পত্রিকা

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১৩

রাজা মাইডাস দেবতার কাছে বর চেয়েছিলেন যে, তিনি যাই ছোঁবেন তা যেন সোনা হয়ে যায় অর্থাৎ তাঁর সব কাজে যেন সাফল্য আসে। কিন্তু দেবতা তা আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করে যে বর দেন, তাতে রাজা মাইডাস বেজায় বিপদে পড়লেও আক্ষরিক বরের গুণে সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। কিন্তু পরে রাজারই বুদ্ধিতে দেবতা পড়েন বিপদে। আর গানে বলা হচ্ছে যে মার-ই হল আদর্শ একটি শব্দ, যার প্রয়োগ ভাল-খারাপ নির্বিশেষে মানুষকে ছুঁয়ে যায়।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়রি: পর্ব ১৪

গত শীতে যখন আবার এই জায়গাটা পার করি, কাঠাম স্যারের কথা মনে হয়— এই জায়গা, যা ছিল তাঁর পূর্বপুরুষের, যা দিয়েছে তাঁকে তাঁর পদবি, তাঁর পরিচয়, যেখান থেকে তিনি প্রথম পৃথিবী দেখতে শুরু করেছিলেন, যেখান থেকে পৃথিবীর নানা কোণের সঙ্গে তাঁর সংযোগের সূত্রপাত। মানুষ দিয়ে জায়গা চেনার অ্যাডভেঞ্চার।

পার্থ দাশগুপ্ত

ধূসর মুখাবয়বের আলো

‘রামানন্দের ছবির আর এক চরিত্র হল আলো। ছবিতে অন্ধকার নেই। আলোয় ঝলমলে প্রেক্ষাপট অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। রাতের পটভূমিতে যে নীল ব্যবহার করেছেন, তা-ও বড় স্নিগ্ধ। আঁধারকে আলো দেখাচ্ছে যেন।’ দেবভাষায় রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্প প্রদর্শনী।

মোহন আগাশে

খেরোর খাতা পেরিয়ে

‘১৯৮১ সালে, আমার একটা অসুখ হয়েছিল, বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ছিলাম, বেরিয়েই দেখি, আমার একটা চিঠি এসেছে, সত্যজিৎ রায় লিখেছেন। টাইপ করা চিঠি। তাতে লেখা, আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে উনি দুঃখিত, আমি কি ওঁর ৫০ মিনিটের টেলিফিল্ম ‘সদ্‌গতি’তে একটি মূল চরিত্রে অভিনয় করব?’ মানিকদার স্মৃতি।

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ১৪

‘লজ্জা নিবারণের জন্য নাকি পোশাক! শরীরের বিশেষ-বিশেষ অঙ্গকে টার্গেট করে সেগুলোকে শরীরের লজ্জা বানানো হয়েছে। তারপর সেগুলোকে ঢাকার সে কী চেষ্টা! আমরা দেখি আর হাসি। মানুষের ট্র্যাজেডি হল, ঈশ্বর নাকি পৃথিবী বানিয়ে, মানুষ বানিয়ে, কেটে পড়েছে, কোনও রুল-বুক দিয়ে যায়নি।’ লজ্জার ধরন।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

Uttarbanga Diary: Part 14

Many years later, when my parents were able to buy a car, we would, on a detour from a winter picnic, drive through Gajaldoba and Mainaguri, and chance upon a road with a sign that said ‘Katham Bari’. My brother and I looked at each other as if a secret, not very different from those we had met in the Phantom comics, had suddenly been revealed to us. We pleaded with our father to take that route.

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১২

যাবতীয় অবান্তর ব্যাপার থেকে নিজেকে সরানোর মতো ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। বাধ্য হয়ে বিকল্প খুঁজে চলেছি। অব্যাহত আছে মনের মধ্যে নক্কারজনক কল্পনার স্ট্রিমিং ভিডিও। কেউ বুঝে ফেললে সর্বনাশ। টেনশন হয় সারাক্ষণ।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৪

‘প্রহরা দুর্গের মন। অপরাধ শাস্তির প্রেরণা।/ মাঝে যে-পরিখা, তাতে আশঙ্কা টলটল করে রাতে।/ শত্রুদের চাঁদ দ্যাখো। তির লেগে ভেঙে যাওয়া কোনা…/ আরও বুঝি যুদ্ধ চাই, নাগরিকে জোছনা বোঝাতে।’ নতুন কবিতা।

রূপক বর্ধন রায়

গণবিজ্ঞানের পুনরাবর্তন?

‘জেনেটিক ভ্যাক্সিনের মতোই মোড় ঘোরাল কোভিড। বিজ্ঞানীরা দেখলেন দ্রুত কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে যে-পরিমাণে ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণ প্রয়োজন, তাতে সংস্পর্শ সম্পর্কিত সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়িয়ে সে-কাজ করতে হলে ওয়্যারেবল প্রযুক্তির ব্যবহারই একমাত্র উপায়।’ কোভিড ও বিজ্ঞান।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫৬

‘মনে হয় বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেল গুরু। বড় অসময়ে। একটু ধৈর্য রাখতে পারল না। মাত্র উনচল্লিশ বছরে চলে যাওয়া— বেঁচে থাকলে আরও কত মহান কীর্তি করে যেতে পারত সে। খুব আফশোশ হয়। তারাভরা রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে জীবন-দেবতার উদ্দেশে বলি— ‘হে ঈশ্বর, গুরুকে একটু শান্তি দিও তুমি, ওর চোখে একটু ঘুম দিও, ও বহুদিন ‘বিনিদ্র’, বড় জ্বালায় জ্বলছে সে।’ গুরুর অকাল প্রয়াণ।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫৬

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

অর্ক দাশ (Arka Das)

খুচরো খাবার: পর্ব ৭

খুচরো হলেও, রাস্তার কচুরি কিন্তু মুড়ির মতো সমাজের সর্বস্তরভেদী খাবার নয়— এক পিস হরে দরে পাঁচ থেকে দশ টাকা দাম হতে পারে, দাম নির্ভর করছে শহরের কোন প্রান্তে, কোন পাড়ায় খাচ্ছেন তার উপর। তা-সত্ত্বেও, অফিস-ব্যস্ত স্বল্পপুঁজী কর্মীর পক্ষে আজকের যুগে দাঁড়িয়েও যে ৩০-৪০ টাকায় খাওয়াটা সারা যায়, এটা ভাবা যায় না, এবং এটা সত্যিই কলকাতা ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোনো শহরে ভাবা যায় না।