নিবন্ধ

অভীক মজুমদার

আমাদের দূরের জানালা

‘পল ভালেরি বলেছিলেন, কবির সন্ধান সেই স্বপ্নময় ভাষার যা জাগ্রতের। ফরাসি কবিতার সঙ্গে পুষ্করের সখ্য যেন সেই অনিঃশেষ সন্ধানের সূত্রেই গ্রথিত। লৌকিকে আঁকড়ে থেকে অলৌকিক উদ্‌ভাস খোঁজা। নিরন্তর।’

সংযুক্তা বসু

‘খারিজ’ থেকে ‘পালান’

‘কৌশিককে প্রাণিত করে মৃণালের ভাবনার চলন। ছোট্ট একটা অনুভূতি, ছোট্ট একটা মুহূর্তকে নিয়ে ছবি করতে পারতেন মৃণাল। এসে পড়ত মধ্যবিত্ত জীবনের গভীরে ঢুকে পড়া সংশয়, দুশ্চিন্তা, অভাব, স্বভাব আর মূল্যবোধ।’

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ১

‘বিশ শতকের প্রথম দশকেই ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন’-এর প্রতিটি সংখ্যা অর্ধেকের বেশি ভরে উঠতে দেখা যায় ফোটোগ্রাফের তাৎপর্যপূর্ণ ও রুচিশীল ব্যবহারে। কখনও এক কলম ছবি, কখনও-বা পাতাজোড়া প্লেট— চোখের আরামের সমার্থক হয়ে ওঠে পত্রিকাটি।’

আবীর ভট্টাচার্য

ছায়ায় আবৃত সূর্য

‘একইসঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে নাট্যচর্চাও। কলেজের প্রথম বর্ষেই নিজের নাটক ‘সংঘাত’ নিয়ে শিশির ভাদুড়ীর শ্রীরঙ্গম-এ সদলবলে অভিনয় করে এসে ১৯৫৭ সালে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে তিনি খুলে ফেললেন নিজেদের নাট্যদল ‘সুন্দরম’।’

কবীর চট্টোপাধ্যায়

রাজনীতির সৌজন্য, সৌজন্যের রাজনীতি

‘সৌজন্যের রাজনীতির হাত থেকে কি তবে নিস্তার আছে? সারাদিনের উটকো অকাজ ছেড়ে সত্যিকারের কাজের দিকে কি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি আবার ফিরবে? নৈরাশ্যবাদ খুব একটা কাজের জিনিস নয়, তাই আশা রাখি।’

ঔষ্ণীক ঘোষ সোম

দিনান্তের পথিক

‘সেদিন ওঁর একটা অন্য দিক আমার সামনে খুলে গেছিল। ওঁর এই অন্যের প্রতি (তা সে ওঁর থেকে যত ছোটই হোক না কেন) শ্রদ্ধাবান হওয়ার শিক্ষা আমার শিরোধার্য হয়ে থাকবে।’

তৃণময় দাস

ব্রায়ান ট্যালবটের বিকল্প জগৎ

‘গ্র্যান্ডভিল কিন্তু একটা আদ্যপ্রান্ত হার্ডবয়েলড ডিটেকটিভ সিরিজ। হ্যাঁ, সিরিজের প্রতিটা খণ্ডে স্টিমপাঙ্ক আর ফ্যান্টাসির এলিমেন্ট বর্তমান ঠিকই, কিন্তু আসল প্লটের কেন্দ্রে রয়েছে গূঢ় রহস্য, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, অন্ধকার দুনিয়ার কার্যকলাপ, আর (অবশ্যই) ফেম ফ্যাটাল।’

সোহম দাস

জ্যাক, টাইটানিকের জ্যাক

‘কর্তব্যে অবিচল জ্যাক ফিলিপস, অলিম্পিককে জানালেন, ‘মহিলা ও শিশুদের নৌকায় করে নামানো হচ্ছে। আর বেশিক্ষণ কথা বলা যাবে না। আমাদের বিদ্যুৎ ফুরিয়ে আসছে।’ পাঁচ মিনিট পরেই আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ আপডেট গেল জ্যাকের তরফে…’

সাজ্জাদ শরিফ

অস্পষ্ট আলোর দেশে

‘যাঁরা লেখেন তাঁরা জানেন, এমন মুহূর্তের মুখোমুখি বার বারই তাঁদের পড়তে হয়। দুর্জ্ঞেয়কে ভাষার ফাঁদ পেতে ধরতে গিয়ে তারা এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। ভাষার অচেনা বিন্যাসে দুর্জ্ঞেয়কে ধরাই তো কবিতার কাজ!’

চৈতী মিত্র

আমার ‘হ্যামলেট’ অনুবাদ

‘নাটক তো শুধু পড়ার জন্য লেখা নয়, নাটক মঞ্চস্থ হতে চায়, নাটকের ভাষা যে-কারণে একইসঙ্গে বৌদ্ধিক এবং শরীরী। নাটকের টেক্সটের মধ্যেই অন্তর্লীন তার মঞ্চায়নের ‘কোড’— অভিনেতার অঙ্গভঙ্গি, ইঙ্গিত, সংলাপ, মঞ্চ বা স্পেস ব্যবহার, আবহ, ইত্যাদি।’

সারস্বত সেন

আয়নাতে মুখ দেখব না?

‘সবই তাহলে অন্যের দোষ, থুড়ি টেকনোলজির দোষ? যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা বর্ণবিদ্বেষ, জাতিবিদ্বেষ, নারীর অবমূল্যায়ন— এসব তো আমাদেরই আবিষ্কার, এই পলিটিকাল ও মিডিয়া কারেক্টনেস-এর যুগেও যা সযত্নে লালিত-পালিত।’

বিষাণ বসু

চরিত্রে ভারতীয়, বোধে আন্তর্জাতিক

‘বোধ-এ যিনি আন্তর্জাতিক, অথচ চরিত্রে নিপাট ভারতীয়— নলিনী মালানি হয়ে উঠবেন এমনই এক শিল্পী। যাঁর চোখে রামায়ণের সীতা আর গ্রিক পুরাণের মেদিয়া…একাকার হয়ে যায় এবং যাঁর শিল্পচর্চায় বার বারই উঠে আসবে এই সব চরিত্র।’