
ম্যাকি : পর্ব ২৭
‘আমি জানতে চাই আমি আর কতদিন জীবিত থাকব? আর কতদিন আমার ভ্যালু থাকবে? আমি একটা স্ট্রাকচার চাই। আমি গ্যারান্টি চাই যে আমার হার্ড ডিস্ক আগামী দশ বছর ক্র্যাশ করবে না। আমার অনেক প্রশ্ন। কেউ নেই যে বলে দিতে পারে।’ ম্যাকির অসহায়তা।
‘আমি জানতে চাই আমি আর কতদিন জীবিত থাকব? আর কতদিন আমার ভ্যালু থাকবে? আমি একটা স্ট্রাকচার চাই। আমি গ্যারান্টি চাই যে আমার হার্ড ডিস্ক আগামী দশ বছর ক্র্যাশ করবে না। আমার অনেক প্রশ্ন। কেউ নেই যে বলে দিতে পারে।’ ম্যাকির অসহায়তা।
‘আহারে মন’ গানটা আমি নিজের খেয়ালেই বানিয়েছিলাম। নিজের মতো এক ভীরু প্রেমিককে কল্পনা করে। তারপর নতুন গান বানানোর উৎসাহে আমি চিত্রপরিচালককে শোনাই গানটা। আর তারপর তাদের মধ্যে গানটা কে নেবে, এই নিয়ে বেধে যায় গোর গন্ডগোল!
বসাই টুডু আর দ্রৌপদী, মহাশ্বেতা দেবীর এই গল্পদুটো আমার মধ্যে একটা উথালপাতাল তৈরি করে এবং তার থেকেই এই গানটা তৈরি। আমারও মনে হয় শেষে গিয়ে জাস্টিস কখনই হয় না, বিশেষত, নীচের তলার মানুষদের সঙ্গে। তারা বিচারের আশায় কেবল দিন গোনে।
‘কোনও বিশাল কিছু আমাদের করার নেই। আমাদের ইলেকট্রিসিটিতে ভক্তি নেই, ব্যাটারিতে ভক্তি নেই, ফোটনে ভক্তি নেই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এ ভক্তি নেই, আমরা মেশিনের জাত। চুপচাপ নিজের কাজ নিজে করি।’ ম্যাকির ভক্তির ধারণা।
‘একবার প্ল্যান হয়, সোশাল মিডিয়ায় লিখবে। লেখাও হয় কিন্তু সেখানে বাবুদা ওদের পাত্তাই দেয় না। গিটার ঝেড়ে দিয়েছে এই নিয়ে বাবুদার নামে কেউ স্টোরিও করতে চায় না কাগজে। কোথায় যে কলকাঠি বাঁধা আছে সৌমিত্র কিছু বুঝতে পারে না।’ রহস্যময় চরিত্র।
‘বাইরে যেখানে সৌমিত্র দাঁড়িয়ে সেখানে ফ্যান নেই, আলোও নেই। চারিদিকে অস্বাভাবিক ধুলো। একজন সঙ্গীতকারের বাড়ি বলে মনে হয় না। একটা বাদ্যযন্ত্রও ওর চোখে পড়েনি এখনও। এত নোংরার মধ্যে মানুষ থাকে কী করে?’ রহস্যময় আস্তানা।
‘কোনওদিন শুনবেন না যে মাইক্রোওয়েভ অপমানিত হয়ে খাবার গরম করেনি। ম্যাকি-কে যথাযথ সম্মান করা হয়নি বলে স্টার্ট হয়নি। আমাদের মান-অপমান এই সব পেটি ব্যাপার নিয়ে ভাবলে চলে না।’ যন্ত্রের সম্মানবোধ।
‘অ্যানি হলকে নিয়ে গান তৈরির তাড়নাটা আসে ১৫ বছরের ব্যবধানে ছবিটা দু-বার দেখার পর। উডি অ্যালেন আগে একভাবে ছুঁয়েছিলেন, এ ভাবে আরও গভীর নাড়া দিলেন। সেই তীব্রতা থেকে তৈরি এই গান।’ অনুপম রায়ের গান তৈরির গল্প।
‘ নিউটন থেকে আইনস্টাইন, নতুন-নতুন থিওরি আছড়ে পড়ছে মনুষ্যসভ্যতার সৈকতে। এটুকু বুঝছি যে, বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রতি মুহূর্তে আপগ্রেড করে চলতে হবে।’
‘মানুষ চায় একটা অনন্ত অরগ্যাজম। একটা উত্তেজিত স্টেটে নিয়ে গিয়ে ল্যাচ করে যাওয়া। শরীরের সব রক্ত ছুটবে যেন one way street। বছরের প্রতিদিনই দুর্গা পুজো! লুপ (সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী)! যদিও পুরোটাই শারীরিক কিন্তু বলবে মনটা চাঙ্গা লাগছে।’
কখনও ইচ্ছে করে ওঠে কয়েক লাইন লিখতে, কখনও কঠিন সফটওয়্যারের সমস্যার মধ্যে হঠাৎ কোনও সুর বিদ্যুতের মতো সেঁধিয়ে যায় মাথায়। নিশির ডাকের মতো গান টেনে নিয়ে যায় তৈরি হওয়ার আশায়। কোন রোদ, কোন বৃষ্টি, কোন অঙ্ক গান তৈরি করিয়ে নেয়, সে সব গপ্পোই এখানে। এই বসন্তে শ্রাবণের গল্প।
‘মিউজিক বাজলে আমার চোখের সামনে অনেক রং আমি দেখতে পাই মাঝে মাঝে। এই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটা মায়া-মায়া খয়েরি। আমি এক্সপ্লেন করতে পারব না কেন। মিউজিক এমন বিমূর্ততার জন্ম দেয়, যা কিছু ভাবে বোঝানো সম্ভব নয়।’ গান-রহস্য।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.