পত্রিকা

গৌতম ঘোষ

সিনেমাপ্রাণ তনুদা

‘তনুদা ছিলেন আদ্যন্ত একজন সিনেমা-পাগল বাঙালি। বাঙালি দর্শকের জন্য, বাঙালিয়ানার জন্য, বাঙালিদের জন্য সিনেমা বানানো লোক। তিনি বরাবর বাণিজ্যিক ছবি বানিয়েছেন। কিন্তু তাতে যে কী মাধুরী ধরা রয়েছে, তা অনুভব করতে হয়।’ ব্যক্তিগত অনুভব।

ডাকবাংলা.কম

কলকাতা কোলাজ: জুলাই ২০২২

জুলাই মাসের খামখেয়ালি আকাশের সঙ্গে যেন সুর মিলিয়ে শহরে চলছে ভিজুয়াল আর্টের একটা ক্যালেইডোস্কোপ । দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের আলোকচিত্র-শিল্পী, সাংবাদিক, ও সমাজকর্মী শহিদুল আলমের মনকাড়া মানবজীবন গাথা; রয়েছে সোমনাথ হোড়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ রেট্রোস্পেক্টিভ; তাছাড়াও থাকছে গোন্ড জনজাতির বৃক্ষ পূজা করার আচার-অনুষ্ঠানের নিদর্শন স্বরূপ নানা রঙের অপরিসীম উচ্ছ্বাস। শিল্পে কলকাতা, জুলাই ২০২২।

সন্দীপ রায় (Sandip Roy)

Bengali Harlem

‘Harlem at that time was known as an African-American neighbourhood, but also home to many Asians and Latinos. It was a neighbourhood into which men like Habib could disappear… “It’s important to emphasise that at a time when the United States as a nation had rejected Asian immigrants and criminalised their entry into the country,…’ The story of Bengali immigrants in America.

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

বইঠেক: পর্ব ১

‘১৯২৩ সালে জাপানের কান্‌তো এলাকায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে কাঠ আর কাঠ-কয়লার ব্যবসা গুটিয়ে মোইচি তানাবে শিন্‌জুকু শহরে ১৯২৭-এ খুলে বসলেন এক বইয়ের দোকান। তাঁর পূর্বপুরুষরা ছিলেন জাপানের কি প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত। সেই স্মৃতি মনে রেখে তানাবে তাঁর নতুন দোকানের নাম দিলেন ‘কিনোকুনিয়া’ অর্থাৎ কি প্রদেশের দোকান।’ শুরু হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত বইয়ের দোকান নিয়ে নতুন সিরিজ ‘বইঠেক’। এবারে প্রথম পর্ব; জাপানের ‘কিনোকুনিয়া’।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩২

‘ গণতন্ত্রকে যে উদার হতে হয়, রিফ্লেক্স-অ্যাকশনের ঊর্ধ্বে উঠে প্রসারিত হৃদয়বৃত্তি অনুশীলন করতে হয়, বিরোধকে অত্যাচার দিয়ে নয়— যুক্তি ও সহিষ্ণুতা দিয়ে মোকাবিলা করতে হয়, এসব ধারণা এদেশে ন্যাকা আঁতেল উদ্ভট ধোঁয়াটে। তাহলে এ-ভূখণ্ডের চিহ্ন কিঞ্চিৎ উদাসীন সিংহ হলে, তাতে তো সত্যের অল্প অপমান। তাদের তো খান্ডার থাবড়াময় হতেই হবে।’

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৭১

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ২০

‘অমানবিক কাজের ধরনের জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগছেন বহু কর্মী, কাজের বাইরের জীবন থেকে তাঁরা বিচ্যুত : পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, ভালবাসার মানুষ, বৃহত্তর জগৎ— সব থেকেই। এই বীভৎস চেহারায় বহু সংস্থা আবার আশা রাখছেন, কর্মীদের কর্মক্ষমতা, কাজে নিপুণতা, মনঃসংযোগ ইত্যাদি বাড়বে। আমার ভয় করছে!’ বর্তমানে কাজের ধরন।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহোদরা: পর্ব ৩

‘মৃত্যুর আগে বোনেরা খোদার কাছে ফরিয়াদ করেন, তাঁরা খোদার কাছে অপরাধী কিন্তু মীরনের কাছে তো কোনো অপরাধ করেননি, বরং মীরনের আজ যা আছে সবই তাঁদের দৌলতে। তাঁদের অভিশাপে সে-রাতেই রাজমহলের কাছে মীরন বজ্রাঘাতে মারা যায়।’ খোদার বিচার।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

মিথকে উপেক্ষা করা যায় না

মিথকে যুক্তিযুক্তভাবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। সর্বদাই এমন প্রশ্ন থাকে যা ভাগ্য, স্বাধীন ইচ্ছা এবং ঈশ্বরের কর্মকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। সমস্ত সংস্কৃতিতে, তাই, মিথ বাস্তবতা এবং যৌক্তিকতা থেকে অনেক দূরে: তিনটি মাথা সহ দেবতা, আটটি বাহু বিশিষ্ট দানব, কুমারী জন্ম, সমুদ্রের দু-ভাগ হওয়া, প্রতিশ্রুত ভূমি, আগুনের পবিত্রতা এবং রক্তের চুক্তি। যুক্তির প্রতি এই উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে মিথকে যুক্তিযুক্ত করা হয় না, তবে বিশ্বাসের আধারে নিঃশর্তভাবে গৃহীত হয়।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

There Is No Escape From Myth

‘For the believer, myth is real; it is sacred. This allows the myth to be communicated across generation and geography without distortion. Myth, however, is not static. Just as it informs history and geography, it is informed by history and geography. This is why beliefs and customs change over time.’

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহোদরা: পর্ব ২

‘ওবেলা চমন আবিষ্কার করে ছোট্ট একটা বাদশাহী ছুরি বিঁধে আছে জানালার কপাটে, বাঁটে কোফত্‌গার কী সুন্দর সোনার পাতের কাজ করেছে, চুনি-মরকত বসানো একটা ময়ূরকণ্ঠ। বাইরের কেউ কি চিঠি-সহ ছুরিটা ছুঁড়ে মেরেছে বেগমদের? পালাবার বন্দোবস্ত? ছুরি নিয়ে আহ্লাদিত চমন যায় মর্দান বেগকে জানাতে।’ আশঙ্কার সূত্রপাত।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

তখন প্রবাসে রবীন্দ্রনাথ: পর্ব ৩

‘রবীন্দ্রনাথ দেখলেন, অনেক ইঙ্গবঙ্গ, সুন্দরী বাড়িওয়ালির ঘর ভাড়া করেন। তাতে তাদের যথেষ্ট সুবিধা হয়। বাড়িতে পা দিয়েই তারা বাড়িওয়ালির যুবতী কন্যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে নেয়। দু-তিনদিনের মধ্যে তার একটা আদরের নামকরণ করা হয়, আর সপ্তাহ গেলে হয়তো তার নামেই একটা কবিতা লিখে তাকে উপহার দেওয়া হয়।’ রবীন্দ্রনাথের চোখে ‘ইঙ্গবঙ্গ’রা।