দেবদত্ত পট্টনায়েক লেখক, পুরাণবিদ, চিত্রশিল্পী, বক্তা। পুরাণ, উপকথা, লোকসংস্কৃতি এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর মনোজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এ-যাবৎ বই লিখেছেন পঞ্চাশেরও বেশি। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই: ‘দ্য গডেস ইন ইন্ডিয়া: দ্য ফাইভ ফেসেস অফ দ্য ইটারনাল ফেমিনিন’, ‘ইন্ডিয়ান মিথোলজি: টেল্স, সিম্বলস, অ্যান্ড দ্য আর্টিকেলস ফ্রম দ্য হার্ট অফ দ্য সাব কন্টিনেন্ট’, ‘অলিম্পাস: অ্যান ইন্ডিয়ান রিটেলিং অফ দ্য গ্রিন মিথ’।
দেবশঙ্কর হালদার মঞ্চ অভিনেতা, নাট্যপরিচালক, নাট্যচিন্তক, লেখক। দীর্ঘকাল যুক্ত থেকেছেন নান্দিকার, শুদ্রক, গান্ধার এবং ব্রাত্যজনের মতো বিখ্যাত নাট্যদলের সঙ্গে। 'মহুলবনীর সেরেং', 'হার্বার্ট' এবং 'অ্যাক্সিডেন্ট'-এর মতো মূলধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী চিত্রপরিচালক, লেখক; যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুনে'র ফিল্ম ইন্সটিটিউটের ছাত্র। ছবি তৈরির সূত্রে বিজ্ঞাপনী জগতের সঙ্গে বহুদিনের সংযোগ। নিজস্ব সংস্থা ফ্লিপবুক, যা লাইন প্রোডিউস করে তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র 'ফড়িং'।
পার্থ দাশগুপ্ত চিত্রকর, সেরামিক শিল্পী, ইন্সটলেশন শিল্পী, শিল্পশিক্ষক। ভারতে প্রথম সেরামিকস ট্রাইয়েনিয়াল ছাড়াও যোগদান করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপত্য প্রকল্পে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক সেরামিক প্রদর্শনীতে। দুর্গাপুজোর ব্যতিক্রমী মণ্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণা এবং ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
মোহন আগাশে পেশায় একজন মনচিকিৎসক এবং নেশায় অভিনেতা। তিনি হিন্দি, মারাঠি, ইংরেজি এবং বেশ কয়েকটি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নাটক নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ১৯৯৬ সালে তিনি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল অবধি তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সস্টিটিউ অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ছিলেন। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে তিনি এক জন অগ্রণী কর্মী, তাঁরই প্রচেষ্টায় ১৯৯১ সালে পুণেতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে রাজ্যস্তরে একটি ট্রেনিং ইন্সস্টিউট তৈরি হয়।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
রূপক বর্ধন রায় GE Heathcare-এ Research & Development leader হিসেবে কর্মরত, ফ্রান্স-এর নিস শহরে থাকেন। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ট্রাভেলগ ও সাহিত্য নিয়েই। এছাড়াও কবিতা, গদ্য, অনুবাদ প্রকাশ পেয়েছে একাধিক ইংরেজি ও বাংলা অনলাইন এবং মুদ্রিত পত্রপত্রিকায়। লেখালেখি ছাড়াও গানবাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মতো একাধিক বিষয়ে তাঁর সমান আগ্রহ রয়েছে।