অঙ্কুর ও আক্রোশ

দুটো সিনেমাই আসলে প্রতিবাদের ছবি। ‘অঙ্কুর’ প্রেমের ছবি হলেও একপক্ষ কীভাবে প্রেমের সহ-জ প্রতিজ্ঞার ভার বইতে পারল না, তাই নিয়ে গল্প। অন্যদিকে, ‘আক্রোশ’ রচনা করে এমন এক টুঁটি-মোচড়ানো পরিবেশ, যেখানে সকলেই নিশ্চিত, অন্যায় প্রতিকারহীন।

সামথিং সামথিং: পর্ব ৫

‘সংস্কৃতিমান বাংলায় এখন অশিক্ষা ও অভদ্রতার বাজার সাংঘাতিক, এবং ভোট-সম্ভাবনাও প্রকাণ্ড, অন্তত দলগুলোর তা-ই আন্দাজ, নইলে সমস্ত পার্টি তাদের পুরোভাগে মস্তানির দানবিক তর্জনী ডিসপ্লে করত না।’ দলীয় রাজনীতির নৃশংসতা।

সামথিং সামথিং: পর্ব ৪

‘আমাদের কাছে (এবং সম্ভবত মার্কিনদের কাছেও) আমেরিকার মাস-শুটিং’এর (‘একজন আততায়ী কেন কে জানে আচমকা স্কুলে বা জিমে বা মন্দিরে বা ফুটপাথে অনেককে খুন করল’) সংবাদ আর নূতন ও শকিং নয়।’ আমেরিকার গণহত্যা বৃত্তান্ত।

এক শালিক: পর্ব ২

কোভিড আসার আগে সিনেমা কেবলমাত্র বিনোদনের অংশ হয়েই ছিল না, ছিল নানা মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে। কিন্তু বদল হল। যাঁরা মনে করতেন সিনেমাই শুধু কুলীন শিল্প আর ওয়েব সিরিজ হচ্ছে তার কুলাঙ্গার ভাইপো, তাঁদেরও এখন ওয়েব সিরিজ না দেখলে ঘুম হয় না!

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩

‘জীবনানন্দের ‘মাল্যবান’ পড়ে যদি মনে হয় লোকটা নারীবিদ্বেষী, তাহলে সেই উপন্যাসটার রচনাগুণ তক্ষুনি মাইনাস ছয় হয়ে যাবে? তাঁর কবিতাগুলোও অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে ঠিকতা-মাপা মেশিনে?’ ব্যক্তি-শিল্পীর বিরোধ।

সামথিং সামথিং: পর্ব ২

এই যুগ মনুষ্যেতিহাসে সর্বাধিক জন-নজরদারির যুগ, সর্বোচ্চ জন-আলোচনার যুগ, সমাজমাধ্যমে জনতার রায় বিখ্যাত লোকের কেরিয়ার মারতে-বাঁচাতে পারে, প্রত্যেক কথা নথিবদ্ধ এবং সমুদয় অকাজ তোরঙ্গের ধুলো ঝেড়ে কেউ না কেউ লোক-গোচরে আনে।

সামথিং সামথিং: পর্ব ১

‘তুমি কি দল ও আদর্শ নির্বিশেষে সব গোষ্ঠীবাজিকেই ঘেন্না পাও? এই ‘নই জুতো-নই ছাতা-নই আমি কিচ্ছু’ অবস্থানটাকে যদি দাবড়ে ঘোষণা করো, তবে তা কি আসলে দায়িত্ব এড়িয়ে পোঁ-পাঁ চম্পট, না সেইটিই তোমার নিজের সত্য?’ ব্যক্তির অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন।

এক শালিক: পর্ব ১

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা যাওয়ার পর বাঙালি ভিড় করল, কোনও আপত্তি নেই। অথচ দুর্গাপুজোর সময়ে বাঙালির ভিড় নিয়ে এক্সপার্টদের কী বকুনি, এ হুজুগে জাতের কোভিড থেকে নিস্তার নেই! তবে কি মানুষের চেয়ে ভগবানের জনপ্রিয়তা কমে গেল?