শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
পণ্ডিত তন্ময় বসু একালের অন্যতম তালবাদ্য বিশারদ, তবলাবাদক, সুরকার ও অভিনেতা। তিনি ফারুক্কাবাদ ঘরানার প্রবাদপ্রতিম পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষের শিষ্য। পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং ওস্তাদ আমজাদ আলি খান-এর সঙ্গে সারা বিশ্বে অনুষ্ঠান করেছেন, সঙ্গত করেছেন প্রখ্যাত কর্ণাটকি শাস্ত্রীয় ভায়োলিন বিশেষজ্ঞ ডক্টর এল. সুব্রহ্ম্যনিয়ম-এর সঙ্গে। পত্তন করেছেন তাল তন্ত্র, একটি অনবদ্য ওয়ার্ল্ড মিউজিক প্রজেক্ট, যার প্রধান বিষয় তালবাদ্যচর্চ্চা।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
কে জি সুব্রহ্মণ্যন (১৯২৪-২০১৬) ভারতীয় শিল্প ইতিহাসে অনুপ্রেরণাময় এক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী এবং শিল্প-শিক্ষক। ‘বেঙ্গল স্কুল’-এর স্বর্ণযুগে ছাত্র থাকাকালীন পেয়েছিলেন নন্দলাল বসু, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় এবং রামকিঙ্কর বেইজ-এর মতো শিক্ষকের সান্নিধ্য। তাঁর নিজস্ব চিত্রকলায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল কেরালা, বঙ্গ এবং উড়িষ্যার লোকশিল্প। পদ্মশ্রী (১৯৭৫), পদ্মভূষণ (২০০৬), পদ্মবিভূষণ (২০১২) ছাড়াও আরও একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
সৌরভ রায়চৌধুরী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ভাস্কর, শিল্পচিন্তক, শিল্প শিক্ষক। শান্তিনিকেতনে কলাভবনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা; ২০১৮-এ নরওয়ের 'ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড-এর শিল্পী' হিসাবে সম্মানিত। বাস এবং কর্মক্ষেত্র শান্তিনিকেতন ও কলকাতা।
মালবিকা ব্যানার্জি টাটা স্টিল লিটেরারি মিটের পরিচালক। সাংবাদিক হিসাবে পথ চলা শুরু। ১৯৯৮ সালে স্বামী জিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ক্রীড়া বিপণন সংস্থা ‘গেমপ্ল্যান’ (‘ডাকবাংলা’ যে কোম্পানির অধীন)। এই সংস্থা বিশ্ব জুড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো আরও অনেক খেলোয়াড় এবং বিখ্যাত ক্রীড়ানুষ্ঠানের ‘ম্যানেজমেন্ট’ বা তত্ত্বাবধান করেছে। মালবিকা কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পোশাক বিপণি ‘বাইলুম’-এরও অংশীদার।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
মল্লিকা সারাভাই পদ্ম ভূষণ সম্মানে পুরস্কৃত নৃত্যশিল্পী, নৃত্যশিক্ষক, অভিনেত্রী, অ্যাক্টিভিস্ট, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় নৃত্য ঐতিহ্য বিশারদ; ভারতনাট্যম এবং কুচিপুড়ী নৃত্য বিশেষজ্ঞ।
রেবন্ত সারাভাই মঞ্চ এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা; নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পনাকার। তাঁর সমকালীন শিল্পীদের মধ্যে একক ভারতনাট্যম নর্তক হিসাবে বিশেষভাবে পরিচিত।