চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
রীতিমতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন টেলিভিশনে বিভিন্ন চরিত্রে তাঁর অভিনয় দেখেছে দর্শকরা। কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছিল সমালোচকদেরও। সিনেমা এবং সিরিজেও তিনি এখন প্রার্থিত অভিনেত্রী। বেড়াতে ভালবাসেন।
মৃদুল দাশগুপ্ত কবি, গদ্যকার। এছাড়া লিখেছেন ছোটগল্প, ছড়া। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ’ কবিতা-বইয়ের জন্য পেয়েছেন বাংলা আকাদেমির সুনীল বসু-অনীতা বসু পুরস্কার (২০০০)। ২০১২ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার। সেলিম পারভেজ নামে একাধিক গ্রন্থের প্রচ্ছদও করেছেন নানান সময়ে। ‘শত জলঝর্ণার ধ্বনি’ আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকাতে শিক্ষকতা করতে গিয়ে সীমান্তজীবনকে খুব কাছ থেকে দেখার ফলে এ-রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের যাপনই হয়ে ওঠে লেখার বিষয়। প্রথম বই ‘বর্ডারে মেয়েরা’। অন্যান্য বই: ‘ছোটদের বর্ডার’ ‘বর্ডারের প্রেম’ ‘লেবার ট্রেন’ ‘আহ্লাদীর ছেলের পাসপোর্ট’ ‘বর্ডারে সংসার’। পেয়েছেন দীপক মজুমদার সম্মাননা, সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার এবং প্রদীপ কুমার বসু স্মৃতি সম্মান।
পর্বতারোহী। এভারেস্ট অভিযানে সফল হয়ে প্রবল বিপদের মধ্য থেকে ফিরে আসেন তিনি। পেশায় সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিক। তাঁর জীবন নিয়ে মিশন এভারেস্ট নামের একটি চলচ্চিত্র হয়েছে।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীশ্রম, কর্মক্ষেত্রে যোগদান এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণারত। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমে মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগে ও.এস.ডি. পদে নিযুক্ত। দেশি ও বিদেশি জার্নালে গবেষণাপত্র এবং নানা পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেছেন ও লেখেন।
পেশা সাংবাদিকতা, নেশাও তাই। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেলে। সংবাদের পাশাপাশি ভালবাসেন ফিচার লিখতে। ‘আজকাল’ দৈনিকের প্রাক্তন ডেপুটি এডিটর। বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্রের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছেন।