শুভারম্ভ : পর্ব ২১
’অনেকেই এমন আছেন, যাঁদের পেশাগত কারণে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বহু সময়েই দেখা যায়, সেই বাদ্যযন্ত্র হয় গন্তব্যে এসে পৌঁছয়নি, কিংবা আরও খারাপ, পৌঁছতে গিয়ে ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ শিল্পীর সংকট।
’অনেকেই এমন আছেন, যাঁদের পেশাগত কারণে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বহু সময়েই দেখা যায়, সেই বাদ্যযন্ত্র হয় গন্তব্যে এসে পৌঁছয়নি, কিংবা আরও খারাপ, পৌঁছতে গিয়ে ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ শিল্পীর সংকট।
কথায় আছে, তীরে এসে তরী ডোবা। এত বীরত্ব ফলিয়ে যখন অ্যান্টনির জীবন রঙিন হতে শুরু করবে সবে, গন্ডগোল বাধল সেখানেই। স্নেহাকে সে ডেকে ফেলল শায়েরি নামে। কোনও মানে হয়! অ্যান্টনির জীবন কোন পথে যাবে এবার, কে জানে!
‘সমস্ত সমগ্র সমুদয় সিনারি পবিত্র হলে তবে তুমি জলকে নামবে, এ-কথা ভাবলে জীবন রুদ্ধ। সব কথা জানাও যায় না, আর সব জানলে পুরোটার ভিত্তিতে কাউকে পাশ-নম্বর দেওয়াও যায় না। দেখতে হবে তোমার কাজ চলছে কি না, আর অন্য ক্ষেত্রগুলোয় মোটামুটি এড়িয়ে-পেরিয়ে সরে-সরে থাকতে পারছ কি না।’
অরুণ মিত্র, এমন একজন কবি, যিনি আমাদের আয়ু চেনান, নক্ষত্র চেনান, বিস্তার চেনান। তাঁর কবিতায় উত্তাল নাগরিকতার সঙ্গে সহাবস্থানে থাকে শান্ত প্রকৃতি। আর নিভু স্বরে থাকে অনুচ্চকিত প্রতিবাদ। তিনি হঠাৎ শেষ করে দিতে পারেন তাঁর কবিতা, কোনও মার্জনা না চেয়েই।
পরিবেশকর্মীরা এখন অভিনব আন্দোলন করছেন, মিউজিয়ামে গিয়ে বিখ্যাত ছবির কাচে ছুড়ে মারছেন টম্যাটো স্য়ুপ বা আলুভাতে, তারপর নিজেদের ফ্রেমে বা দেওয়ালে আটকে বলতে শুরু করছেন, পৃথিবী লুপ্ত হলে শিল্পের কোনও মানে থাকবে না।
‘দাদুর জেনারেশন বাবাদের জেনারেশন নিয়ে বিরক্ত, বাবা এদিকে ছেলেমেয়ের জেনারেশন নিয়ে বিরক্ত। আগেই ভাল ছিল। তাহলে ডিফাইন ‘আগে’, কত আগে? কার আগে? আগে করতে-করতে তো ডাইনোসরের সময়ে চলে যাবি তোরা!’
‘রাত্তিরে খাওয়া-দাওয়ার পর টেলিভিশন বন্ধ করে সকলে যখন শুয়ে পড়ত, আমি একলা পায়ে উঠে চুপিচুপি এসে দাঁড়াতাম ওই স্তব্ধ টেলিভিশন সেটের সামনে। তার কাঠের টানাপর্দায় হাত রেখে নিজের বিস্ময় ঝালিয়ে নিতাম।’ অচেনার আকর্ষণ।
পুলিশ, রেড অ্যালার্ট, ব্রেকিং নিউজ, ইন্টারনেট সেনসেশান– অ্যান্টনির হুড়ুমতাল উড়ান নিমেষে ভাইরাল; ‘ফ্লাইং হিউম্যান ইন বেঙ্গালুরু’ বলে টিকার ছেয়ে গেল পর্দায়-পর্দায়।
বেদি থেকে একটা মহিমা-গ্রাম্ভারি মূর্তিকে টেনে নামিয়ে তাকে আটপৌরে কাপড়চোপড় পরিয়ে চারপাশের ভিড়ে ঘামে ধুলোয় নিয়নে হাঁটিয়ে দেওয়া, প্রণামের জোড়কর-আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে হাতটাকে সিনেমার কাঁধে দিব্যি রেখে চলতে-চলতে ইয়ার্কি মারা, এই হল গোদারের প্রধান বিপ্লব।
২০১৭ সাল। দ্বিতীয়বারের জন্য লন্ডন যাওয়া। নেহাতই ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্য। প্রথমবার যা যা দেখা হয়নি, তার কিছু যদি দেখা যায়! ভাবতে-ভাবতেই প্রথম যা মাথায় এল, তা শেক্সপিয়রের বাড়ি! এই পর্বে রইল সেই অভিজ্ঞতার গল্প।
সত্যি কি? যা আমরা ছুঁয়ে-দেখে-বুঝে-জেগে যাপন করি, শুধুমাত্র সেটুকুই কি সত্যি, বাস্তব, জীবন, রিয়্যালিটি? মানুষের মনের গভীর কোণে কোন সত্য লুকিয়ে আছে, কোনটা আসল, কোনটাই বা কল্পনা, তা বিচার করার অধিকার কার?
‘বহু্ শিল্পীর কাছে এই মুহূর্তের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে হাবুডুবু খেয়েও কোনও মতে টিকে থাকা… তাদের মনের মধ্যে এখন চলছে, নতুন রিল বানানোর জন্য কী ভাবা যায়…’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.