পড়তেও কোনওমতে সামলে ওঠা তরুণ লজেন্সওলা জাদুবাস্তবের মতো হাসে, হুগো লরিসের ডানদিক দিয়ে বল জালে ঢোকে, লিও মেসি হাত ছড়িয়ে কাঁদে।’
এই এলাকাটিতে ছিল, নিম্নবর্গীয় মুসলমানদের আবাস; তাঁরাও অংশ নিতেন রথের সময়ে। তাঁদের নিজস্ব ধর্মাচরণের জন্যেই, মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন রাজেন মল্লিক। পবিত্র ঈদ বা প্রাত্যহিক নমাজের পরে, মিষ্টি কেনার টাকাও দেওয়া হত মন্দিরের তহবিল থেকে।
নবারুণ ওঁর লেখায়-কথায় বার বার ঘোষণা করে বলে গেছেন তিনি অতিবামপন্থী রাজনৈতিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী এক অ্যাকটিভিস্ট। তাঁর লেখার মূল জোরের জায়গাই এই বিশ্বাসের জোর। মিথ্যে বিশ্বাস নয়, খাঁটি বিশ্বাস। বিশ্বাসের জোরেও কবিতা অনেক দূর উড়ে যেতে পারে।
‘তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি থাকবেন না, কিন্তু আপনার ছবিগুলি অমর হয়ে থাকবে, আপনার অভিমত কী। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ছবিগুলো না থাকলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু আমি থাকতে চাই। একমাত্র তিনিই পারেন, অমরত্বকে তুচ্ছ করে জাগতিক অস্ত্বিত্বের জয়গান করতে।’
‘প্রফুল্ল রায়ের জীবন দর্শন ছিল, যে লেখায়, ‘মানুষ-মাটি-সময়’ থাকে না, সে-লেখা আর যাই হোক সাহিত্য নয়। সে-লেখাও থাকবে না। এটা উনি শুধু বলতেন না, নিজের লেখায় তা পালন করতেন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.