
হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ৩৩
‘এ-বয়সে এসে আমার লুকোচুরির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজেরই লেখা। অন্য কেউ তো খেলায় নেয় না, সেসব বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ নেই আর, কবেই ছেড়ে চলে এসেছি সেই পুরনো পাড়া, পুরনো বাড়ি। কিন্তু লুকোচুরিটা ছাড়িনি।’
‘এ-বয়সে এসে আমার লুকোচুরির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজেরই লেখা। অন্য কেউ তো খেলায় নেয় না, সেসব বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ নেই আর, কবেই ছেড়ে চলে এসেছি সেই পুরনো পাড়া, পুরনো বাড়ি। কিন্তু লুকোচুরিটা ছাড়িনি।’
আপাতদৃষ্টিতে অসংলগ্ন কিছু দৃশ্যকল্প— কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠছে একটা জাতির ইতিহাস, ফুটে উঠছে তার সম্পূর্ণ অবয়ব। কবি উৎপলকুমার বসুর সেইসব কবিতা আজও আমাদের সকল সুখ-দুঃখের সাথী।
‘বৃষ্টি নয়।/ মেঘ করলে বোমা পড়ে সিরিয়া, ইরাকে।/ প্রতি পূর্ণিমায় বুদ্ধ বামিয়ানে ভেঙে যেতে থাকে।/ পাথরের গুঁড়ো আর পোশাকের টুকরো ওড়ে গরম হাওয়ায় –/
কেউ কেউ এরই মধ্যে আকাশের দিকেও তাকায়।’
ব্রাসেল্স তো শুধু টিনটিন-এর নয়; বিশ্বখ্যাত গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো ও হলিউড-হার্টথ্রব অড্রে হেপবার্ন-এরও শহর। ভ্রমণপিপাসুদের অবশ্য-গন্তব্য বেলজিয়ামের সেই শহরে, বেলজিয়ান চকোলেটের স্বাদ নেওয়া থেকে রাজপ্রাসাদ দেখার অভিজ্ঞতা নিয়েই এবারের ‘দূরপাল্লা’।
‘বাবা বোঝালেন, অত বড় মাপের কবি, ব্যস্ত মানুষ, তাঁকে কি হুট করে ওভাবে বিরক্ত করা যায়? কিন্তু আমি নাছোড়। দেখা আমায় করাতেই হবে, নইলে মানব না। শেষমেশ বাবাও রাজি হলেন ঝুঁকি নিতে। একদিন ওঁর আপিসে গিয়ে দেখাই যাক, দেখা হয় কি না।’
তাঁর কবিতা তাঁর একার নয়, সেগুলো যেন বহু মানুষের সম্মিলিত স্বর, তাদের আটপৌরে দৈনন্দিন জীবনযাপনের লিফলেট। সেই লাইনগুলির মধ্যেই ধরা থাকে কবির গভীর জীবনবোধ। তিনি বাংলা কবিতার জনপ্রিয় নাম পিনাকী ঠাকুর।
‘পশ্চিমে খোলে না,/
এমন জানলা আমার কপাল জুড়ে ভাঁজ করা/
হে দোস্ত, আমাকে চিনতে পারলে/
ওদের পাল্লা খুলে দিও।’
মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট হোক কী টাইমস স্কোয়ার-এর আলোর উৎসব, ম্যানহাটান-এর আবেদন বহুস্তরীয়! আবার শিকাগো শহরে ১০১ তলায় ডিনার থেকে ইন্সটিটিউট অফ আর্ট-এ এডওয়ার্ড হপার-এর ‘নাইটহক্স’ দেখার অনুভূতি— এবারের পর্বে রইল সেসব গল্প।
‘আজ বুঝি, কোনও শিল্পই একা পুরোপুরি উপভোগ করা কঠিন। পাশে আরেকজন সমঝদার কেউ থাকলে তার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার যে একখানা আলাদা মজা, সেটা থেকে বঞ্চিত হলে যেন শিল্পেরও কিছুটা অধরাই থেকে যায়।’
হারিয়ে যাওয়া কথাগুলো প্রাণ পায় তাঁর কবিতায়; যা জলের মতো সরল, ভালবাসার মতোই আন্তরিক। আজকের পর্বে ফিরে দেখা তাঁকে— তিনি বাংলা কবিতার অন্যতম কারিগর ও চিন্তক ভাস্কর চক্রবর্তী।
‘আমি পানশালা থেকে বেরিয়ে,/ হাসপাতাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে/
কী এক অলীক কৌশলে নেমে পড়ছি সেখানে
আর ভুলে যাচ্ছি,/
বিস্মৃতি ও ছলনা ছাড়া নতুন সভ্যতা হয় না।’
পার্থের সাহিত্যবাসর থেকে সিডনির জাদুঘর ভ্রমণ— সেবারের বসন্ত নিয়ে এসেছিল নবীন পাতা, নতুন আলাপ। এতবার যাওয়া হল; তবু বিমূর্ত শিল্পকলার মতো প্রতিবারই নতুন করে চেনা হয় সেই দেশ, নতুন মানে খুঁজে পাওয়া যায় ভ্রমণের, জীবনের!
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.