শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪৫

Representative image for an article

কয়েকটি কবিতা

অধিকার

যেখানে তুমি যাওনি অধিকারে,
সেখানে তুমি নিরুত্তাপে যাবে।
অনতিদিন নদীর ভুল পাড়ে
শস্য হবে বিরহসম্ভাবে।

যেতে দেবার যত রকম আলো
ফিরিয়ে নিতে আঁচের লেনাদেনা
বাতাস নেবে কুহকিনীর পালক…
খুচরো মেঘ, আকাশদামে কেনা।

অথচ ছিল বসত কত বড়
তোমারও ছিল শতেক দাবিদাওয়া
এখন নতিস্বীকার করে ঝড়ও।
বিচ্ছেদের এমনই জিতে যাওয়া।

কথকতাও চোখের সংহারে
হার মানার আরামটুকু পাবে।
যেখানে তুমি যাওনি অধিকারে,
সেখানে তুমি নিরুত্তাপে যাবে।

অবসান

তোমার হাতে ক্ষয়ক্ষতির পরে
বিষাদ মাপে অবসানের সীমা।
যেমন বৃথা বসায় জাদুকরে
পাখির পাশে উড়ালভঙ্গিমা—

স্থির, তবুও বাতাস-অনুগামী
চুপ, তবুও কথার সহচরা
এমনই ছলে হারিয়ে যাই আমি…
যেমন গানে পুরনো অন্তরা।

অথচ দিন ছিল তো বেশ ঢালু
গড়াত রোদ নীল জলের দিকে
এখানে তাও প্রবাদ আছে চালু,
সহানুভূতি পায় না দুঃখীকে।

আবার কোনও বসতি-অবসরে
চিঠির ভাঁজে বানিয়ে নিয়ো বিমান…
তোমার হাতে ক্ষয়ক্ষতির পরে
বিষাদ মাপে অবসানের সীমা।

শীত

এখন কথা গহনাসঞ্জাত।
হয়তো দেখা পরের কোনও শীতে…
বিরহমুঠো সহজে ভরে না তো,
ধরেছি তারই আকাশ, রেকাবিতে।

বিক্রি কিছু আয়না ছিল প্রাচীন
সওদা তারও নামমাত্র দামে।
যখনই আমি বিকেল হয়ে বাঁচি,
সন্ধে এসে পাখির মতো নামে।

বাজারহাট বন্ধ ক’রে দ্রুত
মানুষ ফেরে যে যার ছোট গ্রহে
যাদের হাত তোমার মুখ ছুঁত,
তারা এখন ওঠে না বিদ্রোহে।

আগুন নিজে ভস্মজলে স্নাত
অরণ্যকে হার মানিয়ে দিতে
এখন কথা গহনাসঞ্জাত।
হয়তো দেখা পরের কোনও শীতে…