পিনাকী ভট্টাচার্য বই পড়তে আর আড্ডা দিতে ভালবাসেন। নেশা: শহর কলকাতা। রম্য রচনা লিখতে, অভিনয় করতে আর খাবারের ইতিহাস খুঁড়তে থাকেন নিজের আনন্দ খুঁজতে। পেশায় সার্ভিস সেক্টর বিশেষজ্ঞ হলেও তিনি সবচেয়ে ভালবাসেন ঘুমোতে।
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এখনও পড়াশোনা করেন। কিন্তু ছোট থেকেই বড্ড বেশি কথা বলার অভ্যেস। ফলে জেঠু-কাকিমাদের কাছে ‘পাকা’ ছেলে। এ ছাড়া থিয়েটার করেন, আর কেউ নিলে সিনেমায় অভিনয় করেন। তাঁর পরিচয় এটুকুই।
বিক্রম আয়েঙ্গর শিল্প পথপ্রদর্শক, নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিচালক, শিল্প গবেষক, কিউরেটর। রনন পারফর্ম্যান্স কালেক্টিভ-এর প্রতিষ্ঠাতা। কলকাতায় বাস, আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ, যার মূল মন্ত্র শিল্পের মাধ্যমে সংযোগ।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
অপরাজিতা দাশগুপ্ত ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক; রাজ্য হেরিটেজ কমিশন-এর সদস্যা, রাজ্য গ্রন্থ বোর্ডের সি ই ও। প্রকাশিত গ্রন্থ ছোটগল্প সংকলন 'সুরের স্মৃতি, স্মৃতির সুর', উপন্যাস 'ছায়াপথ', এবং আত্মজীবনীমূলক ভ্যিনেটের সংগ্রহ, 'ইচ্ছের গাছ'।
শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
মাসায়ুকি ওনিশি বিশিষ্ট ভাষাবিদ, গবেষক, অনুবাদক। কলকাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সেই ১৯৭৬ সাল থেকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করার পর শান্তিনিকেতনে সঙ্গীতভবনের ছাত্র ছিলেন বছর দুয়েক। জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী-র মতো বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের একাধিক রচনা।