ছায়াবাজি : পর্ব ২২
‘বোকা বন্ধু হয়তো মেয়েটার সঙ্গে সঙ্গম করছে, এমন সময় ফোন বাজছে। সে একটু থমকে যায়, তারপর যৌনতা চালিয়ে যায়, ফোন ধরে না। অযৌন বন্ধুত্ব কী করে যৌন সম্পর্ককে পরাজিত করবে?’
‘বোকা বন্ধু হয়তো মেয়েটার সঙ্গে সঙ্গম করছে, এমন সময় ফোন বাজছে। সে একটু থমকে যায়, তারপর যৌনতা চালিয়ে যায়, ফোন ধরে না। অযৌন বন্ধুত্ব কী করে যৌন সম্পর্ককে পরাজিত করবে?’
শুধু বই পড়া-ই জ্ঞান অর্জন ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠার সর্বোত্তম পন্থা, অন্যান্য শিল্প-মাধ্যম সেই সম্মানের যোগ্য নয়— এ কি একধরনের অবাস্তব উন্নাসিকতা? সিরিয়াস সাহিত্যচর্চা যদি পাঠকের মনে অহংকারের জন্ম দেয়, তা কি সামগ্রিক সাহিত্যচর্চার ব্যর্থতা নয়?
‘এ আখ্যান শুনে ‘সত্যি, এ সুজলা সুফলা গ্রহে উত্তর কোরিয়া এক যাচ্ছেতাই অসভ্য ভূমি বটে’ আউড়ে হাত ঝেড়ে উঠে গেলে হবে না, চোখ ফেড়ে বুঝতে হবে, প্রায় সমস্ত দেশই একই মতবাদে বিশ্বাসী।’
কখনও কখনও বিপরীত মেরুর জীবনও একই মন্ত্র জপে। প্রকৃত সাধু আর সফল অসাধুর মধ্যে ফারাক বিস্তর— তবে দু’পক্ষই ডিসিপ্লিনপন্থী; এবং হৃদয়দৌর্বল্যকে উপেক্ষা করতে সর্বদা উৎসাহী!
‘যে অফিস যাওয়াটাকে, যে কাজ করাটাকে আমরা জীবনের একটা আবশ্যিক ও প্রার্থিত অঙ্গ বলে মনে করি, এই ছবি বলে, ধুর, সেটা থেকে না বেরোলে মানুষ আবার বাঁচতে পারে না কি?’
ক্যামেরা এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার— অতীতে বন্দি প্রজাতির কাছে সে হয়তো সময়-এর নাগপাশ বাইপাস করে সুখের স্মৃতিগুলো আজীবন বাঁচিয়ে রাখার জাদুযন্ত্র। আবার অন্য অর্থে সে কি বর্তমান-কে সেই মুহূর্তেই উপভোগ করার পরিপন্থী?
‘সত্যি, এ সমাজে বাঁচতে গেলে চেনা ডাক্তার, চেনা উকিল, চেনা পুলিশ, চেনা ট্যাক্সি ড্রাইভার এবং চেনা চিড়িয়াখানার দারোয়ান প্রয়োজন। তা যখন নেই, একজন এ কম্পার্টমেন্টের আপার বার্থ, অন্যজন পাশের কম্পার্টমেন্টের মিডল বার্থ।’
মানুষ স্বাধীন না বৃহত্তর ক্ষমতার অধীন তা যুগে-যুগে তাত্ত্বিকদের ভাবিয়েছে। আজকের দুনিয়াতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি হয়তো অনেক অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সাহায্য করছে, কিন্তু একই সঙ্গে আমার-আপনার স্বাভাবিক, স্বাধীন আচরণকে কি দমন করছে না?
‘পাকিস্তানে দাঁড়িয়ে এমন ছবি করা হচ্ছে যেখানে ছেলে ছেলেকে চুমু খাচ্ছে, রূপান্তরকামীর অধিকারকে সমর্থন জানানো হচ্ছে, এমনকী বাড়ির বউয়ের যৌনতেষ্টার কথাও বলা হচ্ছে— শুধু এই সাহসের জন্য নয়, ছবিটা বিশিষ্ট কারণ এতে আছে দরদ।’

সিনেমার এক্সট্রা থেকে ব্রিজের শ্রমিক, সকলে জানেন তাঁদের নাম কেউ জানবে না, কাজের বড় স্বীকৃতি তাঁরা পাবেন না, তবু তাঁরা নিজেদের কাজ নিষ্ঠাভরে করে যান। কখনও বড় কবি নিজের ভাবনা মহাভারতে প্রবিষ্ট করে নিরভিমানে সরে যান, ব্যাসদেবের কীর্তি প্রচারিত হয়।

‘এখন পাশ্চাত্যে থ্যাংকসগিভিং চলছে, গোড়ায় নাকি তা শস্যফলনের জন্য ধন্যবাদ-প্রদান অনুষ্ঠান ছিল, ইদানীং নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই, সামগ্রিক ধন্যবাদের পরব। টার্কি খাও, আত্মীয়দের সঙ্গে হল্লা মচাও, এবং ঈশ্বর ও পৃথিবীকে কৃতজ্ঞতা জানাও।’

দলে ভিড়লে বহুক্ষেত্রেই মানুষের মানবিকতা ও নীতিবোধ লোপ পায়— এই কঠিন সত্যের সাক্ষী পুরাণের পাতা থেকে সভ্যতার ইতিহাসে বিভিন্ন যুদ্ধের নৃশংস সব কাহিনি। আজকের সভ্য-সমাজেও রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত তা আবারও মনে করাচ্ছে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.