
যৌথ উৎসব
দুর্গাপুজোর আগে দুর্গানগরী হয়েছে পুজোর সর্বজনীন মাঠ। সর্বজনীন হয়ে ওঠার নির্মল আনন্দে মেতে গিয়েছি আমিও, বৃহত্তর পরিবারের সঙ্গে। মহালয়ার দিন মাইকে মহিষাসুরমর্দিনী শোনা থেকে শুরু করে— প্রতিমা উদ্বোধন, বোধন, কলাবউ স্নানে সঙ্গ দেওয়া।

দুর্গাপুজোর আগে দুর্গানগরী হয়েছে পুজোর সর্বজনীন মাঠ। সর্বজনীন হয়ে ওঠার নির্মল আনন্দে মেতে গিয়েছি আমিও, বৃহত্তর পরিবারের সঙ্গে। মহালয়ার দিন মাইকে মহিষাসুরমর্দিনী শোনা থেকে শুরু করে— প্রতিমা উদ্বোধন, বোধন, কলাবউ স্নানে সঙ্গ দেওয়া।

একটা বড় অংশ, যাঁরা থিয়েটারমোদী কিন্তু সারা বছর ব্যস্ততার কারণে সময় পান না, তাঁদের কাছে পৌঁছনোর জন্য একটা বড় সুযোগ পুজোর সময়ে থিয়েটার করা।
তখন আমরা উত্তর কলকাতার ‘রঙ্গনা’-য় থিয়েটার করতাম। রোববার-সহ অন্য ছুটির দিন— সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী থেকে একাদশী দুটো করে শো করতাম। শুধু বিজয়ার দিন আমরা কোনও শো রাখতাম না।

‘কাউকে কখনও দেখেছ ওগুলোকে গুরুত্ব দিতে? বলতে যে, বাহ্, কী সুন্দর ফল কেটেছ তুমি! দেখোনি। কারণ আমরা ধরে নিই যে, ওগুলো এমনিই হয়, এমনিই হয়ে যাবে…’

পুজোর শুটিং কি পুজোর সময় হয়? ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে পুজোর আনন্দ কি ক্যামেরার নেপথ্যে থেকেও অনুভব করা যায়? বলছেন অপর্ণা সেন, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, রাজা সেন ও অমিত সেন…

“‘হীরের আংটি’-তে ব্যাপারটা এই প্যাটার্নের থেকে খানিক আলাদা। এখানে যে বাইরে থেকে আসছে, সে নিশ্চিতভাবেই ওই পরিবারের কেউ নয়। এমনকী, যে পরিচয় নিয়ে সে আসছে, সে প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যক্তিও নয়, অর্থাৎ একধরনের ছলনা রয়েছে তার পরিচয়ের মধ্যেই।”

‘মনে-মনে বউকে আদরসোহাগ করতে-করতে কখন যেন সরল শিশুর মতো ঘুমিয়ে পড়েছিল কাল্লা। হঠাৎ কাদের কথাবার্তার শব্দে ঘুম চটে গেল। তারই সঙ্গে কাঠকুটো পোড়ার কট্-কট্ শব্দ। ব্যাপারখানা কী?’

“সাধুবাবাদের ভণ্ডামি ও মুখোশ খোলার এই খেলাটা অবশ্য খুবই আগ্রহব্যঞ্জক এই কারণে, ফেলুদা যে-বছর আবির্ভূত হচ্ছে গল্পের পাতায়, সেই বছরই মুক্তি পাচ্ছে ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’, যার মধ্যে ‘মহাপুরুষ’ পরশুরামের ‘বিরিঞ্চি বাবা’-র আধারে নির্মিত। ভণ্ড সাধুর যে-চেহারা সেই ছবিতে দেখিয়েছেন সত্যজিৎ, তার একধরনের ‘সাবভার্সন’ আসে মছলিবাবা-তে।”

‘যে যুগে হিন্দু মহিলাদের শিক্ষা গ্রহণ ছিল এক বিরল ঘটনা, সেই সময়ে কামিনী রায় শুধু যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ছিলেন তাই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে এবং সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান কিছু কম ছিল না। এরই সঙ্গে কবিতা রচনার পাশাপাশি তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন সাহসী নারীবাদী লেখিকা।’

‘ঈশ্বরের কৃপায় হোক বা জন্মগত সৌভাগ্যের বশে দিবস-রজনী চারবেলা মায়ের হাতের কোহলিসুলভ ব্যালেন্সড্ স্বাদ চেখে চেখে রসনা আমার পোক্ত হয়েছে খারাপ-ভাল যাচাই করার ক্ষেত্রে। গর্ডন র্যামসে একজায়গায় বলেছিলেন সঠিক স্বাদ আসলে নস্টালজিয়ার মতো।’

“১৯৫৭ সালের ডিসেম্বরে ‘বেতার জগৎ’-এর শারদীয় সংখ্যা হাতে পেয়ে রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় সম্পাদককে এক দীর্ঘ চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘শারদীয় সংখ্যা হাতে করে মনে হলো যেন সমস্ত ভারতকে বুকের মধ্যে পেলাম।”
‘বেতার জগৎ’ পত্রিকা নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ…

‘না-জানে তোমার মুখ, এমনই তো গান/প্রতিটি বিচ্ছেদ জেনো প্রেমের সমান/ছেড়ে যেতে ফের ঘুরে ডাকে,/আমাদের অবসাদে ফুটে থাকা ফুল/জাহাজের মৃতদেহ। জলের মাসুল।/
ছোঁব, তবু পাব না তোমাকে।’

“প্রীতিলতা মারা যাওয়ার পর ‘দ্য ইংলিশম্যান’ পত্রিকায় তাঁকে ‘সাহসী (courageous)’ এবং ‘নির্ভীক (bold)’ বলা হয়। অদ্ভুত বিষয় হল, বাংলা ভাষার নাম করা এক পত্রিকা, যার দ্যুতি প্রায় শতক পার করবে, সেখানে কিন্তু এই অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ থাকলেও কোনওরকম অভিমত প্রকাশ করা হয়নি প্রীতিলতার পক্ষে।”
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.