কলাম

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৫

আবিষ্কার হয়েছে চালকহীন গাড়ি। শুনে অনেক ভাবছেন, ‘যাক, ড্রাইভারের ঝামেলা মিটল’, অনেকে ভাবছেন, ‘পেছনের সিটে ইন্টু-মিন্টু করার আর বাধা রইল না।’ কিন্তু এই আবিষ্কারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। অ্যাক্সিডেন্ট হলে গণধোলাই দেওয়া হবে কাকে? কার ওপর যখন তখন প্রভুত্ব ফলাবে অহং-বাজ মধ্যবিত্ত? চালকের অস্তিত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ১

২০১৫ সালের পর আর অ্যান্টনিকে দেখা যায়নি। কে জানে এতগুলো বছর কোথায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল! এখন অবশ্য ও বেঙ্গালুরুতে, কিন্তু নির্ঘাৎ জীবন ঘেঁটে ঘ। সাত বছর বাদে এটা তার দ্বিতীয় অ্যাডভেঞ্চার। এবারে ওর আগের জীবনের দুঃখের সঙ্গে এই জীবনের দুঃখের তুলনামূলক আলোচনা করে দেখতে হবে, সেটা বাড়ল না কমল!

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৩

অন্য কথায়, অন্য মানুষের কথায় মিশে থাকা নিজের মনের অনুভূতি। এ কবিতা যেমন অন্যের, তেমন তাঁরও। এ কবিতা আদত উদুর্তে জাভেদ আখতারের, অনিবাদে শ্রীজাত। কিন্তু কবি যে কখন অনুবাদকের অনুভূতির মধ্যে চাড়িয়ে গিয়ে তৈরি করেন আশ্চর্য এক মিশেল, তা বোঝা দায়। তাই এ কবিতা যেমন জাভেদ আখতারের, তেমন শ্রীজাতর। আসলে অনুবাদ কবিতা না ভেবে বরং, মিশ্র-অনুভূতির কবিতা বলাই ভাল।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৮

সারা পৃথিবী যখন বুচা নিয়ে আঙুল তুলছে, রাশিয়া যে ঘনঘন ঘাড় নেড়ে বলছে, ‘না, না, আমি করিনিকো’, সে-ই এক আশ্চর্য। বলতেই পারত, যুদ্ধ মানেই রাষ্ট্রের খেয়ালে নিরপরাধ মানুষের প্রাণ নেওয়া ও তার স্কোর রাখার উৎসব। নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না, আকাশ থেকে বোম ফেললে হাসপাতালেও টপকে যায়। মৃত্যু উদযাপনের উৎসব: যুদ্ধ।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১৩

রাজা মাইডাস দেবতার কাছে বর চেয়েছিলেন যে, তিনি যাই ছোঁবেন তা যেন সোনা হয়ে যায় অর্থাৎ তাঁর সব কাজে যেন সাফল্য আসে। কিন্তু দেবতা তা আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করে যে বর দেন, তাতে রাজা মাইডাস বেজায় বিপদে পড়লেও আক্ষরিক বরের গুণে সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। কিন্তু পরে রাজারই বুদ্ধিতে দেবতা পড়েন বিপদে। আর গানে বলা হচ্ছে যে মার-ই হল আদর্শ একটি শব্দ, যার প্রয়োগ ভাল-খারাপ নির্বিশেষে মানুষকে ছুঁয়ে যায়।

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ১৪

‘লজ্জা নিবারণের জন্য নাকি পোশাক! শরীরের বিশেষ-বিশেষ অঙ্গকে টার্গেট করে সেগুলোকে শরীরের লজ্জা বানানো হয়েছে। তারপর সেগুলোকে ঢাকার সে কী চেষ্টা! আমরা দেখি আর হাসি। মানুষের ট্র্যাজেডি হল, ঈশ্বর নাকি পৃথিবী বানিয়ে, মানুষ বানিয়ে, কেটে পড়েছে, কোনও রুল-বুক দিয়ে যায়নি।’ লজ্জার ধরন।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১২

যাবতীয় অবান্তর ব্যাপার থেকে নিজেকে সরানোর মতো ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। বাধ্য হয়ে বিকল্প খুঁজে চলেছি। অব্যাহত আছে মনের মধ্যে নক্কারজনক কল্পনার স্ট্রিমিং ভিডিও। কেউ বুঝে ফেললে সর্বনাশ। টেনশন হয় সারাক্ষণ।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৪

‘প্রহরা দুর্গের মন। অপরাধ শাস্তির প্রেরণা।/ মাঝে যে-পরিখা, তাতে আশঙ্কা টলটল করে রাতে।/ শত্রুদের চাঁদ দ্যাখো। তির লেগে ভেঙে যাওয়া কোনা…/ আরও বুঝি যুদ্ধ চাই, নাগরিকে জোছনা বোঝাতে।’ নতুন কবিতা।

খুচরো খাবার: পর্ব ৭

খুচরো হলেও, রাস্তার কচুরি কিন্তু মুড়ির মতো সমাজের সর্বস্তরভেদী খাবার নয়— এক পিস হরে দরে পাঁচ থেকে দশ টাকা দাম হতে পারে, দাম নির্ভর করছে শহরের কোন প্রান্তে, কোন পাড়ায় খাচ্ছেন তার উপর। তা-সত্ত্বেও, অফিস-ব্যস্ত স্বল্পপুঁজী কর্মীর পক্ষে আজকের যুগে দাঁড়িয়েও যে ৩০-৪০ টাকায় খাওয়াটা সারা যায়, এটা ভাবা যায় না, এবং এটা সত্যিই কলকাতা ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোনো শহরে ভাবা যায় না।

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৭

রাজনীতিকদের গৎবাঁধা তর্কের নামতা-বাজি যে সাধারণ লোক বুঝতে পারে না তা নয়, তাদের উত্তেজিত হয়ে ওঠার ভড়ং যে পাবলিকের মগজ এড়িয়ে যায় তা নয়, এবং নিজের মুঠো থেকে দায় অন্যের কোলে চালান করার আপ্রাণ চেষ্টায় ইতিহাসের চ্যাপটারের সুবিধেজনক ন্যাজ ধরে টান মারার তুড়ুক-লাফে নেতাদের ত্যানাও প্রায়ই সরে যায় এবং টিভি থেকে জনগণের ড্রয়িংরুমে খসে পড়ে স্লো মোশনে, কিন্তু তা সত্ত্বেও উগ্র তীব্র তপ্ত গোলমালে দর্শকের বিচার প্রায়ই ঝনঝনিয়ে ওঠে।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৫

পাঙ্ক রক্‌ কাকে বলে? আগাপাশতলা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক যাকে বলা হয়, তার শুরু কি পাঙ্ক রক্‌ থেকে? মূলশ্রোতের জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়া একটা ব্যান্ড কি তার পাঙ্ক রক্‌ মূল্যবোধকে পেছনে ফেলে আসে, দামাল যৌবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর মতো? অথ গ্রিন ডে কথা।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৩

‘কত মানুষ এসে দেখা করছেন তাঁর সঙ্গে, সকলের দিকে একই রকম হাসিমুখ নিয়ে তাকাচ্ছেন সুনীলদা। আর দোলের ওই চড়া রোদের তাপে তাঁর বয়স গলতে-গলতে কমে দাঁড়াচ্ছে সাতাশে। আমাদের চোখের সামনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রূপান্তরিত হচ্ছেন নীললোহিতে।’ দোলের শান্তিনিকেতন।