কলাম

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৫৮

‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টিম-বাসে কে কী করছে, বা খেলোয়াড়রা ড্রেসিং রুমে নিজেদের মধ্যে কী বলছে, তা রেকর্ডেড হলে যে-সে যুগে-যুগে মুশকিলে পড়বে। অতি বড় ন্যায়-প্রচারকও হয়তো গেঞ্জি ছাড়তে-ছাড়তে বউকে বলেন, ওই ট্যারাটাকে দেখেই বুঝেছি, মহা বদমাশ।’

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট : পর্ব ১৬

সৃজনশীলতার সূত্র অনুপ্রেরণা, না কি শিল্পীর দক্ষতা? ‘বিজলি বাতি’ গানটা্ ২০০৬ সালের; আজ এতগুলো বছর পরে সৃজনশীলতা নিয়ে কী মতামত অনুপম রায়ের? শুনুন এবারের ‘সং স্টোরি শর্ট’-এ, পর্ব ১৬।

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ২

‘এবার যদি আগুন লাগে, শরীর খারাপ হয়, বাইরে বেরনো যাবে না। এটা ভেবেই দম বন্ধ লাগতে শুরু করল। তার মধ্যে রাত যত বাড়ছে, তত বিচিত্র আওয়াজ আসছে চারপাশ থেকে। কোথাও যেন ভারী কিছু পড়ল। কেউ কি লাফ দিল?’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৬৬

মানবজাতির যে-কোনও কাজ ‘পেরে যাওয়া’র প্রতি একটা অশেষ শ্রদ্ধা আছে। সে-কাজ যদি অনৈতিকও হয়, তা-ও তা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু না-পারা নয়। জো-বাইডেন টক্করের লড়াই দিতে পারলেন না বলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। তা না হলে যে ট্রাম্পের সুবিধে!

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ৩৭

‘ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি বলতে ছোটবেলায় আমি এসব লোকজনকেই বুঝতাম। তা সেই ওয়ান ম্যানের দোকানের সামনে গিয়ে আমরা একটু পিছন দিকে দাঁড়াতাম। সামনের দিকে সম্পন্ন খদ্দেরদের জমায়েত, যাঁরা একজনের জন্য এক প্লেট চাউ বা একটা গোটা রোল কিনতে পারে।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ১

‘তামিল ভাষা, তাই বোঝার প্রশ্ন নেই। কিন্তু চোখ আটকে গেল একটা ছবিতে। বাজে নিউজপ্রিন্টে ততোধিক বাজে ছাপা, কিন্তু এই ছবি তো ভুল হওয়ার নয়, অন্তত কোনও ভারতীয়ের চোখে। সৌরভ গাঙ্গুলির মুখ এলটিটিইর মুখপত্রে কেন?’

অনুপম রায়

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ৪

‘…কলকাতা ইজ অ্যাভারেজ! মেনে নাও। দিল্লি হল রাজধানী। মুম্বই হল ফিল্ম, ফিন্যান্সের রাজধানী, বেঙ্গালুরু আই টি-র রাজধানী। আমরা নেই কোথাও এসবে। আমরা একটা পাতি শহর। তুমি এই পাতি শহরের একটা পাতি আই টি কর্মচারী।’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৪০

কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ২৮

‘পাঁচজনের মধ্যে কোনও সমীকরণ, প্রণয় বা বিচ্ছেদ বা যৌন আকর্ষণ, বা একটা মেয়ের প্রেমে দুজন, দুটো মেয়ের প্রেমে একজন— যার বিভিন্ন কম্বিনেশন প্রায় যে-কোনও চিত্রনাট্যকার আবশ্যিক মনে করতেন ছবিটা লিখতে গেলে— তার ধারই মাড়ানো হয় না।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৬৫

সময় বদলায়, সঙ্গে সঙ্গে মানবসভ্যতাও উন্নত থেকে উন্নততর হয়- এই ধারণা কি ঠিক? গণপিটুনির সাম্প্রতিক ঘটনাবলি কিন্তু এই ইঙ্গিত দেয় যে, সময় আদৌ বদলায় না; বাস্তবে সে একরৈখিক নয়। মানুষের হিংস্র প্রবৃত্তির কোনও ইতি নেই বলেই হয়তো ইতিহাস বার বার ফিরে ফিরে আসে।

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ৮

‘কখনও ১৯৩৭-এর ফ্রিডা কাহলো-র দাপুটে উপস্থিতি দিয়েছে স্বাধীনতার সন্ধান, কখনও ১৯৭৪-এর জেরি হল তাঁর রঙিন ওষ্ঠের পাউটে জাগিয়েছেন যৌনতার বোধ। পাঠকের স্মৃতি একাকার হয়ে গিয়েছে পত্রিকার ইতিহাসের সঙ্গে।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৯

‘তুমি হাঁটো ব’লে/ জীবন গল্প বলে।/
পথিকেরা চেনে,/ দুঃখের আলাপন।/
মনে করে দ্যাখো,/ কান্না রয়েছে পাশে।/
কোনও ছবিতেই/ চ্যাপলিন একা নন।/
এ-শহর/ বাজি হেরে যেতে বলে রোজ/
কাগজে হেডিং/ রুটি মুড়ে আনে রাতে/
ঠান্ডা খাবার/ খেতে খেতে মেনে নাও,/
তুমি যে পারোনি/ কিচ্ছুটি বদলাতে।/’