শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২২

‘তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে/ কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত।/ সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে/ সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত।’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২১

বিনয় মজুমদার, কেবল বাংলা কবিতা জগতে নন বরং বাংলা ভাষা গঠনের ক্ষেত্রেও এক অনন্য স্তম্ভ। তাঁর রচিত দৃশ্যকল্প দৃঢ় অথচ মর্মস্পর্শী। এ কবির রচনায় উপস্থিত দার্শনিক ও জৈবনিক তত্ত্ব। তাঁর মায়াময় কিন্তু অপার বিস্তৃত লেখার কাছে বার বার নতজানু হতে হয় আমাদের।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২১

‘আমরা তিন ভাইবোন আর থাকতে না-পেরে উঠে গিয়ে বসার ঘরের পর্দা সরিয়ে উঁকি দিয়েছি। কাজটা ঠিক হচ্ছে না জেনেও দিয়েছি। আর তখনই তাঁর চোখ পড়েছে আমাদের অপরাধী মুখগুলোর দিকে। পড়ামাত্র, হাতের নরম ইশারায় তিনি ডেকেছেন আমাদের।’ সুরের সংযোগ।

দূরপাল্লা: পর্ব ৪

ইউরোপের সালসবুর্গে ঘোরার ক্ষেত্রে একটা জায়গা বেছে নিতে হত— হয় সাউন্ড অফ মিউজিকের সফর নয়তো মোৎজার্টের বাড়ি। আমরা বেছেছিলাম দ্বিতীয়টা। তারপর গেলাম ইবেনসি বলে এক অজ পাড়াগাঁয়ে। ছবির মতো প্রকৃতি আর আতিথেয়তা ভরিয়ে দিয়েছিল আমাদের।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২১

‘ব্যথাকে বাজার দিয়ে হাঁটিয়ে এনেছি ভোর-ভোর/ বিরহ বন্ধক রেখে এনেছি শুকনো ফুল কিছু/ এখানে শোকের জামা বিক্রি হয়, এমনই শহর/ তাকানো যেমনই হোক, চাহনি চোখের চেয়ে নীচু’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২০

অরুণ মিত্র, এমন একজন কবি, যিনি আমাদের আয়ু চেনান, নক্ষত্র চেনান, বিস্তার চেনান। তাঁর কবিতায় উত্তাল নাগরিকতার সঙ্গে সহাবস্থানে থাকে শান্ত প্রকৃতি। আর নিভু স্বরে থাকে অনুচ্চকিত প্রতিবাদ। তিনি হঠাৎ শেষ করে দিতে পারেন তাঁর কবিতা, কোনও মার্জনা না চেয়েই।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ২০

‘রাত্তিরে খাওয়া-দাওয়ার পর টেলিভিশন বন্ধ করে সকলে যখন শুয়ে পড়ত, আমি একলা পায়ে উঠে চুপিচুপি এসে দাঁড়াতাম ওই স্তব্ধ টেলিভিশন সেটের সামনে। তার কাঠের টানাপর্দায় হাত রেখে নিজের বিস্ময় ঝালিয়ে নিতাম।’ অচেনার আকর্ষণ।

দূরপাল্লা: পর্ব ৩

২০১৭ সাল। দ্বিতীয়বারের জন্য লন্ডন যাওয়া। নেহাতই ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্য। প্রথমবার যা যা দেখা হয়নি, তার কিছু যদি দেখা যায়! ভাবতে-ভাবতেই প্রথম যা মাথায় এল, তা শেক্সপিয়রের বাড়ি! এই পর্বে রইল সেই অভিজ্ঞতার গল্প।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ২০

‘অচল টাকার মতো ভাল লাগে তোমাকে, আমার/
চালাতে পারি না কিন্তু ফেলেও পারি না দিতে ঠিকই
স্মৃতি বড় মুদ্রাদোষ,/ প্রীতি বড় ক্ষয়উপহার/
বাজারের কাছ থেকে ইদানীং ভালবাসা শিখি’। নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৯

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এমন অনেক কবিতা আছে, যা এখন তত পঠিত বা আলোচিত নয়। তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে যে অহরহ ম্যাজিক আছে, তা হয়তো এই কবিতাগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, ঈষৎ চাপা। যদি সেই জাদু ছোঁয়া না যায়, তা হলে আমাদের ক্ষতি।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৯

‘পুজোসংখ্যা হাতে পাবার পরের যে-রাত, রাত মানে বেশ নিশুতিই, বাবা-মা ঘুমিয়ে পড়েছে ততক্ষণে, সেই রাতে আমি আবিষ্কার করতাম প্রথম উপন্যাসের প্রথম পাতাটিকে।’ পুজোর রোমাঞ্চ।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৯

‘তুমি ফুল তুলেছিলে, তারই দাগ রয়েছে বাগানে।/ যেন অপরাধচিহ্ন, যেন ব্যর্থ অভিমানভাষা।/ যে-মেয়েটি অন্ধ, সেও বিরহের কিছু গান জানে।/ তাকে ফুল দাও। আর কেড়ে নাও দেখার পিপাসা।’ নতুন কবিতা।