

শ্রাবণের একদিন…
ঋতু চক্রের নিয়মে— প্রকৃতি তার রূপ বদলায়, বছর ঘুরে, ধরা দেয় আবারও। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু বর্ষার আঙিনায়, সে-উৎসব শান্তিনিকেতনের মাটিতে ধরা রয়েছে, বর্ষামঙ্গলের আয়োজনে।
ঋতু চক্রের নিয়মে— প্রকৃতি তার রূপ বদলায়, বছর ঘুরে, ধরা দেয় আবারও। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু বর্ষার আঙিনায়, সে-উৎসব শান্তিনিকেতনের মাটিতে ধরা রয়েছে, বর্ষামঙ্গলের আয়োজনে।
‘প্রশ্ন জাগে, শিশুর জন্য আদৌ বাসযোগ্য এই পৃথিবী? এ-দুঃস্বপ্নের অভিঘাত যে মহাভারতের জৃম্ভণাস্ত্রের চেয়েও বেশি জোরালো। এর কোনও অ্যান্টিডোট কি আপনি তৈরি করেছেন? যাতে প্রতিটা শিশু শান্তিতে ঘুমোতে পারে। প্রতিটা সকাল যাতে হয়ে ওঠে রঙিন।’
‘বিভিন্ন বাংলা ছায়াছবিতে থাকা বিভিন্ন বাবা চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে আমার যেটা মনে হল, সেটা হচ্ছে, আমাদের এই বাঙালি বাবারা রাগী হতে পারেন, দাম্ভিক হতে পারেন, কিন্তু সব কিছুর পরেও নিজের সন্তানের প্রতি তাঁদের মনে যে-ভালবাসা থাকে, তার জন্যেই তাঁদের চিরকাল ভালবাসা যায়।’
কালক্রমে গাঁজা ভোল বদলেছে। অহোরাত্র ‘ব্যোম-ব্যোম’ ধ্বনির বদলে, বব মার্লের গানের কলি এখন ফ্যাশন। বাবা যেহেতু, পয়লা থেকেই সিদ্ধিতে ফার্স্ট ডিভিশন ছিলেন, এবার ফুলব্রাইট বৃত্তিতে বিকশিত হয়ে গেলেন লিঙ্কনের দেশে।
‘ পশ্চিমবঙ্গে নকশালপন্থী আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বিহারে ছড়িয়ে গিয়েছিল সে-ঢেউ। তৎকালে, উত্তর বিহারের ঢেউখেলানো ভূমির ওপর দিয়েই দুলতে-দুলতে গিয়েছিল আমাদের ওই টয়ট্রেন।’
‘একটা অনন্ত রিলসাগরে আমরা সকলেই ডুবুডুবু। মানবিক সম্পর্কগুলোকে প্রতিস্থাপন করেছে ইন্সটাগ্রাম রিলস। অবকাশ মাত্রই, একা-একা স্ক্রোল। যেন একের পৃথিবী, একবজ্ঞা ট্রেনে-বাসে যাতায়াত, আখেরে আমাদের ক্লান্ত করে, ক্লান্ত— ক্লান্ত করে। পুঁজিবাদ এমনই চেয়েছিল। যৌথতার প্রতিটি ধাপ একেবারে গুঁড়িয়ে দিতে।’
‘‘ওই ন’টা কুড়ি থেকে, সাড়ে ন’টা-ন’টা চল্লিশ অবধি আড্ডাটা চলত। বিচিত্র সেই আড্ডার বিষয়! এ-ওর পিছনে লাগা, গান-নাচ নিয়ে নানা কথা, এমন কত কী! অশেষদা, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেই আড্ডার কর্ণধার ওরফে মধ্যমণি। মোহরদি, মঞ্জুদি, বাচ্চুদি, মাধবদা— এমন অনেকে ছিলেন এই আড্ডার অঙ্গ! তবে সংগীত ভবনের আড্ডার, প্রাণ ছিল ‘গান’।’’
‘তিনিই দেখিয়ে দিয়েছিলেন দেশের প্রাকৃতজনের প্রাণবন্ত ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে কীভাবে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে সেখানকার কারুশিল্প। তিনিই আজ থেকে ৬০-৬৫ বছর আগে সাবধান করে দিয়েছিলেন, বাঙালির জীবনের সঙ্গে শিল্পকর্মের প্রত্যক্ষ ঘনিষ্ঠ সংযোগ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’
‘তারপর যদি বেফাঁস কিছু দেখে ফেলে? কিংবা যদি স্টাডিরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকে? তাহলে কি পাপানকে ডেকে দরজা খুলতে বলবে? দুশ্চিন্তায় শিরশিরে হেমন্তেও, কপালে ঘাম জমে যায় সহেলীর।’
কালের নিয়মে মৃত্যুশোক সকলকেই পেতে হয়। কিন্তু তার পূর্বাপর নিয়ে আমরা ভাবি কি?
‘তাঁকে যখন ভরা গানের আসরে একদা এক শ্রোতা জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী এমন দুঃখ তাঁকে জড়িয়ে আছে যে এত দরদ তাঁর গানে, থম মেরে গিয়েছিলেন, গলা ভারী হয়ে গিয়েছিল, মজা করে বলেছিলেন, মেরা তো বেগম হ্যায়, মেরা কোই গম নেহি।’
হ্যাভেল সাহেবের প্রবল উদ্যোগে আর্ট কলেজে ভাইস-প্রিন্সিপালের পদে যোগ দিলেন অবনীন্দ্রনাথ। এই কাজে, অবন ঠাকুরের সম্মতি আদায় করা মোটেই সহজ ছিল না। অনেক কাণ্ড করে হ্যাভেল তাঁকে রাজি করিয়েছিলেন।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.