চুলবুলবাবু, বিজ্ঞাপন, পুজোর ভুলভুলাইয়া : পর্ব ২

‘তার মধ্যে দেখলাম এই বছর কোন এক প্যান্ডেলে ঢোকার মুখে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মাখা খালি গায়ে, সাদা চাদর দিয়ে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের ‘ওহ্‌ লাভলি’। স্ট্যাচুটার সাইজ মা দুর্গার সমান না হলেও অসুরের সমান তো হবেই।’

চুলবুলবাবু, বিজ্ঞাপন, পুজোর ভুলভুলাইয়া

‘আসলে এই মেগা কার্নিভালের বিপুল আনন্দের হাতছানি ভুলিয়ে দিচ্ছে চোরের মুখ, চুরি, খুন হওয়া স্বপ্ন, স্বপ্নে আশা লাশেদের, বন্দুকের বিস্ফোরণ, বিস্ফোরণে হারানো বাড়িঘর, সব… তাই আজকে অষ্টমী না দশমী সেটা গুলিয়ে যাওয়া আর এমন কিছু না!’

দৈনন্দিন অর্থহীন বোঝা

‘হেরে যাওয়ার একশোটা কারণ থাকতেও তারা সিসিফাসের মতো পাথরটা ঠেলে যাচ্ছে। কারণ সিসিফাস জানে যে, পাথর ঠেলা আর পাথর তোলার মাঝখানে একটা মুহূর্ত আছে, যখন সে হেঁটে নামে পাহাড় থেকে পাথরটা তোলার জন্য, তখন সে মুক্ত।’ মুহূর্তের মুক্তি।

অমলকে লেখা চিঠি

‘‘ডাকঘর’-এর অনেকগুলি প্রযোজনার মধ্যে সবথেকে মন ছুঁয়ে গিয়েছিল বিখ্যাত মণিপুরি নাট্যপরিচালক কানহাইয়ালাল-এর প্রযোজনাটি। সেখানে আমার দেখা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (পরিচালকের স্ত্রী) সাবিত্রী হাইসাম অভিনয় করেছিলেন অমলের চরিত্রে, তাঁর বয়স তখন ৬০-এর ঘরে। অবাক হয়ে দেখেছিলাম, ছোট্ট অমলকে তিনি কীভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নিজের ভেতরে! এই লকডাউনের সময়টা আমাদের দেখাল এক নতুন সমাজের চেহারা। রবীন্দ্রনাথের নাটকে ‘রাজা’র অর্থ ভীষণ আলাদা, ডাকঘর বা বিসর্জনের রাজা আমরা কখনও পাব কি না জানি না, তবে এই সময় অমলকে নিজেদের ভেতর বাঁচিয়ে রাখাটা বড্ড জরুরি।’