কলাম

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৫

বিশ্বকাপ দেখার প্রথম সমস্যা হল, রাত জাগতে হয়। দ্বিতীয় সমস্যা, চোরামি করে বড় টিমেরা পেনাল্টি চায় ও মাঝেমাঝেই VAR নামে এক উদ্ভট ভিলেন তাদের সাহায্য করে। তিন নম্বর, খেলা দেখার সময় অপ্রিয় দেশের ফুটবল-শৈলীর সমাদর করব কি না, সে দ্বিধা বড় হয়ে দাঁড়ায়। আর এত ঝঞ্ঝাটে পড়ে যদি কেউ বিশ্বকাপই না দ্যাখে, তাকে কেউ খেলায় নেবে না।

খুচরো খাবার: পর্ব ১৫

‘ দিল্লিতে খুচরো খাবার বলতে যা বোঝায়, সেটা এই দুটো জায়গা ছাড়া মেলা ভার। দক্ষিণ দিল্লি অগ্নিমূল্য। কিছু-কিছু ‘খুচরো’ খাবারের যা দাম, তা দিয়ে কলকাতায় মোটামুটি দু-বেলা খাওয়া হয়ে যাবে।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ৭

তিব্বতি মঠ নিয়ে ছবি। কিন্তু মঠের জীবনকে বাড়তি মহিমান্বিত করার দায় নেই, প্যাঁচঘোঁচ খোঁজারও আতশ কাচ নেই। একটা সরল ছবি, কিন্তু সঙ্গে আছে ঝকঝকে বুদ্ধি, কৌতুক ও বিশ্বাস, আর অবশ্যই মধিখানে আছে বিশ্বকাপ, যা তাকে এ মরশুমে একটু বেশি উল্লেখ্য করেছে।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২১

‘আমরা তিন ভাইবোন আর থাকতে না-পেরে উঠে গিয়ে বসার ঘরের পর্দা সরিয়ে উঁকি দিয়েছি। কাজটা ঠিক হচ্ছে না জেনেও দিয়েছি। আর তখনই তাঁর চোখ পড়েছে আমাদের অপরাধী মুখগুলোর দিকে। পড়ামাত্র, হাতের নরম ইশারায় তিনি ডেকেছেন আমাদের।’ সুরের সংযোগ।

শ্রীজাত

দূরপাল্লা: পর্ব ৪

ইউরোপের সালসবুর্গে ঘোরার ক্ষেত্রে একটা জায়গা বেছে নিতে হত— হয় সাউন্ড অফ মিউজিকের সফর নয়তো মোৎজার্টের বাড়ি। আমরা বেছেছিলাম দ্বিতীয়টা। তারপর গেলাম ইবেনসি বলে এক অজ পাড়াগাঁয়ে। ছবির মতো প্রকৃতি আর আতিথেয়তা ভরিয়ে দিয়েছিল আমাদের।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক:পর্ব ২৪

ছাঁটাই করলে চাকরি-হারাদের মন বিষণ্ণ হয়। কিন্তু চাকরি-খেকোদের মন তো প্রসন্ন হয়। সেটা দেখছি না কেন? ক্ষমতার প্রধান আনন্দই তো যখন-তখন অন্যের সংসার ভাসিয়ে দেওয়া। তাছাড়া, চাকরি গেলে লোককে বাধ্য হয়ে স্বাবলম্বী হতে হয়, অভিনব মতলব ভেঁজে সংসার চালাতে হয়। সেগুলোও তার এবং সমাজের বিলক্ষণ উপকার করে।

শুভারম্ভ : পর্ব ২১

’অনেকেই এমন আছেন, যাঁদের পেশাগত কারণে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বহু সময়েই দেখা যায়, সেই বাদ্যযন্ত্র হয় গন্তব্যে এসে পৌঁছয়নি, কিংবা আরও খারাপ, পৌঁছতে গিয়ে ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ শিল্পীর সংকট।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ১৪

কথায় আছে, তীরে এসে তরী ডোবা। এত বীরত্ব ফলিয়ে যখন অ্যান্টনির জীবন রঙিন হতে শুরু করবে সবে, গন্ডগোল বাধল সেখানেই। স্নেহাকে সে ডেকে ফেলল শায়েরি নামে। কোনও মানে হয়! অ্যান্টনির জীবন কোন পথে যাবে এবার, কে জানে!

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৩৬

‘সমস্ত সমগ্র সমুদয় সিনারি পবিত্র হলে তবে তুমি জলকে নামবে, এ-কথা ভাবলে জীবন রুদ্ধ। সব কথা জানাও যায় না, আর সব জানলে পুরোটার ভিত্তিতে কাউকে পাশ-নম্বর দেওয়াও যায় না। দেখতে হবে তোমার কাজ চলছে কি না, আর অন্য ক্ষেত্রগুলোয় মোটামুটি এড়িয়ে-পেরিয়ে সরে-সরে থাকতে পারছ কি না।’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২০

অরুণ মিত্র, এমন একজন কবি, যিনি আমাদের আয়ু চেনান, নক্ষত্র চেনান, বিস্তার চেনান। তাঁর কবিতায় উত্তাল নাগরিকতার সঙ্গে সহাবস্থানে থাকে শান্ত প্রকৃতি। আর নিভু স্বরে থাকে অনুচ্চকিত প্রতিবাদ। তিনি হঠাৎ শেষ করে দিতে পারেন তাঁর কবিতা, কোনও মার্জনা না চেয়েই।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৩

পরিবেশকর্মীরা এখন অভিনব আন্দোলন করছেন, মিউজিয়ামে গিয়ে বিখ্যাত ছবির কাচে ছুড়ে মারছেন টম্যাটো স্য়ুপ বা আলুভাতে, তারপর নিজেদের ফ্রেমে বা দেওয়ালে আটকে বলতে শুরু করছেন, পৃথিবী লুপ্ত হলে শিল্পের কোনও মানে থাকবে না।

ম্যাকি: পর্ব ২১

‘দাদুর জেনারেশন বাবাদের জেনারেশন নিয়ে বিরক্ত, বাবা এদিকে ছেলেমেয়ের জেনারেশন নিয়ে বিরক্ত। আগেই ভাল ছিল। তাহলে ডিফাইন ‘আগে’, কত আগে? কার আগে? আগে করতে-করতে তো ডাইনোসরের সময়ে চলে যাবি তোরা!’