গল্প / কবিতা

গুলজার

কোভিড কবিতা

‘আমাদের আগে-পরে তখনও এক খুনে সময় ছিল/ জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করত/ আমাদের পিছনে এক খুনে সময় এখন ধাওয়া করছে/ যা জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করে না,/ একেবারে খুন করে দেয়/ ভগবান জানে, এই ভাগাভাগি বেশি ভয়ের, না কি সেই ভাগাভাগি!’ করোনাকালে লেখা কবিতা।

পম্পা বিশ্বাস

ব্যূহ

‘কুকুরটার স্থান ও ডিউটি নির্দিষ্ট। মেজোভাই কালীপদদার বাঁজা বউ যখন জামাকাপড় শুকোতে দিতে বা তুলতে ছাদে ওঠে, তখন ঘেউ ঘেউ করতে হবে। কিন্তু দুবলা ভুলুর ডাকটা শুনতে লাগে ‘খেউউ, খেউউ’।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৭

‘মনে আছে তখন দুপুরবেলা। দুটো কি তিনটে বেজেছে। হঠাৎ বড়-বড় করে আওয়াজ হল। বাইরে চেয়ে দেখি বৃষ্টি পড়ছে। গুরুও চেয়ে দেখল, হ্যাঁ বৃষ্টি পড়ছে। গুরুর চোখে মুখে ছেলেমানুষের মতো আনন্দ ফুটে উঠল।’ গুরু দত্তের ছেলেমানুষি।

দেবারতি মিত্র

কয়েকটি কবিতা

‘ও আমাকে বললে—/ নীল পাথরের মালা পরে থাকো কেন?/ আকাশ কি নীল, শুধুই নীল, / আকাশ আর নীলাকাশে আমাদের এখন কী দরকার?/ বর্ণ গন্ধ দৃশ্য হাসি ও অশ্রু সবই তো আমরা/ দুজন দুজনের মধ্যে খুঁজে পাই।/ তবে আকুল হবার কষ্ট কেন করবে?’ নতুন কবিতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৬

‘হয়তো কোনো ছুটির দিন সেটা। স্টুডিওতে কেউ নেই। ফাঁকা সব। কিন্তু আমরা দুজনে গিয়ে বসতাম সেই ঘরে। চারদিকে অসংখ্য বই আর ম্যাগাজিন। তখন গুরু আর আমি একাকার হয়ে যেতাম গল্পের জগতের মধ্যে!’ বন্ধুত্বের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫

‘এখনও এক-একবার ভাবি লোনাভালায় সেই দেড় মাস কী আনন্দে কেটেছে। অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করার পর সবাই যখন বেলা দশটা-এগারোটা-বারোটা পর্যন্ত ঘুমোচ্ছে, আমি তখন আমার নিজের ঘরে বসে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ লিখছি।’ লোনাভালার দিনযাপন।

তরুণ মজুমদার

ছবিদা— ছবি বিশ্বাস: পর্ব ৪

১৯৬২ সালের ১১ই জুন। গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ছবি বিশ্বাসের। কিন্তু ‘কাঁচের স্বর্গ’ থেকে শুরু করে ‘চাওয়া-পাওয়া’— এমনকী ‘স্মৃতিটুকু থাক’ ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন তিনি। এই লেখার শেষ পর্বে উঠে এল সেই সময়েরই কিছু টুকরো মুহূর্তের কোলাজ।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৪

‘গুরুর একটা ভালো গুণ ছিল— সে কখনও বেশি কথা বলত না। যখন অন্য লোক চুপ করে থাকত, সে-ও চুপ করে থাকত। অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর হঠাৎ নিঃশব্দে কখন ঘর থেকে কাউকে না বলে চলে যেত।’ অন্য মেজাজের গুরু দত্ত।

তরুণ মজুমদার

ছবিদা— ছবি বিশ্বাস: পর্ব ৩

ভারিক্কি, জমকালো আর দোর্দণ্ডপ্রতাপ— এই তিনটি শব্দের বাংলায় একটি সমার্থক শব্দ আছে— ছবি বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে অনেক সিনেমা করেছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার এবং সেই সব অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর আখ্যানই তিনি তুলে ধরছেন। কয়েক পর্বে।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩

‘গুরু বললে— আমাকে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবিটা করতে সবাই বারণ করেছে। এমনকী আমার স্ত্রী পর্যন্ত বারণ করেছে। কিন্তু আমি এ ছবি করবোই। আমি ভীষণ একগুঁয়ে মানুষ।… আমি কারো কথা শুনবো না। আমার নিজের মতেই আমি চলি।’ গুরু দত্তর মনমেজাজ।

তরুণ মজুমদার

ছবিদা— ছবি বিশ্বাস: পর্ব ২

ভারিক্কি, জমকালো আর দোর্দণ্ডপ্রতাপ— এই তিনটি শব্দের বাংলায় একটি সমার্থক শব্দ আছে— ছবি বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে অনেক সিনেমা করেছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার এবং সেই সব অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর আখ্যানই তিনি তুলে ধরছেন। কয়েক পর্বে।

জয়া মিত্র

সামান্য জীবনের গল্প

বৃষ্টি বেড়েছে। টিনের দরজা খটখট শব্দ করছিল। ঘরের চালেও শব্দ হচ্ছিল জোর। তার মধ্যে দুইজন মানুষ বসে থাকে আট বছরের দূরত্ব পার করে।…সম্পর্কের টানাপড়েন চলে, চলতেই থাকে। তাতে সময়ের তাপ্পি কিছুটা তাপ আড়াল করতে পারে কিন্তু সংশয় থেকেই যায়।