অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
সুকন্যা দাশ দীর্ঘ সময় ধরে সাংবাদিকতা করার পর, বর্তমানে একজন সংযোগকর্মী এবং অধ্যাপক। পাহাড়, বয়নশিল্প আর নাচ— মূলত এই তিনটে বিষয় থেকেই জীবনের যাবতীয় আনন্দ আহরণ করেন। ভালবাসেন যে কোনও ধরনের বই পড়তে। এছাড়া বাছবিচার না করেই সমস্ত রকমের শিল্পচর্চার একজন উৎসাহী সমর্থক।
অরুণাভ সিনহা পুরস্কারপ্রাপ্ত অনুবাদক, শিক্ষক, ধ্রুপদী ও সমসাময়িক সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাংলা-ইংরেজি অনুবাদের সেতুবন্ধনে পরিচিত নাম। জন্ম এবং পড়াশুনা কলকাতায়। বর্তমানে দিল্লির অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক।
ভি ভি এস লক্ষ্মণ প্রাক্তন ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, বর্তমানে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও ধারাভাষ্যকার। সুচারু স্ট্রোকপ্লে ও স্বচ্ছন্দ টেকনিকের জন্য বিখ্যাত লক্ষ্মণ একটিও একদিনের ওয়ার্ল্ড কাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করেও ১০০-টি টেস্ট ম্যাচে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার (২০০১), পদ্মশ্রী (২০১১) পুরস্কার।
অনীশ মজুমদার গ্র্যাজুয়েট হয়ে বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শখ: লেখালিখি করা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, বই পড়া আর ক্রিকেট। ভালবাসেন হারানো সময়কে খুঁজতে, নস্টালজিয়ায় ভুগে যে-সময় চলে গেছে তার জন্য হা-হুতাশ করতে।
সুজান মুখার্জি কলকাতা বিশারদ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের
স্নাতকোত্তর ছাত্র। মডার্নিজম, ফিজিকাল কালচার এবং শহরকেন্দ্রিক গবেষণায় উৎসাহী। বর্তমানে কলকাতার কারেন্সি বিল্ডিং-এ অবস্থিত ড্যাগ-এর ঘরে বাইরে প্রদর্শনীর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ করেন।
দোলন গঙ্গোপাধ্যায় লেখক, নারীবাদী সমাজকর্মী। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত অংশের মেয়েদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি পশ্চিমবঙ্গের এবং দেশের নারী আন্দোলন এবং মানবাধিকার আন্দোলনেরও সক্রিয় কর্মী।
অপরাজিতা দাশগুপ্ত ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক; রাজ্য হেরিটেজ কমিশন-এর সদস্যা, রাজ্য গ্রন্থ বোর্ডের সি ই ও। প্রকাশিত গ্রন্থ ছোটগল্প সংকলন 'সুরের স্মৃতি, স্মৃতির সুর', উপন্যাস 'ছায়াপথ', এবং আত্মজীবনীমূলক ভ্যিনেটের সংগ্রহ, 'ইচ্ছের গাছ'।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।