

মুখঋত: পর্ব ৭
বোর্ড পরীক্ষার্থীরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে নানা শিক্ষক-প্রতিষ্ঠান-শিক্ষাদানের ছোঁয়া পেয়েছে। স্কুল-জীবনের শেষের দিকে এই বদল একটি শূন্যতা তৈরি করে দিল ওদের মধ্যে। ফিনিশিং লাইনই থাকল না।
বোর্ড পরীক্ষার্থীরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে নানা শিক্ষক-প্রতিষ্ঠান-শিক্ষাদানের ছোঁয়া পেয়েছে। স্কুল-জীবনের শেষের দিকে এই বদল একটি শূন্যতা তৈরি করে দিল ওদের মধ্যে। ফিনিশিং লাইনই থাকল না।
‘বস্তুর দিক থেকে, এই দুই বিশালাকার ফিগার রামকিঙ্করের পূর্ববর্তী কাজের চেয়ে একেবারেই আলাদা। রামকিঙ্কর এতদিন কাজ করেছেন কংক্রিটে, কিন্তু এই দুটি কাজ ছিল পাথরের। আঙ্গিকের দিক থেকে না হলেও, বস্তু এবং তার গাত্রত্বক-এর বিন্যাসে কাজদুটি রামকিঙ্করের বাকি ভাস্কর্যের তুলনায় দৃশ্যত পৃথক হয়ে উঠেছিল।’ রামকিঙ্করের ‘যক্ষ-যক্ষী’।
‘রামকিঙ্করবাবু কলাভবনে কিছুদিন কাজ করার পরে যখন এখানেই মডেলিং শেখাতে লাগলেন তখন আমিও এখানে কাজ শুরু করেছি। সেই সময় ছুটি-টুটিতে আমরা এখানেই থাকতাম, উনিও থাকতেন, কাজেই দেখাসাক্ষাৎ প্রায়ই হত। কাজের অ্যাসোসিয়েশনটা আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ করে দিয়েছিল।’ শিল্পীর কথা।
‘শান্তিনিকেতনে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের মতোই রামকিঙ্কর স্থানীয় প্রকৃতির সাথে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন, তবে তিনি সেই প্রকৃতিকে দেখেছিলেন এক ভিন্ন শিল্পবোধের দৃষ্টিতে, ভিন্ন শৈল্পিক প্রথার থেকে তিনি পেয়েছিলেন নিজের কলাকৌশল। সর্বজনীন জগৎটাকে তিনি দেখেছিলেন খুব ব্যক্তিগত ভাবে।’ রামকিঙ্করের শিল্পচেতনা।
এই দেশে বোর্ড-পরীক্ষার ফলই পরবর্তীর জীবন আর চাকরি নির্ধারক অথচ এ বছরের পরীক্ষার্থীরা এক নিরালম্ব অবস্থায়। তাদের ১২ বছরের তপস্যায় নির্দিষ্ট ইতি পড়ল না। পরীক্ষা বাতিল মানে ভবিষ্যৎ বাতিল?
‘কলকাতায় ‘ইনডিপেন্ডেন্ট’ শিল্পী হিসাবে রোজগার অতি সামান্য। পুঁজির ওপর নির্ভর করার সুযোগ-সুবিধা যাদের নেই, তাদের জন্য কি আদৌ কোনও রাস্তা আছে? হোয়েল চেষ্টা করছে একটা নতুন পথ, নতুন পন্থা খুঁজে বের করার।’ নতুন ব্যান্ড, নতুন সংস্কৃতি।
‘একদিন আরতি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন দুই কবির কবিতায় ঋতুদের সম্বন্ধে। এই সুযোগে আমি ওঁকে এই ধরনের দীর্ঘ কাব্যের ছয়-ঋতু সর্গ সম্পর্কে বলতে শুরু করলাম। আরতি মাথা নেড়ে আপত্তি জানালেন— পৌড়িয়াল দার্জিলিং-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঋতু সম্বন্ধে কিছু লেখেননি কেন?’ ঋতুর কবিতা।
‘তাঁর অবদান ছিল প্রচুর কিন্তু তিনি তা কোনওদিনই প্রচার করেননি চারদিকে। তিনি তাঁর কাজে একনিষ্ঠ ছিলেন কিন্তু উদাসীন দার্শনিকের মতো গ্রহণ করতেন তার ফল। অর্থ, মান ও যশের প্রতিধ্বনিময়তার ভিতরে তিনি ছিলেন একক, অসংসারী আর খেয়ালি।’ রামকিঙ্করের সামগ্রিক মূল্যায়ন।
‘একদিন ওই মূর্তিটা চোখে পড়াতে, নন্দলালের কাছে জানতে পারলেন যে ওটা কিঙ্করের করা। পরের দিন তলব হল— গুরুদেব ডেকেছেন। বকুনি খাওয়ার আশঙ্কায় ভয়ে-ভয়ে হাজির হলেন। বকুনি দূরের কথা— আদেশ দিলেন, আশ্রম ভরিয়ে দিতে হবে ওই রকম বড়-বড় মূর্তি দিয়ে!’ রবীন্দ্রনাথ-রামকিঙ্কর প্রসঙ্গ।
‘আমরা তখন অ্যান্ড্রুজ পল্লীর বাড়িতে প্রথম এসেছি। কিঙ্করদা আমাদের ঠিকানা জানেন না, উনি একটা রিকশা চড়ে প্রতিটি বাড়ির সামনে হাঁক দিচ্ছেন: ‘শর্বরী, শর্বরী!’… আরও একবার ভরদুপুরে একটা এঁচোড় নিয়ে হাজির, সঙ্গে ছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়।’ স্মৃতিতে রামকিঙ্কর।
‘খুব অল্প বয়স থেকেই সুকণ্ঠী ফরীদা গান দিয়ে তাঁর দিদি এবং গুণীজনদের মুগ্ধ করে রাখতেন। অল্পবয়সেই এমন প্রতিভা দেখে ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খান, ওস্তাদ আশিক আলি খানের কাছে ছোট্ট ফরীদার গান শেখার ব্যবস্থা করে দেন।’ গজল-সম্রাজ্ঞীর কাহিনি।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যেমন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহর, তেমনি দেখিয়েছে মানুষের মনুষ্যত্ব ও সহমর্মিতা শেষ হয়নি এখনও। ডেটলাইন কোভিড: দিল্লি
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.